লিখিত আবেদন পেয়ে তাকে এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদক কমিশনার এম সাহাবুদ্দিন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা অসুস্থতার কথা জানালেও দুদক কমিশনার মনে করছেন, মান্নান খান হয়ত জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেননি।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা ধরে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ বেড়ে যাওয়া নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মান্নান খানসহ সাতজনের সম্পদের তথ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে পরাজিত মান্নান খানকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক চিঠি পাঠিয়ে ২০ তারিখে কমিশন কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
তলবের চিঠি পেয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি চার দিন আগে কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন।
বৃহস্পতিবার ছিল ক্ষমতাসীন দলের দপ্তর সম্পাদক মান্নান খানের পালা, তবে তিনি হাজির হওয়ার পরিবর্তে চিঠি পাঠিয়ে সময় চান।
দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন বলেন, “তিনি বলেছেন, তিনি অসুস্থ। তাকে যেন আরো সময় দেয়া হয়। আমরা তার আবেদন বিবেচনায় নিয়েছি। ”
“তিনি (মান্নান) সম্ভবত (জিজ্ঞাসাবাদে আসতে) প্রিপেয়ার্ড নন।
..যাই হোক, কমিশন তার আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে তাকে আরো এক সপ্তাহ সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ”
আবদুল মান্নান খান (ফাইল ছবি)
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় যে সম্পদের যে তথ্য মান্নান খান দিয়েছিলেন, তার তুলনায় সম্পদ গত ৫ বছরে বেড়েছে ১০৭ গুণ।
মান্নান খানের সম্পদের অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে দুদক।
দুদকের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ রয়েছে, তার বাইরেও কিছু সম্পদের তথ্য তারা পেয়েছেন, যা যাচাই করা হচ্ছে।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।