আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৌড়ের উপর

*~*জীবনে যত কম প্রত্যাশা থাকবে ... .. . তত বেশী ভালো থাকা যাবে*~*

সময়ের বেইমানি,আশে-পাশের লোকজনের ঝাড়ির কারণে গতকাল সারাটা দিন দৌড়ের উপর ছিলাম। ঝাড়ি-দিবস বলতে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে আমি কালকের দিনটাকে বেছে নেবো। ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি বলেই ৯ টা পর্যন্ত ঘুম দিলাম। ১ম ঝাড়িটা দিলো মা,অনেক রাগ করে--"আরাম করে ঘুমাতে চাও,ভালো। আগে চাকরী ছাড়ো"।

এতোদিনের জমানো রাগ ঝাড়লো কারণ মা চায়নি এখনই চাকরী করি। ১০টার পর অফিসে যাওয়ার পর দেখি সাথের কলিগরা আসেনি আবার কাজ ও জমে আছে। বস দিলো ২য় ঝাড়ি--"তোমাদের মতন ইয়াং জেনারেশনের পুলাপাইন নিয়া কাজ করতে অনেক সমস্যা। অফিসে আসো দেরীতে,ফাঁকি দাও। পড়াশুনা শেষ করার আগেই চাকরী পাও তো, জুতার তলা ক্ষয় না।

এই জন্য কাজের মূল্য বুঝো না"। মিষ্টি মুখে কতো বড়ো ঝাড়ি দিলো। মাঝে আরেক জুনিয়র কলিগ ও হালকা করে ঝাড়ি দিলো। তখনই ঠিক করলাম আজ নীরব থাকবো, দেখি কে কতো ঝাড়ি দিতে পারে। বিকেলে বের হতে দেরী হলো।

বৃষ্টি হবে ভেবে সামনে যে বাস পেলাম তাতেই উঠলাম। সেখানে ও আরেক বিপত্তি। সামনে ২ সিট খালি তাতে না বসে ৪০ বছরের এক আন্টি পাশে বসতে চাইলো। বললাম --"আমি সামনেই নামবো,আপনি বরং ভিতরে বসুন"। উনি নাছোড়বান্দা আমার সিটেই বসবে।

বাধ্য হয়ে সরে যাওয়ার পর ও সারাটা রাস্তা উনার বকবকানি থামেনি। উনার ভাষায় উনি হাই-কোর্টের উকিল সবাই তাকে ভয় পায় আর আমি কিনা তর্ক করি। আমার অবশ্য পাগল ছাড়া অন্য কিছুই মনে হয়নি। শেষ ঝাড়িটা দিলো কাছের এক জন। সারাদিন এত বকা খেলাম কারো কল রিসিভ করতে মন চায়নি।

রাতে দেখি অনেক মিস কল। ভাবলাম সে কাছের মানুষ,নিজের দুঃখ শেয়ার করি। কল দেওয়ার সাথে সাথে কোন কথা না শুনেই সারাদিন কল রিসিভ না করার অজুহাতে নন-স্টপ ঝাড়ি.......। আ-ফ-সো-স, সবাই খালি ঝাড়িই দিলো। মনের দুঃখটা কেউ দেখলো না,বুঝলো না,জানলো ও না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.