বেপোয়া মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিরোধীদল এত মরিয়া কেন?
পৃথিবীর প্রায় সকল গণতান্ত্রিক দেশেই দলীয় সরকারের দ্বারা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হবে না, এটা আমার কথা নয়, আমাদের বিরোধীদলের রাজনীতিবিদদের কথা। আমাদের রাজনীতিবিদরা যে কতটা দুর্নীতিবাজ তা বিগত বিএনপি সরকারের আমলে দেশের জনগন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। যাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে জয়ী করি তাঁদের কাছ থেকে এত টুকু গ্রহন যোগ্যতা আমরা কেন আশা করতে পারি না? বর্তমানে রাজনীতিবিদদের নীতি, আদর্শ এতটাই বিধ্বস্ত হয়েছে যে, তাদের কথা আর কাজের সাথে কোন মিল নেই। জনগনের মহা মূল্যবান ভোটে একেকজন রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় আসীন হয়ে পরবর্তীতে ভুলে যান তারা জনগণকে কি প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।
কিন্তু এটা কি ঠিক? জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যিনি পালন করবেন উনি হলেন সত্যিকারের রাজনীতিবিদ বা দেশ প্রেমিক। আমাদের দেশে এখন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের অভাব। যারা আছেন তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। কিন্তু সেটা তো ঠিক নয়। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, বিরোধীদলকে সবসময় সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ না হয়ে একত্রে কাজ করতে হবে। সরকার বিরোধী দলকে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে, সংলাপের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। রাজনীতিবিদদের গ্রহন যোগ্য নির্বাচন করে দুর্নীতিবাজের কলঙ্ক মুছতে হবে। আর জাতির কপাল থেকে দুর্নীতিবাজের কলঙ্ক মুছতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। বিগত নির্বাচনগুলো যেহেতু সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে সেক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়কের কি প্রয়োজন? নাকি তত্ত্বাবধায়ক হলে তাদের ক্ষমতায় আসতে সুবিধা।
তাই বিরোধীদলের প্রতি অনুরোধ থাকবে তত্ত্বাবধায়কের জন্য হরতাল/ধর্মঘট করে দেশকে আর বিপর্যস্ত করবেন না। দেশের স্বার্থে, জনগনের স্বার্থে কাজ করুন, তাহলেই দেশের উন্নতি হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।