আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছন্দের যাদুকরদের ছন্দময় প্রিয় কবিতারা



বললে গাধা মনের দুঃখে অনেকখানি ভেবে- "বয়েস গেল খাটতে খাটতে, বৃদ্ধ হলাম এবে, কেউ করে না তোয়াজ তবু, সংসারের কি রীতি! ইচ্ছে করে এক্ষুনি দিই কাজে কর্মে ইতি। কোথাকার ঐ নোংরা কুকুর ,আদর যে তার কত - যখন তখন ঘুমোচেছ সে লাটসাহেবের মত! ল্যাজ নেড়ে যেই, ঘেউ ঘেউ ঘেউ, লাফিয়ে দাঁড়ায় কোলে, মনিব আমার বোক্‌চন্দর্, আহ্লাদে যান গলে। আমিও যদি সেয়ানা হতুম, আরামে চোখ মুদে রোজ মনিবের মন ভোলাতুম আমি নেচে কুঁদে। ঠ্যাং নাচাতুম , ল্যাজ দোলাতুম, গান শোনাতুম সাধা - এ বুদ্ধিটা হয়নি আমার - সাধে কি বলে গাধা! বুদ্ধি এঁটে বসল গাধা আহ্লাদে ল্যাজ নেড়ে, নাচ্‌ল কত, গাইল কত, প্রাণের মায়া ছেড়ে। তারপরেতে শেষটা ক্রমে স্ফুতি এল প্রাণে চলল গাধা খোদ্ মনিবের ড্রয়িংরুমের পানে।

মনিবসাহেব ঝিমুচ্ছিলেন চেয়ারখানি জুড়ে, গাধার গলার শব্দে হঠাৎ তন্দ্রা গেল উড়ে। চম্‌কে উঠে গাধার নাচন যেমনি দেখেন চেয়ে, হাসির চোটে সাহেব বুঝি মরেন বিষম খেয়ে। ভাব্‌লে গাধা - এই তো মনিব জল হয়েছেন হেসে এইবারে যাই আদর নিতে কোলের কাছে ঘেষে। এই না ভেবে এক্কেবারে আহ্লাদেতে ক্ষেপে চড়্ল সে তার হাটুর উপর দুই পা তুলে চেপে। সাহেব ডাকেন 'ত্রাহি ত্রাহি' গাধাও ডাকে 'ঘ্যাঁকো', অর্থাৎ কিনা কোলে চড়েছি, এখন আমায় দ্যাখো! ডাক শুনে সব দৌড়ে এল ব্যস্ত হয়ে ছুটে , দৌড়ে এল চাকর বাকর মিস্ত্রী মজুর মুটে, দৌড়ে এল পাড়ার লোকে ,দৌড়ে এল মালী - কারুর হাতে ডান্ডা লাঠি কারু বা হাত খালী।

ব্যাপার দেখে অবাক সবাই ,চক্ষু ছানা বড়া - সাহেব বললে, "উচিত মতন শাসন টি চাই কড়া। " হাঁ হাঁ বলে ভীষন রকম উঠ্ল সবাই চটে। দে দমাদম্ মারের চোটে গাধার চমক্ ছোটে। ছুটল গাধা প্রাণের ভয়ে গানের তালিম ছেড়ে, ছুটল পিছে একশো লোকে হুড়মুড়িয়ে তেড়ে। তিন পা যেতে দশ ঘা পড়ে, রক্ত ওঠে মুখে - কষ্টে শেষে রক্ষা পেলে কাঁটার ঝোপে ঢুকে।

কাঁটার ঘায়ে চামড়া গেল সার হল তার কাঁদা; ব্যাপার শুনে বললে সবাই, "সাধে কি বলে গাধা"। সুকুমার রায়ের এই কবিতাটি মনে পড়েছে আমার জীবনের বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন কারন বশত। তাই বলে যেন ভেবে বসবেন না আমাকেই লোকে বলেছে "সাধে কি বলে গাধা?" মানে আমার গাধামী দেখে। মোটেই তেমন নয়। আমি মোটেই তেমন গাধা নই।

