আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুশীল বঙ্গ সুশীল রঙ্গ ৪- জানতে হলে বাঁচতে হবে

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

বাঁচতে হলে জানতে হবে শ্লোগানটা এইডস থেকে রক্ষা পাওয়ার নানাবিধ উপায় বর্ণনা করে,কোন কোন সংযোগ আর সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে এইডস এর ঝুঁকি কমে যায় তা জানানোর ব্যাগ্রতা আমাকে আর আশ্চর্য করে না। ভারত আর বার্মার জনগনের এইডস আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে আশংকাজনক ভাবে- মুক্ত বাণিজ্যের ধজ্বা উড়িয়ে ভারত থেকে যে পরিমাণ পণ্য আসছে বাংলাদেশে বিভিন্ন মাপের ট্রাকে এবং এসব ট্রাক ড্রাইভার এইডস ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে অত্যন্ত পারদর্শী। আর বার্মায় সম্ভবত বাংলাদেশের তালুকদারি শুরু হবে খুব শীঘ্রই- তখন অনেক মানুষই বার্মায় যাবে নিয়মিত- ভাব ভালোবাসা এবং এইডসের আদান প্রদান হবে- যদিও বার্মা সার্কের সদস্য না এরপরও আমাদের ভেতরে একটা বন্ধন গড়ে উঠতে পারে- দিন রাত এইডসের বিজ্ঞাপণের পাশাপাশি দেখছি জলপাই দানবের প্রশস্তি গাঁথা- খরা আর বন্যায় সেনাবাহিনীর সহায়তার বজ্ঞাপণ দেখতে ভালোই লাগে-গণতন্ত্রও হয়তো রক্ষা পাবে তাদের হাতে!!!! গণতন্ত্রের নাভিশ্বাস উঠেছে- প্রাণকণ্ঠ বাংলাদেশ ধুঁকছে- নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নাগালের বাইরে- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দানবতন্ত্রে যখন সাধারণ মানুষের কলজে ভয়ে শুকিয়ে কাঠ আর তাদের চোখে বন্যা এমন সময়ে সহায়তা করতে পারে একমাত্র সেনাবাহিনী। আমার এক বন্ধু একবার বলেছিলো বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাগলা গারদ। যারা আটকে আছে হেমায়েতপুরে তারাই সবচেয়ে স্বাভাবিক- বর্তমাণের বাংলাদেশ দেখে কথাটার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হই- সেনাবাহিনী একটা রাজনৈতিক দল তৈরী করতে চাচ্ছে এটা অনেক আগে থেকেই অনুমিত ছিলো তবে একদল মানুষ দাবি জানিয়েছে এই নতুন দল গঠনের পর অন্তত ৫ বছর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না- এটা জলপাই দানবদের নতঃপুত হচ্ছে না- তারা একটা চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে- তবে এখনও কেউ এ জায়গাতে নিজেকে স্থাপন করতে চাইছে না- তারা মাঠ পর্যবেক্ষণ করছে- আমাদের তোতলা উকিল কোকিল কণ্ঠে বলেছেন তিনি এবং তিনি যে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তারা সবাই জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছেন-আমি নিশ্চিত না আসলে তোতলা উকিলকে কোন জনগন কিংবা জনগনের কত শটাংশ প্রটিনিঢি নির্বাচন করেছে- তবে তিনি নিশ্চিত তাদের জনগন ম্যান্ডেট দিয়েছে আইনের শাসন আর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য- তিনি দিন রাত সাংবাদিক সাথে উদ্ভট কথা বলছেন- একদিন বলেছেন এমন কোনো কথা টো বলি নি আমরা- বর্টমান টট্টাবঢায়ক সরকারের মূল লক্ষ্য একটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান- অবশ্য তিনি বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সবাইকে দুর্নীতির দায়ে আটক করে নি- কারো কারো কাছ থেকে সহায়ক তথ্য আদায়ের জন্য আটক করা হয়েছে- টডন্ট কমিটি ইচ্ছা করলেই সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য যেকোনো মানুষকে তলব করতে পারে- তোতলা হলেও তিনি উকিল, তার জানা থাকার কথা কাউকে তথ্য সংগ্রহের জন্য আটক করার বিধান নেই-তবে তিনি যখন জনগনের ম্যান্ডেট জাতীয় রাজনৈতিক বুলি বলেন তখন একটু ঝামেলায় পড়ে যাই আমি-এর আগে নির্বাচিত শাসক দলের প্রধানদের কণ্ঠে এমন মধুঝড়া বচন শুনেছি- আমরা জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছি- নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেও ক্ষমতা ত্যাগ করবো না- তখন তাদের আচরণে স্পষ্ট ছিলো ম্যান্ডেট দিয়ে তাদের যথেচ্ছাচারের নির্বিচার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে- হয়তো কোনো একদিন তোতলা উকিলের মায়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কোনো এক আসন্তুষ্ট মানুষ বলতে বাধ্য হবে- ছবি দেখেতো তাকে ভদ্রমহিলাই মনে হয় তবে কেনো যে সময়মতো গর্ভপাত করলো না- এইডস নিয়ে সোচ্চার বিশ্ব- এইডস নিরাময়ে ইসলাম শীর্ষক সেমিনারের বক্তব্য না জানলে খাতনা আর বিবাহিত সঙ্গমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা কষ্টসাধ্য হতো- ইসলাম আধুনিক ধর্ম তাই এখানে খাতনার বিধান রয়েছে-লিঙ্গাগ্রের ত্বক কেটে ফেলানোর নানাবিধ সুবিধা আছে- খাতনার ফলে যৌনবাহিত রোগের সংক্রমন কমে যায়- সঙ্গমের পর লিঙ্গ পরিষ্কার করার সুবিধা বাড়ে- এটা নাকি পরীক্ষীত সত্য-তবে আলেমদের এসব জরিপ কে করে দেয় আমি জানি না- দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যি যে করে না এটা নিশ্চিত বলা যায়-তবে এমন এক দীর্ঘ মেয়াদি জরিপে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সণ্গমলিপ্ত হয়ে কতজন ক্বলবে ইসলাম খাতনার উপকারিতা এবং খাতনার সুবিধা সংক্রান্ত ঐশ্বরিক ক্ষমতা সপ্রমাণের জন্য আগ্রহী হয়ে জরিপে অংশ নিতো এটা জেনে ইশ্বরাভিমুখীতা আর ইশ্বরানুগত্যের একটা প্রমাণ পাওয়া যেতো।

