আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্ত্বাবধায়ক চায় ৮৩ ভাগ মানুষ

জাতীয় পার্টি (জাপা) পরিচালিত এক জনমত জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছরে (এপ্রিল পর্যন্ত) দেশ সামগ্রিকভাবে যে পথে চলেছে, তা নিয়ে হতাশা বেড়েছে। ৮৪ শতাংশ মানুষ মনে করে দেশ সঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে না। মাত্র ১৪ শতাংশ মনে করে দেশ সঠিক পথে রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ২ শতাংশ মানুষ কোনো মতামত দেয়নি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জাপার তথ্য উপস্থাপনবিষয়ক সম্মেলনে এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।


জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া ঢাকার ৮৩ শতাংশ ও ঢাকার বাইরের ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করে, আগামী সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন হওয়া উচিত। আর বর্তমান সরকারের অধীন আগামী নির্বাচন হলে ৫৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে নিরাপদ বোধ করবে না।
এইচ এম এরশাদের নির্দেশনায় পরিচালিত জাপার গবেষণা ও কৌশল নির্ধারণ শাখা গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত সারা দেশে কয়েক দফা বিষয়ভিত্তিক একাধিক জরিপ চালায়। বিশ্লেষণসহ জরিপের ফলাফল পুস্তিকা আকারে ছাপিয়ে আজ দলীয় নেতাদের দেওয়া হয়েছে। এরশাদের উপস্থিতিতে জাপার গবেষণা ও কৌশল নির্ধারণ শাখার প্রধান ববি হাজ্জাজ এই জনমত জরিপের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।


ঢাকায় জরিপের অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশ মানুষ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করে। বাকি ৫০ শতাংশ সঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালে সুবিচার নিশ্চিত হবে না বলে মনে করে ৬০ শতাংশ মানুষ।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের বিষয়ে নিয়ে ৮০ শতাংশ মানুষ অবগত। তবে এতে সমর্থন আছে ৩২ শতাংশের।

৫০ শতাংশ মানুষ এ কর্মসূচির বিরুদ্ধে। ১৮ শতাংশ পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মত দেয়নি।
শাহবাগ আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, সেটার বিপক্ষে মত দিয়েছে ঢাকার ৬৫ শতাংশ মানুষ। আবার ৭৫ শতাংশ মানুষ জামায়াতের কর্মসূচি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘শাহবাগ গণজাগরণ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কিছু ব্লগারের ইসলাম ধর্মবিরোধী প্রচারণার প্রতিবাদে’ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন শুরু হয়।

এ আন্দোলন সম্পর্কে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ জানে। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ এ আন্দোলনকে ইতিবাচক এবং ২২ শতাংশ নেতিবাচক মনে করে। ৩৭ শতাংশ কোনো মত দেয়নি।

সবচেয়ে পছন্দের নেতা এরশাদ
জাপার জরিপে দাবি করা হয়, ৮২ শতাংশের পছন্দের নেতা এরশাদ। ৭৩ শতাংশ শেখ হাসিনাকে ও ৭২ শতাংশ খালেদা জিয়াকে পছন্দ করে।


জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক রাজনীতিবিদ সম্পর্কে মানুষের ধারণা, তাঁরা হচ্ছেন সুবিধাবাদী। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ শেখ হাসিনাকে সুবিধাবাদী মনে করে। ৪৮ শতাংশ খালেদা জিয়াকে এবং ৪৬ শতাংশ এরশাদকে সুবিধাবাদী মনে করে।
অনুষ্ঠানে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, ‘দেশ ঠিকভাবে চলছে না। এখন আওয়ামী লীগের একজন পাতি নেতার কথায়ও ওসি, এসপি, ডিসি বদলি হয়।

হুকুম দিয়ে মানুষ মারা হয়। অথচ আমি মাত্র দুজন লোকের (ডা. মিলন ও নূর হোসেন) মৃত্যুর কারণে ক্ষমতা ছেড়েছি। ’ তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের পরাজয়ের প্রধান কারণ শাহবাগ চত্বর। এই শাহবাগ চত্বর দেশকে বিভক্ত করেছে। এর কারণে হেফাজতে ইসলাম সৃষ্টি হয়েছে।


এরশাদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন সংশোধনেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে বিচারের পর আইন পরিবর্তনের জন্য সংসদে বিল পাস হয়।
অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.