আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূল্যবোধ

¤একটি দশ বছরের বালক আইসক্রীমের দোকানের একটি টেবিলে বসে মহিলা পরিচারিকাকে একটি আইসক্রীম কোনের দাম জিঙ্গাসা করল... পরিচারিকা জবাব দিল "৭৫টাকা "। ছেলেটি তার কাছে যে পয়সা ছিল তা গুনতে আরম্ভ করল । তারপর জিঙ্গেস করল একটি ছোট আইসক্রীম কাপের দাম কত । পরিচারিকা একটু অসহিষ্ণুভাবে জবাব দিল "৬৫টাকা" । ছেলেটি একটি আইসক্রীমের কাপ নিল।

আইসক্রীমটি শেষ করে দাম চুকিয়ে চলে গেল । পরিচারিকা যখন প্লটটি তুলতে এল তখন দেখল প্লেটের নিচে ১০টাকা রাখা আছে তার বকশিশ হিসাবে । বাচ্চা ছেলেটি নিজে আইসক্রীম খাওয়ার আগে পরিচারিকার কথাও ভেবেছে । নিজের কথা ভাবার সাথে সাথে অপরের কথা চিন্তা করে সে দেখিয়েছে তর সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতা । [name of the book: YOU CAN WIN writer: SHIV KHERA] **সে চাইলেই কিন্তু ৭৫টাকা দামের আইসক্রীম কিনে নিজের চাহিদা মেটাতে পারত ।

** ¤¤এবার আসি বস্তব ঘটনা নিয়ে । অনেক ফ্রেন্ড আছে যাদের কাছে টাকাটা খুব বেশী ইম্পরটেন্ট । সবার কাছেইকম বেশী ইম্পরটেন্ট । পেরেডের রাস্তায় বসে আছি । এমন মুহুর্তে এক জন বৃদ্ধ ভিক্ষুক আসল ।

আমি এমন আনেক ফ্রেন্ডকে দেখছি যাদের পকেটে ভাংতি টাকা থাকার পরেও টাকা নেই বলতে দিধা বোধ করে না । কিন্তু সেই ছেলেগুলোকেই দেখি উদার হস্তে টাকা খরচ করতে যখন কোনমেয়ের সাথে নাস্তার পর বিল দিয়ার টাইম আসে । মোবাইলের বিলটাও উদার হস্তে দান করে কোন এক গরিবের[may be] মেয়েকে । পকেটে টাকা নাই । নো প্রবলেম বন্ধুর থেকে টাকা ধার নিয়েও সিগারেট খেতে দেখেছি ।

আমি শুধু খারাপ দিকটাই বলে যাচ্ছি ভালো দিকও আছে । অনেকের পকেটে খুব অল্প টাকা থাকার পরেও দান করার টাইমএ সেই অল্প টাকা থেকেই দান করে । একদিন আমি,মুন্না আর কিছু ফ্রেন্ড পেরেডের রাস্তার পাশে বসে আছি । তখন ছোট একটা মেয়ে ভিক্ষা চাইতে আসল । আমি মেয়েটিকে বল্লাম তোরে কে ভিক্ষা করতে পাঠাইছে?? তোর আব্বা নাই ?? সে জবাব দিল বাবা তার মাকে রেখে আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করে তাদের ফেলে রেখে চলে গেছে ।

তখন আমরা তাকে ধমক দিতেই এন্ড ভয়লাগিয়ে জেরা করতেই সে স্বীকার করল আসলে তার বাবা আছে । তিনি রিস্কা চালক আর মা মানুষের ঘরে ঘরে কাজ করে । মেয়েটি যার বুঝার বয়স হয় নি মিথ্যা জিনিসটা আসলে কি!!! তখন জানতে চাইলাম এই মিথ্যাগুলো কে বলতে বলছে । সে জানাল তার মা শিখায় দিছে । হায়রে দুনিয়া যে মেয়ের মিথ্যা বুঝর বয়স হয় নি তকে তার মা মিথ্যা বলা শেখাচ্ছে ।

মূল্যবোধ তৈরী হয় পরিবর থেকে এন্ড ছোটবেলা থেকে... ... ¤¤¤এবার আরেকটা ঘটনা বলি । একদিন বাসায় ফিরছিলাম তাই রিক্সা খুজতেছিলাম । অনেকপর একটা রিক্সা পেলাম । চালকটা একদম বৃদ্ধ । বয়স হবে আনুমানিক ৭৫কি ৮০মতন ।

রিক্সা চালাতে গিয়ে ওনার হাত পা কাপতেছিল । তখন আমি ওনাকে বল্লাম চাচা আপনারতো রিক্সা চালাতে অনেক কষ্টহচ্ছে । এই বয়সে রিক্সা চালাইতেছেন যে?? ওনি বল্লেন বাবা আমারে আল্লাহ দিছেন সব মাইইয়া । তাদের বিয়া দিছি এখন আমি আর তোমার চাচী আর কেউ নাই । আমি জিঙ্গাস করলাম দিনে কত কামাই করেন ।

ওনার কথা থেকে যা বুঝলাম তা হল তিনি সাপ্তাহে দুই কি তিন দিন বাহির হন । তার মধ্যে মাত্র ১৫০টাকা মত ইনকাম করেন । অনেক বেলা না খাইয়েও থকতে হয় । কিন্তু তিনি চাইলে ভিক্ষা করতে পারতেন । ইনকামতো ভালই হত আর এত কষ্টও হত না ।

এমন কথায় তিনি বলেন জীবনে কারও কাছে হাত পাতি নাই ভিক্ষাতেতো সম্মান নাই । মানুষের কাছে হাত পাততে লজ্জা লাগে । আমি আর কি বলব । শ্রদ্ধায় মাথাটা নুয়ে আসে এমন মানসিক শক্তি সম্পন্ন মানুষদের দেখলে । তাই তরুণ ভিক্ষুকদেরক দেখলে ভিক্ষা দিতে গিয়েও থমকে যায় !!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।