আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের রেলওয়ে..........।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১১। আমি এবং আমার এক বন্ধু বাড়ি যাওয়ার উদ্দ্যেশে কমলাপুর রেলষ্টেশনে গেলাম। তখন বিকেল ৪.৩০। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। টিকেট কাউন্টারে ভিড় দেখে গেটের কাছে টিকেট করতে গেলাম।

গেটের লোকজন ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে বলে দ্রুত ট্রেনে উঠে যেতে বলল। তারা বলল যে, ট্রেনেই টিকেট করা যাবে। ট্রেনে উঠতে গিয়ে আমরা প্ল্যাটফরমে রেলপুলিশ এবং টিটির বাঁধার সম্মুখীন হলাম। ওরা আমাদের কাছে টিকেট চাইল। আমরা বললাম, টিকেট করতে পারিনি।

আমরা ওদের কাছে টিকেট চাইলাম। ওরা বলল, ‘টিকেট লাগবেনা, টাকা দেন, আমরাই নেয়ার ব্যবস্থা করব’। আমরা অবৈধ ভাবে কখনই ট্রেনে চড়িনি বলে ওভাবে যেতে রাজি হলাম না। ফলে ওই ট্রেনে যেতে পারলামনা। পরের ট্রেনে যাব বলে মনঃস্থির করলাম।

ঘণ্টা খানেক লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রইলাম। যখন কাউন্টারে পৌঁছলাম, তখন কাউন্টারের ভদ্রলোক বললেন, ভিতর থেকে টিকেট নিতে। অনেক বলে-কয়েও তার কাছ থেকে টিকেট যোগাড় করতে পারলামনা। অতঃপর গেলাম গেটে। আগের মতই বলল ভিতরে টিকেট করতে।

কোন ভাবেই তারা দিতে রাজি হলনা। অথচ তাদের হাতে টিকেটের বই/ভাউচার আছে। ট্রেনে উঠতে গেলাম, আগের মতই বাধা। টিকেট চাইলাম । সেই পূর্বের বুলিই শুনতে পেলাম।

বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে টিকেট ছাড়াই ট্রেনে উঠলাম। অথচ কী আশ্চর্য ওরা সেই আগের লোকগুলো নয়! আমাদের রেলবিভাগ এইরকম চক্রাকারেই বারবার আবর্তিত হচ্ছে। অন্য অনেক বিভাগের মত রেলবিভাগও ভয়ঙ্কর কিছু পশুর হাতে জিম্মি। এইসব ভয়ঙ্কর পশুরা আমাদের প্রিয় দেশটাকে তিলে-তিলে শেষ করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদের পূর্বসূরিরা একাত্তরে হায়েনাদের কাছ থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করেছেন।

আজ সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘নতুন হায়েনাদের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।