আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাফী: শৃঙ্গার রসের সন্ধেবেলার এক রাগ

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
সন্ধ্যে নামার পর চরাচরজুড়ে যে মৌনভাব জেগে ওঠে- তা বুঝি সঙ্গীতেও প্রতিফলিত হয়। নইলে কাফীর স্বরবিস্তারে কেন অত শান্তভাব ঝরে ঝরে পড়ে? সত্যিই কাফীর অবয়বজুড়েই যেন শৃঙ্গার রসের শান্ত ভাব। কাফীর প্রলম্বির সুরে কোথাও বিরহীর ব্যথাও যেন ওঠে ফুটে।

তবে, কাফী রাগ খুব পুরনো রাগ কিন্তু নয়। পঞ্চদশ শতকে ভারতবর্ষের মিথিলায় একজন সঙ্গীতজ্ঞ বাস করতেন। তাঁর নাম ছিল লোচন পন্ডিত। তিনি “রাগতরঙ্গিনী” নামে রাগসঙ্গীতের একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। কাফী শব্দটি ওখানেই প্রথম পাই আমরা।

ভারতীয় উপমহাদেশজুড়েই ব্যাপক জনপ্রিয় রাগ কাফি। লোকগীতির সুরেও রয়েছে কাফীর প্রভাব । রাগ কাফী সম্বন্ধে প্রাথমিক তথ্য: ঠাট: কাফী। (উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতে দশটি ঠাট রয়েছে-তার মধ্যে কাফী একটি) জাতি: সম্পূর্ন। (মানে ৭টি স্বরই ব্যবহৃত হয় কাফীতে) বাদী: পা।

(সবচে গুরুত্বপূর্ন স্বর) সম্বাদী: সা। ( পা-এর পরে সবচে গুরুত্বপূর্ন স্বর) স্বর: জ্ঞা ও নি কোমল। অবশিষ্ট স্বর শুদ্ধ। কোনও স্বরই বর্জিত নয়। আরোহ- সা রে জ্ঞা মা, পা ধা ণি র্সা।

অবরোহ- র্সা ণি ধা, পা, মা জ্ঞা, রে, সা। সময়- সন্ধ্যের পর। কারও কারও মতে মধ্যরাত্রি। উৎস: অপূর্বসুন্দর মৈত্র রচিত সঙ্গীত-কথা। কাফি রাগে আবদুল লতিফ খানের বাজানো সারেঙ্গী http://sarangi.info/alk স্কটিশ ইয়ামনের সেতারে বাজানো কাফি বাঁশীতে- পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কন্ঠে সরোদে কাফি
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.