আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেয়ামত সংঘটিত হবার নিদর্শণ সমূহ। পর্ব-৫

আল্লাহ তা'লা বলেন, "নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমাসমূহ এবং ভাগ্য নির্ধারক শরকসমূহ অপবিত্র ও শয়তানের কাজ ছাড়া কিছুই না। অতএব, এগুলো থেকে বিরত থাক যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার। " সূরা আল মায়েদা - ৯০ আসসালামু আলাইকুম কেয়ামত সংঘটিত হবার পূর্ব নিদর্শণ সমূহের আলোচনায় আজ ৫ম পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হচ্ছি, আল্লাহ পাক তৌফিক দিলে আপনাদের খেদমতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করব। ৫৪) অত্যধিক বজ্রপাতঃ বজ্রঘাতে নিহতের হার বেড়ে যাওয়া কেয়ামত ঘনিয়ে আসার অন্যতম নিদর্শন। আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেন- "কেয়ামত ঘনিয়ে আসার পাশাপাশি বজ্রপাতের ঘটনাও বেড়ে যাবে।

এমনকি মানুষ পাশের এলাকায় গিয়ে বলতে থাকবে- "গতরাতে তোমাদের এদিকে বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতে পেলাম। উত্তরে তারা বলবে- অমুক, অমুক এবং অমুক বজ্রপাতে মারা গেছে। " (মুসনাদে আহমদ) বজ্র হচ্ছে এক প্রকার বৈদ্যুতিক ঝটকা, যা বিজলী গর্জনের মুহূর্তে আকাশ থেকে বর্ষিত হয়। এরকম বজ্রঘাতের মাধ্যমেই আল্লাহ পাক ছামূদ জাতিকে ধ্বংস করেছিলেন- "আর যারা ছামূদ, আমি তাদেরকে হেদায়েত দেখিয়েছিলাম, অতঃপর তারা সৎপথের পরিবর্তে অন্ধ থাকা-ই পছন্দ করল। অতঃপর তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদেরকে অবমাননাকর আযাব এসে ধৃত করল।

" (সূরা ফুছছিলত/হামীম-১৭) অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেন- "অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলুন, আমি তোমাদেরকে সতর্ক করলাম এক কঠোর আযাব সম্পর্কে- আদ ও ছামুদের আযাবের মত। " (সূরা ফুছছিলত/হামীম-১৩) অপর আয়াতে আল্লাহ পাক বজ্রঘাতকে মহা প্রলয়ঙ্করী বলে সাব্যস্ত করেছেন। ৫৫) ব্যাপক লেখালেখি এবং কলামিষ্টদের ছড়াছড়িঃ আগের যুগে লেখালেখি এবং প্রচার-মাধ্যম এত ব্যাপক ছিল না। একটি গ্রন্থ প্রকশের জন্য কত কষ্ট, কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হত। কিন্ত এখন..! ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেন- "কেয়ামতের পূর্বমুহূর্তে নিম্নোক্ত বিষয়াবলী অধিক হারে ঘটতে থাকবেঃ ১) ব্যক্তি বিশেষ সালাম প্রদান ২) ব্যাপক ব্যবসা বাণিজ্য।

এমনকি স্ত্রী ও ব্যবসায় স্বামীকে সাহায্য করবে। ৩) আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকরণ ৪) মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদনি ৫) সত্য সাক্ষ গোপন ৬) কলাম প্রকাশ। " (মুসনাদে আহমদ) "কলম প্রকাশ" বলতে সম্ভবত লেখালেখি এবং অধিক হারে বই পুস্তক প্রকাশের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। প্রকাশনা এবং ছাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন আবিষ্কার ও মাধ্যম সহজ হওয়ার ফলে যে কেউ চাইলেই পুস্তক প্রকাশ করতে পারবে। এতকিছুর পর ও দ্বীনী এবং ইসলামী শিক্ষায় মানুষের মধ্যে মূর্খতা প্রকাশ পাবে।

আনাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেন- "কেয়ামতের নিদর্শনাবলীর মধ্যেঃ ১) কোরআনের জ্ঞান উত্তোলন ২) ব্যাপক হারে মূর্খতা প্রকাশ (ইসলামী শিক্ষায়) ৩) যিনা ব্যাভিচার অধিক ও ব্যাপক ভাবে প্রকাশ ৪) মদ্যপান ৫) পুরুষ হ্রাস এবং মহিলা বৃদ্ধি। এক পর্যায়ে-পঞ্চাশ জন নারীর দায়ভার একজন পুরুষ গ্রহণ করবে। " (বুখারী-মুসলিম) আমরা দেখতে পাচ্ছি এসবের অধিকাংশই এখন ঘটতেছে যার কথা আল্লাহর নবী ১৪০০ বছর পূর্বে বলে গেছেন। এর পর যা ঘটবে তা অত্যন্ত ভয়াবহ, আল্লাহপাক তার পূর্বেই আমাদের দুনিয়া থেকে ভালোয় ভালোয় তুলে নিক এই কামনা করি। চলবে....... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.