আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু রামছাগল ও ডিজুস আবাল



যে কোন জিনিস, তা সে বস্তুগত হোক অথবা অবস্তুগত হোক, কিছু শ্রেণীবিন্যাস ধারণ করে। চিরায়ত এবং বাজারীর মধ্যে পার্থক্য সুষ্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। যা কিছু চিরায়ত, তা চিরায়ত শব্দটির মতই বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করত, দেশ, কাল, পাত্র ছাড়িয়ে সর্বজনবিদিত এবং সর্বজনগৃহীত। একজন বাজারী ছবির নায়ক, গণতন্ত্রের বলে বলীয়ান হয়ে যখন চিরায়ত শব্দটির অধিকার দখল করতে যান, অথবা তার ভক্তকুল কর্তৃক চিরায়ত বিষয়টি তার উপর আরোপিত হয়, তখন দুই চারটি খিস্তি করাটা দোষের তো নয়ই বরং প্রয়োজনীয়। বলা কওয়া ছাড়াই নাচাগানার মত অবাস্তব, অতিচিত্রায়িত ও হাস্যকর বিষয়কে ততোধিক হাস্যকর ভাবে চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করাটা বাজারী বৈকি! অভ্যস্ততার ফলে সহ্য হলেও, তা বাজারী এবং তার মূল্যও মুদি দোকানের আটার মত উঠানামা করবে এবং তা নিয়ে দরদামও করা সম্ভব।

তাই এইসব বাজারী নাচাগানার ছবির বাজারী নায়ককে নিয়ে কেউ যদি সন্তুষ্ট থাকে, তবে তা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু যদি সে তা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মত পবিত্র জ্ঞানে, ধর্মযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে, তবে তার পশ্চাতে কষে দুটো লাথি মারাটাই নাগরিক ও মানবিক চাহিদা হিসেবে পরিগণিত। এইসকল রামছাগলদের মধ্যে সিংহভাগকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, ধান গাছ থেকে কাঠ হয় কিনা, তাহলে বেশীরভাগই উড়ামুড়া করে চিন্তা করে উত্তর দেবে, যেহেতু ধানগাছও একটা গাছ, সেহেতু কাঠ হতে পারে। কয়েকজনকে দেখলাম বলছে, বাচ্চারাও নাকি হিন্দি জানে। সেখানে গাজী ইলিয়াসের জন্য হিন্দি না জানাটা বিশাল একটি কবীরা গুনাহ বৈকি! গাজী ইলিয়াসের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটা সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে এই জাতীয় ঘটনা ঘটতেই পারে।

যে কোন জায়গায় যে কোন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এবং এর সাম্ভাব্য প্রতিকারের প্রস্তুতি থাকে। এতে হতবিহ্বল হবার কিছু নাই। কিন্তু এই ডিজুস ছাগলরা এতে প্রচন্ড বিচলিত। ভারতের সীমান্তরক্ষী যখন আমাদের বাচ্চাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়, তখন এই মাদারচোদগুলা বিচলিত হয় না। যখন আমাদের লোকজন সীমান্তে নির্বিচারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তখন এই মাঙ্গের বালেরা ফেসবুকে নিচের উল্লেখিত পৃষ্ঠা খোলে না কোন প্রতিবাদ জানিয়ে।

আমাদের বাংলা ছবির নায়কদের সাথে আজকের আলোচিত নায়কের গুনগত পার্থক্য থাকলেও, কোন মৌলিক পার্থক্য নাই। আমাদের নায়করাও নায়িকার সাথে বনে বাদাড়ে যখন নেচে নেচে গান গায় তখন দৃশ্যপটের অন্তরালে সুসংগঠিত বাদ্য বাজনা হয়ে থাকে, যদিও বাদকের কোন উপস্থিতি সেখানে থাকে না। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পরিবর্তে গাজাখুড়ি কল্পচিত্রায়ন (যেখানে অত্যন্ত অবাস্তব নাচ-গান পরিবেশিত হয়) উভয় পক্ষের জন্যই স্বাভাবিক। শুধু আর্থিক অবস্থা, কলাকুশলীদের দক্ষতা এখানে নর্দমার পাশের ছাপড়ার গাজা বিক্রয় কেন্দ্র থেকে, সুসজ্জিত হোটেলের ইয়াবা বিক্রয়ে উন্নতি লাভ করে। তাই এই কাপড় খুলে, আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে ভক্তির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন কেবল মূর্খতারই নামান্তর।

কালিঝুলি মাখা ছবি দিয়ে, কাঁদো কাঁদো মুখে, হৃদয় বিদারক আকুতি তারা বাজারীর কাছে পৌছাতে চান। একজন বাজারী বিচার করবে আমাদের জাতী অথবা জাতির গুণগত বৈশিষ্ট্য। অত্যন্ত হাস্যকর। যে মাদারচোদেরা নিজেরাই বিজায়ীয় গাজাখুড়ি সংস্কৃতির নর্দমায় গড্ডালিকা প্রবাহে নিজেদের বিসর্জন দিয়েছে, তারা করে আমাদের জাতিসত্ত্বার, মানসম্মানের ঠিকেদারী। চোদে না মাঙ্গে, মাল পড়ে ঠ্যাঙ্গে।

বাজারীর কাছে আমাদের মানইইজ্জত সমুন্নত রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে এই ডিজুস ছাগলদের কাছে। শুয়োরচোদারা চিনছে এক বাজারী, আর তার প্রেমে এমনই মত্ত যে, পারলে সমকামী হয়ে যেত এবং ব্রজবালা হয়ে শাড়ী পড়ে বাকী জীবন কাটিয়ে দিত। যে হারে আমরা বাজারীর ভাষায় দক্ষতা দেখালাম, তাতে বাজারী খুব স্বস্তি অনুভব করেছে এবং অনেকটা "নিজের বাড়ী" "নিজের বাড়ী" হিসেবে স্থানবৈপরীত্যের প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকেছে। এর পুরো কৃতিত্ত্ব কিছু রামছাগলের।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.