বরং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের গাধামী দেখেই এমন মনে হয়েছে আমার। তবু এই কবিতার এই গাধাটার জন্য আমার একটু একটু কষ্ট হয়। আহারে বেচারা গাধা। ছিপখান তিন-দাঁড় - তিনজন মাল্লা চৌপর দিন-ভোর দ্যায় দূর-পাল্লা! পাড়ময় ঝোপঝাড় জঙ্গল-জঞ্জাল, জলময় শৈবাল পান্নার টাঁকশাল | কঞ্চির তীর-ঘর ঐ-চর জাগছে, বন-হাঁস ডিম তার শ্যাওলায় ঢাকছে| চুপ চুপ - ওই ডুব দ্যায় পান্ কৌটি দ্যায় ডুব টুপ টুপ ঘোমটার বৌটি! ঝকঝক কলসীর বক্ বক্ শোন্ গো ঘোমটার ফাঁক বয় মন উন্মন গো| তিন-দাঁড় ছিপখান মন্থর যাচ্ছে, তিনজন মাল্লায় কোন গান গাচ্ছে? রূপশালি ধান বুঝি এইদেশে সৃষ্টি, ধুপছায়া যার শাড়ী তার হাসি মিষ্টি| মুখখানি মিষ্টিরে চোখদুটি ভোমরা ভাব-কদমের - ভরা রূপ দেখ তোমরা ! ময়নামতীর জুটি ওর নামই টগরী, ওর পায়ে ঢেউ ভেঙে জল হোলো গোখরী! ডাক পাখী ওর লাগি' ডাক ডেকে হদ্দ, ওর তরে সোঁত-জলে ফুল ফোটে পদ্ম| ওর তরে মন্থরে নদ হেথা চলছে, জলপিপি ওর মৃদু বোল বুঝি বোলছে| দুইতীরে গ্রামগুলি ওর জয়ই গাইছে, গঞ্জে যে নৌকা সে ওর মুখই চাইছে| আটকেছে যেই ডিঙা চাইছে সে পর্শ, সঙ্কটে শক্তি ও সংসারে হর্ষ| পান বিনে ঠোঁট রাঙা চোখ কালো ভোমরা, রূপশালী-ধান-ভানা রূপ দেখ তোমরা পান সুপারি! পান সুপারি! এইখানেতে শঙ্কা ভারি, পাঁচ পীরেরই শীর্ণি মেনে চলরে টেনে বৈঠা হেনে; বাঁক সমুখে, সামনে ঝুঁকে বাঁয় বাঁচিয়ে ডাইনে রুখে বুক দে টানো, বইটা হানো - সাত সতেরো কোপ কোপানো| হাড়-বেরুনো খেজুরগুলো ডাইনী যেন ঝামর-চুলো নাচতে ছিল সন্ধ্যাগমে লোক দেখে কি থমকে গেল| জমজমাটে জাঁকিয়ে ক্রমে রাত্রি এল রাত্রি এল| ঝাপসা আলোয় চরের ভিতে ফিরছে কারা মাছের পাছে, পীর বদরের কুদরতিতে নৌকা বাঁধা হিজল-গাছে| আর জোর দেড় ক্রোশ - জোর দের ঘন্টা, টান ভাই টান সব - নেই উত্কণ্ঠা| চাপ চাপ শ্যাওলার দ্বীপ সব সার সার, বৈঠৈর ঘায়ে সেই দ্বীপ সব নড়ছে, ভিল্ ভিলে হাঁস তায় জল-গায় চড়ছে| ওই মেঘ জমছে, চল্ ভাই সমঝে, গান গাও দাও শিশ, বকশিশ! বকশিশ! খুব জোর ডুব-জল বয় স্রোত ঝিরঝির, নেই ঢেউ কল্লোল, নয় দুর নয় তীর| নেই নেই শঙ্কা, চল্ সব ফুর্তি, বকশিশ টঙ্কা, বকশিশ ফুর্তি| ঘোর-ঘোর সন্ধ্যায়, ঝাউ-গাছ দুলছে, ঢোল-কলমীর ফুল তন্দ্রায় ঢুলছে| লকলক শর-বন বক তায় মগ্ন, চুপচাপ চারদিক - সন্ধ্যার লগ্ন| চারদিক নিঃসাড়, ঘোর-ঘোর রাত্রি, ছিপ-খান তিন-দাঁড়, চারজন যাত্রি| জড়ায় ঝাঁঝি দাঁড়ের মুখে ঝউয়ের বীথি হাওয়ায় ঝুঁকে ঝিমায় বুঝি ঝিঁঝিঁর গানে - স্বপন পানে পরাণ টানে| তারায় ভরা আকাশ ওকি ভুলোয় পেয়ে ধূলোর পরে লুটিয়ে পল আচম্বিতে কুহক-মোহ-মন্ত্র-ভরে! কেবল তারা! কেবল তারা! শেষের শিরে মানিক পারা, হিসাব নাহি সংখ্যা নাহি কেবল তারা যেথায় চাহি| কোথায় এল নৌকাখানা তারার ঝড়ে হই রে কাণা, পথ ভুলে কি এই তিমিরে নৌকা চলে আকাশ চিরে! জ্বলছে তারা! নিভছে তারা! মন্দাকিনীর মন্দ সোঁতায়, যাচ্ছে ভেসে যাচ্ছে কোথায় জোনাক যেন পন্থা-হারা| তারায় আজি ঝামর হাওয়া- ঝামর আজি আঁধার রাতি, অগুনতি অফুরান তারা জ্বালায় যেন জোনাক-বাতি| কালো নদীর দুই কিনারে কল্পতরু কুঞ্জ কি রে? ফুল ফুটেছে ভারে ভারে - ফুল ফুটেছে মাণিক হীরে| বিনা হাওয়ায় ঝিলমিলিয়ে পাপড়ি মেলে মাণিক-মালা; বিনি নাড়ায় ফুল ঝরিছে ফুল পড়িছে জোনাক জ্বালা| চোখে কেমন লগছে ধাঁধা - লাগছে যেন কেমন পারা, তারাগুলোই জোনাক হল কিম্বা জোনাক হল তারা| নিথর জলে নিজের ছায়া দেখছে আকাশ ভরা তারায়, ছায়া-জোনাক আলিঙ্গিতে জলে জোনাক দিশে হারায়| দিশে হারায় যায় ভেসে যায় স্রোতের টানে কোন্ দেশে রে? মরা গাঙ আর সুর-সরিত্ এক হয়ে যেথায় মেশে রে! কোথায় তারা ফুরিয়েছে, আর জোনাক কোথা হয় সুরু যে নেই কিছুরই ঠিক ঠিকানা চোখ যে আলা রতন উঁছে| আলেয়াগুলো দপদপিয়ে জ্বলছে নিবে, নিবছে জ্বলে', উল্কোমুখী জিব মেলিয়ে চাটছে বাতাশ আকাশ-কোলে! আলেয়া-হেন ডাক-পেয়াদা আলেয়া হতে ধায় জেয়াদা একলা ছোটে বন বাদাড়ে ল্যাম্পো-হাতে লকড়ি ঘাড়ে; সাপ মানে না, ভাঘ জানে না, ভূতগুলো তার সবাই চেনা, ছুটছে চিঠি পত্র নিয়ে রণরণিয়ে হনহনিয়ে| বাঁশের ঝোপে জাগছে সাড়া, কোল্-কুঁজো বাঁশ হচ্ছে খাড়া, জাগছে হাওয়া জলের ধারে, চাঁদ ওঠেনি আজ আঁধারে! শুকতারাটি আজ নিশীথে দিচ্ছে আলো পিচকিরিতে, রাস্তা এঁকে সেই আলোতে ছিপ চলেছে নিঝুম স্রোতে| ফিরছে হাওয়া গায় ফুঁ-দেওয়া, মাল্লা মাঝি পড়ছে থকে; রাঙা আলোর লোভ দেখিয়ে ধরছে কারা মাছগুলোকে! চলছে তরী চলছে তরী - আর কত পথ? আর ক'ঘড়ি? এই যে ভিড়াই, ওই যে বাড়ী, ওই যে অন্ধকারের কাঁড়ি - ওই বাঁধা-বট ওর পিছন্ দেখছ আলো? ঐতো কুঠি ঐখানেতে পৌঁছে দিলেই রাতের মতন আজকে ছুটি| ঝপ ঝপ তিনখান দাঁড় জোর চলছে, তিনজন মাল্লার হাত সব জ্বলছে; গুরগুর মেঘ সব গায় মেঘ মল্লার, দূর-পাল্লার শেষ হাল্লাক্ মাল্লার! মাই গড! তাল লয় ছন্দের এমন মুহুর্মুহু পরিবর্তন অথচ মোটেই শ্রুতিকটু নয় এমন কবিতা আর বেশী একটা পড়েছি বলে মনে পড়েনা। আবার ঠিক যেন একটি বাস্তব চলৎচিত্র ফুঁটে উঠেছে বই এর পাতায়।

