আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারত প্রেমী দালালদের- উম্মুক্ততা !!!

ভাই গর্ভ করে বলছি- স্বাধীন জাতি আর দূঃখ করে বলছি- স্বাধীন রাষ্ট্রে পরাধীন আমি? এদেশের তথাকথিত অর্থবানরা জানে কি, আর কত টাকা হলে অর্থ লালসা বা সম্পদ লালসা মিটবে? আজ গরিবকে গরিব করে, সম্পদওয়ালা সম্পদ গড়তে ব্যস্ত এই যে একটি খাত, খামার গড় বেকারত্ব দুর করো। এই শ্লোগান আজ সম্পদওয়ালাদের হাতে- সিনডিকেট করো, টাকার পাহাড় গড়। দেশের হাজার হাজার বেকারের খামার গুলো আজ বন্ধের উপক্রম- দেশের নীতিহীন নীতিমালার জন্য। প্রথমে ব্রয়লারের খাদ্য দিয়ে শুরু করি- ভাই বিশ্বাস করেন- ভরা মৌসমে একমন সরিষা (ব্রয়লার খাদ্যের উপাদান) ৪৫০/= বর্তমানে প্রায় ৩২০০/= টাকার উপরে একমন ভুট্রার দাম ছিলো ৪০০ থেকে ৪৫০ বর্তমানে প্রায় ১০০০/= টাকার কাছাকাছি এভাবে প্রত্যেকটি কাঁচামালের দাম বাড়তি। আর এ অজুহাতে ফিড মিলগুলো দফায় দফায় ব্রয়লার ফিডের দাম বাড়িয়ে ৫০ কেজির এক বস্তা ফিডের বর্তমান দাম ২৩০০ টাকার উপরে অথচ আপনি প্রত্যেকটি ফিড মিলে গিয়ে দেখেন- লক্ষ লক্ষ মন কাঁচামাল মজুদ রয়েছে ফিড মিল গুলোর মজুদঘরে।

ফিড মিল গুলো ভরা মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামাল মজুদ করে রাখে। এতে সারা বছর তারা শুধু ফিড তৈরী আর সরবরাহ করতে ব্যস্ত থাকে। অথচ দফায় দফায় কাঁচামাল বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বার বার খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করে মূল্য প্রায় ২৩০০ টাকার উপর দাঁড় করিয়েছে। এরপর হেচারী গুলোর একটি বাচ্ছা উৎপাদনে সর্বোচ্ছ ২২ টাকা রাখলেও পর্যাপ্ত পরিমান লাভ হয়, অথচ একটি বাচ্ছা খামারী পর্যায়ে ৮১ টাকা দিয়ে কিনতে হয় । আর ঔষধের দাম ৫০% - ১২০% এর উপর বেড়েছে।

তারপর একজন খামারীকে ১০০০ মুরগীর বাচ্ছার জন্য ৫০ ব্যাগ খাদ্য খাওয়াতে হয়। এবার ছোট্ট একটি হিসাব কসি- ১৩০০ কেজি ব্রয়লার মাংস উৎপাদনের জন্য একজন খামারীর খরচের তালিকা- বাচ্ছা ১০০০*৬০ = ৬০,০০০/= খাদ্য ৫০*২৩০০ = ১১৫০০০/= ঔষধ = ১০০০০/= কর্মচারী, ভাড়া, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বাবদ= ২০০০০/= মোট = ২০৫০০০/= এভাবে প্রতি কেজি ব্রয়লার মাংস উৎপাদনের জন্য প্রায় ১৫৭.৭০ টাকা দরকার পড়ে। আর খামারী পাইকারী বিক্রয় করে সর্বোচ্চ ১২০-১৪০/= অথ্যাৎ চাহিদা ও যোগানের উপর মূল্য এর মধ্যে নির্ধারিত হয়। অথচ সরকার বিবিধ বিষয় বিশ্লেষন না করে ভারতের বাজার উম্মুক্ত করে দিয়েছে- ভারতে পুজোর সময়ও একটি বাচ্ছা সর্বোচ্চ ২০ টাকা আর এক ব্যাগ খাদ্য সর্বোচ্চ ৮০০/= এবার হিসেব করুন এককেজি ব্রয়লার মাংস উৎপাদন করতে তাদের কত খরচ হয় আর আমাদের কত খরচ হয়। ভরা মৌসুমে কাঁচামাল মজুদ করে এখন কাঁচামালের দাম বাড়ার অজুহাতে- হু হু করে খাদ্যের দাম বাড়ানোর কারন কি? এইসব কারণ অনুসন্ধান না করে সরকার ভারতের বাজার উম্মুক্ত করে দিয়েছে।

সরকার যদি খাদ্য ও বাচ্ছা আমদানী করে তাহলে এদেশে ১০০ টাকা নিচে ব্রয়লার মাংস খাওয়ানো যাবে। অসহায় খামারীদের পক্ষ থেকে আমি এইসব জিনিস শেয়ার করলাম। লেখা চলতে থাকবে.......... নীপিড়ীত মানুষের সংগ্রাম চলছে, চলবে..... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.