সোলায়মান সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে সকাল ১০টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুদক।
যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের ওপর বিশ্বব্যাংকের চাপ ছিল।
বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনেই ২৩ জুলাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগের এক মাস পর গত ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। গত ২৩ জুলাই থেকে তাঁর পদত্যাগ কার্যকর করা হয়েছে।
সৈয়দ আবুল হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের দুই দফায় দুবার মন্ত্রী হয়েছিলেন। দুবারই তাঁকে পদত্যাগ করতে হলো।
১৯৯৬-০১ মেয়াদে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। দুটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণের দায়ে তাঁর মন্ত্রিত্ব যায়। আর এবার গেল পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে।
এ ছাড়া একই অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের চাপে ছুটিতে পাঠানো হয় সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে। তিনি সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি অব্যাহত রাখতে মন্ত্রীসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার নাম দিয়ে তাঁদের ছুটিতে পাঠানোর শর্ত দিয়েছিল। এই শর্তের কথা চিন্তা করে, নতুন করে আলোচনা শুরুর ক্ষেত্র তৈরির অংশ হিসেবে আবুল হোসেনকে সরে যেতে বলা হয়। সরকারের ভেতর থেকেও এ জন্য চাপ ছিল।
গত ২৩ জুলাই রাতে সৈয়দ আবুল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ করেন।
এর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক।
এ সময় সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। গত জানুয়ারিতে তাঁকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নামে একটি নতুন মন্ত্রণালয় করে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।