লেখার হরফ গুলোর মাঝেই তা দৃশ্যমান। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের এই দীর্ঘ ছড়া ছড়া কবিতাটি বাংলার প্রকৃতির বিশেষ করে মাঝি জীবনের এক চোখে দেখা, হাতে আঁকা ও কানে শোনা চিত্র যেন। তাল লয় , ছন্দ আহা এ জীবনে মরনে কোনোদিন কি চিন্তাও করতে পারি এমন একটি লেখা লিখবার? রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! বারেক ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?” ওই যে দেখ নীল-নোয়ানো সবুজ ঘেরা গাঁ, কলার পাতা দোলায় চামর শিশির ধোয়ায় পা, সেথায় আছে ছোট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া, সাঁঝ-আকাশের ছড়িয়ে-পড়া আবীর রঙে নাওয়া, সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা- সেথায় যাব, ও ভাই এবার আমায় ছাড় না। ” রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! আবার কোথা ধাও, পুব আকাশে ছাড়ল সবে রঙিন মেঘের নাও। ” “ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে, সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে।

আমার সাথে করতে খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই, সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই। চলতে পথে মটরশুঁটি জড়িয়ে দুখান পা, বলছে ডেকে, গাঁয়ের রাখাল একটু খেলে যা। সারা মাঠের ডাক এসেছে, খেলতে হবে ভাই। সাঁঝের বেলা কইব কথা এখন তবে যাই। রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! সারাটা দিন খেলা, এ যে বড় বাড়াবাড়ি, কাজ আছে যে মেলা।

কাজের কথা জানিনে ভাই, লাঙল দিয়ে খেলি নিড়িয়ে দেই ধানের ক্ষেতের সবুজ রঙের চেলী। সরষে বালা নুইয়ে গলা হলদে হাওয়ার সুখে। টির বোনের ঘোমটা খুলে চুম দিয়ে যায় মুখে। ঝাউয়ের ঝাড়ে বাজায় বাঁশী পোউষ-পাগল বুড়ী, আমরা সেথা চষতে লাঙল মুশীদা-গান জুড়ি। খেলা মোদের গান গাওয়া ভাই, খেলা-লাঙল-চষা, সারাটা দিন খেলতে জানি, জানিই নেকো বসা’।

জসীমউদ্দীনের রাখাল ছেলে। আহা যেন আজো দেখতে পাই সেই এক রাখাল ছেলেকে । আর ঐ মেয়েটি, যে ডেকে যাচ্ছে ছেলেটিকে, সে কে ?কেউই নয় আর আমি ছাড়া? চলতে পথে মটরশুঁটি জড়িয়ে দুখান পা, বলছে ডেকে, গাঁয়ের রাখাল একটু খেলে যা। ইশ কি করে যে এমন করে ভাবা যায় ! সত্যি তো চলতে পথে মটরশুটি পা জড়িয়ে ধরে। আর সরষে বালা নুইয়ে গলা হলদে হাওয়ার সুখে, আরে চোখের সামনে তো ভেসে ওঠে হলুদ হলুদ ফ্রক পরা ছোট্ট ছোট্ট সরষে ফুলবালিকাদেরকেই।

