আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আতাউস সামাদ- কিংবদন্তী এক সাংবাদিকের বিদায় !

আমাদের সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম এক কিংবদন্তী আতাউস সামাদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন গতকাল রাত সাড়ে ন'টায়। কয়েকদিন থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ইউনাইটেড হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। সাংবাদিকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবেও কাজ করেছেন দীর্ঘ দিন। ফলে সাংবাদিকতায় বহু শিষ্যের পাশাপাশি বহু ছাত্রছাত্রীও রেখে গেছেন তিনি।

যে বিবিসি'র বাংলা বিভাগের সংবাদদাতা হিসাবে তিনি গণমানুষের কাছে সুপরিচিত হয়েছিলেন বর্তমানে সে বিবিসি'র লন্ডনস্থ বাংলা বিভাগে তাঁর ৫ জন ছাত্র এখন কর্মরত আছেন। (তাঁর ভাই আতিকুস সামাদ এখনও কাজ করছেন বিবিসি'র বাংলা বিভাগে। ) আমিও তাঁর নগন্য এক ছাত্র হবার গৌরব লাভ করেছি। আমার বিখ্যাত শিক্ষকদের নিয়ে এই ব্লগেই ১৫ পর্বের পোস্ট দিয়েছিলাম। অনিবার্যভাবেই স্যারকেও আমি পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছিলাম।

Click This Link দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তাঁর সব চেয়ে সোনালী সময় কেটেছে বিবিসিতে। এছাড়া তিনি বাসস, পাকিস্তান/বাংলাদেশ অবজারভার-এ কাজ করেছেন। নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ দূতাবাসেও কাজ করেছেন ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত। ছিলেন সাপ্তাহিক এখন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। নিয়মিত কলাম লেখার পাশাপাশি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কিছু দিন এ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও ছিলেন তিনি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ড.আবদুল মতিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে গঠিন জাতীয় কয়লা নীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। মৃত্যুর সময় রেখে গেছেন স্ত্রী, এক পুত্র (আশিকুস সামাদ), দুই কন্যা (সাথী ও শান্তা)। রেখে গেছেন আত্মীয় স্বজন, বহু গুণগ্রাহী আর অনেক গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী। স্যারের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি বিনম্র শ্রদ্ধায়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.