আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌনতা !! হার্ট সুস্থ্য রাখার এক বিস্ময়কর পন্থা !!! (আঠারো প্লাস)

হৃদরোগের সঙ্গে যৌনতার সরাসরি কি কোন সম্পর্ক আছে? কিংবা এমন সম্পর্ক থাকা আদৌ কি সম্ভব? দশ বছর ধরে পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফল কিন্তু এর স্বপক্ষেই। কেবলমাত্র বাছাই করা পুরুষদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে কিছু পুরুষ স্ত্রী বা বান্ধবীর সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন মাসে মাত্র একবার, বা তারও কম দিন। আবার এমন পুরুষের সংখ্যাও কম নয় যারা সপ্তাহে দুই বা তারও বেশিবার যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করেছেন। দু দলের ওপরই নজর রাখা হল- দেখা গেল, দশ বছরের মধ্যে প্রথম দলের পুরুষেরা যতজন হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন, দ্বিতীয় দলের পুরুষের সংখ্যা তার অর্ধেকেরও কম। এই সমীক্ষাটি করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে।

অবশ্য বিতর্ক তাড়া করেছে এই সমীক্ষক দলটিকেও। তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত ‘হৃদরোগরে সঙ্গে যৌনতার সরাসরি সম্পর্ক আছে’-এর বিরুদ্ধেই ছুড়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জ। দাবি উঠেছে, তাদের আগে প্রমাণ করতে হবে যারা ঘন ঘন মিলিত হয়েছেন সেই কারণেই তাদের হৃদরোগের হার কম, নাকি এদের হার্টের অবস্থা অপেক্ষাকৃত সুস্থ ছিল বলেই এরা ছিলেন অনেক বেশি প্রাণবন্ত এবং ঘন ঘন মিলনে উৎসাহী! প্রেমের সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ তথা এন্টিবডি তৈরির সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা চলছিল মার্কিন দেশে। একশোর ওপর কলেজ ছাত্রছাত্রীকে বাছাই করা হয় এ জন্য। জানিয়ে রাখা যাক, বয়স নেহাত অল্প হলেও এদের কিন্তু অভিজ্ঞতা ব্যাপক।

রেগুলার ‘ডেটিং’ তথা যৌনমিলনের অভ্যাস ছিল এদের মধ্যে অনেকেরই। আবার যৌনতায় নিরুৎসাহী বেশ কিছু পড়ুয়া ছেলেমেয়েও ছিল এদের দলে। এদের শরীরের ইমিউনোগ্লোবিন বা জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করা এন্টিবডির মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হল। দেখা গেল, সপ্তাহে যারা দুই কি একদিন যৌনক্রিয়া করেছেন, তাদের শরীরে এন্টিবডির মাত্রা ৩০৫ বেশি, যারা একদিনও করেননি তাদের চেয়ে। গবেষকদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছিল ফলাফলের বাকি অংশটুকু।

এই দলের মধ্যে এমন রোমিও জুলিয়েটরাও ছিলেন, যারা সপ্তাহে দু দিনের বেশি যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করে থাকে নিয়মিত। দেখা গেল, এদের ইমিউনোগ্লোবিন-এর মাত্রা আর কৌমার্য রক্ষাকারী ছেলেমেয়েদের মাত্রা সমান সমান। প্রকৃতির মর্জি বোঝা সতিই বড় ভার। যৌনতার চরম মাত্রা তবে কি নির্দিষ্ট করে দিতে চায় প্রকৃতি? অক্সিটোসিন হরমোন যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। আবার শরীরের ক্ষত সারাতেও এটি সহায়তা করে বলে জানা যাচ্ছে।

জেট যুগের একাকীত্ব কি ডিপ্রেশন বাড়িয়ে তুলছে? তুলছে তো বটেই, এবং বিজ্ঞানীদের মোক্ষম দাওয়াই, যৌনতা উপভোগের মাধ্যমে লড়াই করুন অবসাদের বিরুদ্ধে। প্রাণবন্ত যৌনতা – * মানসিক চাপ কমায়, ভাল রাখে রক্তচাপ * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় * সেক্স ক্যালরি পোড়ায় * হার্টকে সুস্থ্য রাখে * আত্মসম্মান বাড়ায় * অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি করে * সেক্স নিম্নাংগের ব্যথা কমায় * প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় * পেলভিক ফ্লোর পেশীকে শক্তিশালী করে * ভালো ঘুমে সহায়তা করে। যৌনতা মানে কিন্তু আত্মরতি, হস্তমৈথুন, মাস্টারবেশন, পর্ণোগ্রাফি দর্শনও! বয়স্ক পুরুষদের নিয়ে একটি সমীক্ষায় এদের উপযোগিতা টের পাওয়া গেছে। দেখা গেছে এদের মধ্যে যারা নিয়মিত স্বমৈথুন করেন তারা কম অবসাদে ভোগেন। আর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যৌন উৎসাহী পুরুষেরা দীর্ঘজীবী হন।

আবার, মহিলাদের স্তনের ক্যান্সার এবং পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে যৌনমিলন, এও প্রমাণ হয়েছে, যদিও এর কারণ ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত অজানা। সব মিলিয়ে যৌনতার সঙ্গে দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে সুখী জীবন উপভোগ করার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠভাবেই আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। (আমাদের সমাজে যৌনতার ক্ষেত্রে এমন কোন পদ্ধতির চর্চা বা আচরন করা উচিৎ নয় যা পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে অসংগতিপূর্ন কিংবা জীবনের কোননা কোন সময় পাপবোধে ভারাক্রান্ত করবে, পোড়াবে অনুশোচনার আগুনে)। সূত্রঃ এখানে  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।