সত্যি তো। কি সুন্দর ! লিচুচোর বাবুদের তাল-পুকুরে হাবুদের ডাল-কুকুরে সে কি বাস করলে তাড়া, বলি থাম একটু দাড়া। পুকুরের ঐ কাছে না লিচুর এক গাছ আছে না হোথা না আস্তে গিয়ে য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে গাছে গো যেই চড়েছি ছোট এক ডাল ধরেছি, ও বাবা মড়াত করে পড়েছি সরাত জোরে। পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই, সে ছিল গাছের আড়েই। ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার, ধুমাধুম গোটা দুচ্চার দিলে খুব কিল ও ঘুষি একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড় দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড় লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল, দেখি এক ভিটরে শেয়াল! … সেকি ভাই যায় রে ভুলা- মালীর ঐ পিটুনিগুলা! কি বলিস ফের হপ্তা! তৌবা-নাক খপ্তা…! হা হা হা এই একটা কবিতাই বুঝিয়ে দেয়, কি দূরন্ত আর দুষ্টু ছিলো কবি নজরুল। মনে পড়ে নাক খপ্তা বললেই প্রতিবার হাসতাম আমি আমার ছেলেবেলায়। আমার ধারনা আজো ছোটবাবুরা সব্বার শেষে এসে নাক খপ্তা বললে হেসে ফেলবেই। সব বাচ্চাদের মনের আর ভালো লাগার এক অদ্ভুত মিল আছে। বড় হলেই বড় হবার সাথে সাথে শুধু মিল গুলো বদলে যায়।

সুকুমার রায় বাবুরাম সাপুড়ে বাবুরাম সাপুড়ে, কোথা যাস্ বাপুরে? আয় বাবা দেখে যা, দুটো সাপ রেখে যা! যে সাপের চোখ্ নেই, শিং নেই নোখ্ নেই, ছোটে না কি হাঁটে না, কাউকে যে কাটে না, করে নাকো ফোঁস্ ফোঁস্, মারে নাকো ঢুঁশ ঢাঁশ, নেই কোন উৎপাত, খায় শুধু দুধ ভাত- সেই সাপ জ্যান্ত গোটা দুই আনত? তেড়ে মেরে ডান্ডা করে দিই ঠান্ডা। শুরুটা করেছি প্রিয় কবি সুকুমারকে দিয়ে শেষটাও তাকে দিয়েই করলাম। বিশাল বড় একটা পোস্ট হয়ে গেলো। সব প্রিয় লেখা আনতে গেলে তো এ জীবনটাই ফুরিয়ে যাবে। থাক এটুকুতেই আপাতত শেষ করি আজ।

হঠাৎ হঠাৎ ছেলেবেলা আর ছেলেবেলার সব প্রিয় জিনিসগুলো মনে পড়ে যায়। তেমনি একটা দিন ছিলো আজ আমার । ভোর হতে আজ জেগে দেখি শিশির ঝরা ঘাসে , সারা রাতের স্বপ্ন আমার মিঠেল রোদে হাসে। রাখাল ছেলের মিঠেল রোদে হাসা স্বপনটি হয়তো তার মাঠের ফসল হতে পারে কিন্তু আমার মিঠেল স্বপ্ন মানেই আমার স্বপ্নময় ছেলেবেলা যেখানে রাখাল ছেলের সাথে সাথে লিচুচোর ছেলেটিও জড়িয়ে আছে এক পরম মায়াময় রাজ্যে। যেখানে হয়তো কখনও আর ফিরে যাওয়া যায়না।

শুধুই অনুভুতি দিয়ে অনুভব করা যায় তার মমত্ব। আজ আমার সাথে আর সবাই ও না হয় কিছু ক্ষণের জন্য ফিরে যাক সুদূর অতীতে যার যার প্রিয় ছেলেবেলায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.