শ্রম নাকি দু`প্রকার,কায়িক ও মানসিক
কায়িক শ্রম জানি,মানসিক মনে হয় অলিক ।
কি সব আজগুবি কথা শুনে হই বিস্মিত
চিন্তা-ভাবনায় নাকি হয় শ্রম ! কথা অতিরন্জিত ।
কখনো খেতে কাজ করি,কখনোবা কাটি মাটি
কখনো পাচ মণ ভার বহি,মনে হয় মাথা যাবে ফাটি।
উদয় হতে অস্ত ,সদা এইসব কাজে বেস্ত
আমাদের উপরেই তারা করেছে এসব নেস্ত ।
এসকল কাজ হতে তারা পেতে চায় নিষ্কৃতি
আবার তারা পেতে চায় শ্রমের স্বীষ্কৃতি ।
কায়িক শ্রম সে বড়ই কঠিন,আমরাও পেতে চাই মুক্তি
মানসিক শ্রমই সহজ,তাতে কম ক্ষয় হয় শক্তি।
বিধাতারও বুঝি ইচ্ছা ছিল এমনি
অভিযোগ কবুল করলেন তক্ষুনি
কহিলেন তারে, তোমার আপত্তি হয়তোবা ঠিক
কায়িক শ্রমেই বোধহয় পরিশ্রম অধিক।
দায়িত্ব দিয়ে তোমাকে মানসিক শ্রমে
অভিযোগ জানাও তোমার কবিতার মাধ্যমে
সুযোগ দিলাম তোমায় প্রমান করো যোগ্যতা
তার ভিত্তিতেই বেছে নিও, কিসে তোমার সক্ষমতা !
এ আবার কি এমন কঠিন কাজ
দুদিনেই চুকাবো কবিতার সাজ।
দু`দিন পরে ,বিধ্বস্ত চেহারাতে
লাজে মুখ নত চরম ব্যর্থতাতে।
কহে বিধাতা ,লিখতে দিয়াছি শুধু একটি কবিতা
তুমিও তা মনে করে সোজা,কিন্ত দেখালে অপারগতা।
আরো কত গবেষণা,নিততো নতুন আবিষ্কার
তা করতে মাথায় নিতে হচ্ছে অপরিমেয় ভার।
আমারি হয়েছে ভুল,করছি তা কবুল
শ্রমের ক্ষেত্র দুটি ভিন্ন কিন্ত অভিন্ন মূল
আমারে দিয়াছো তুমি মানসিক শক্তি
তার দ্বারাই শ্রম দানে প্রকাশিব অনুরক্তি।
মানসিক শ্রমকে এবার স্বীকার করে নিয়ে
আমাদের তরেই তাদের উৎসাহ যাবো দিয়ে।
-----------------
তানিম যুবায়ের ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।