যে কয়জন বিশ্বাসী কনডম ছাড়াই সঙ্গমে আগ্রহী তারা সবাই আসলে তুমুল ইশ্বর বিশ্বাসী- তবে ইব্রাহিম যখন ইসমাইলকে নিয়ে পাহাড়ের চুঁড়ায় উঠে গেলো- তখন কোরাণের ভাষ্যানুযায়ী ইশ্বর তাদের প্রতি বিশেষ ভাবে অনুগ্রহ প্রদ্শন করেছেন- আল্লা মিয়ার পেয়ারে বান্দাদের অণ্যতম বনী ইসরাইলরা- তবে একটা নির্মম সত্য হলো আল্লা মিয়া যথেচ্ছা সঙ্গমের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত করেছেন তাদের- বিশ্বব্যাপী এইডস সংক্রান্ত জরিপে এবং গবেষণার পর একটা তথ্য সামনে এসেছে- কিছু কিছু মানুষ এইডস প্রতিরোধের জেনেটিক সক্ষমতা নিয়ে জন্মায়- এইসব মানুষের রক্তে এইডসের জীবানু ঘুরলেও তারা এইডস আক্রান্ত হয় না-এদের সিংহভাগের আবাস ইউরোপ মহাদেশে-যদি কোনো দিন এইডসের মহামারী হয় তবে এশীয় আর আফ্রিকার অধিবাসীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে- তাদের জেনেটিক গঠনে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই- যারা ভাবছে কিয়ের কি তাদের জন্য তথ্য কণিকা- বনী ইসরাইল গোত্রটা এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার সংযোগ স্থলের জনগোষ্ঠি- তাদের প্রতি আল্লা মিয়ার বিশেষ অনুগ্রহ থাকলেও তাদের এইডসের মহামারী থেকে বাঁচানোর জন্য যেরকম শাররীক ক্ষমতা দরকার তা তাদের দেওয়া হয় নি- এইডস নিরাময়ে ইসলাম শীর্ষক সেনিমারে এক হুজুর বলেছিলো- আমাদের সবার তাগিদ এক না- যেসব ভাইয়ের তাগিদ একটু বেশী তাদের জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তা'লা রাব্বুল আল আমিন একাধিক শাদীর সুবন্দোবস্ত রেখেছেন- অনেক ভাইয়ের এক নারীতে তৃপ্তি হয় না- তারা প্রয়োজনে ২টা ৩টা ৪টা বিবাহ করতে পারেন, তবে জেনা করবেন না- শরিয়া মেনে চললে আল্লাহ চাহে তো বাংলাদেশে এইডসের ঝুঁকি থাকবে না!! এইডসের সমস্যা হলো এটা কোনো ব্যাধি না এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়- ফলে যেকোনো সাধারন ব্যাধিই জীবনঘাতি হয়ে উঠতে পারে- এইডসের কারণে না হলেও বাংলাদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে প্রতিদিন- অপুষ্টিতে- চড়া দামের কারণে খেতে না পেরে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে-এদের জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহন করতে চাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তবে এর সুফল তারা আদৌ পাবে কি না এটা জানার জন্য আমাদের নতুন শ্লোগান - জানতে হলে বাঁচতে হবে। আদৌ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে সফল হবে? জানতে হলে বাঁচতে হবে। আদৌ সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে? জানতে হলে বাঁচতে হবে। ছবিসহ ভোটার তালিকা ঠিক মতো সমাপ্ত হবে? জানতে হলে বাঁচতে হবে। আদৌ একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? জানতে হলে বাঁচতে হবে।

নির্বাচন কমিশন আসলে কি করতে পারতে এ নিয়ে প্রথম আলো একটা গোল টেবিল বৈঠক করেছে- ভালো একটা সুশীল উদ্যোগ- সবাই নানা রকম পরামর্শ দেয় আর চা কফি ঠান্ডা পানি খায়- সেখানে নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন ছবি সহ ভোটার তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি যেতে হলে নির্বাচন কমিশনের ভোটা তালিকা তৈরিতে ৩৬ মাস সময় লাগবে- এ সময় তাদের দেওয়া হবে কি না- এছাড়াও নাকি ছবি সহ ভোটার তালিকা তৈরির জন্য আন্দোলনে ৫০ জন মৃত্যু বরণ করেছে- আমার জানা নেই- গ্রহনযোগ্য ভোটার তালিকা তৈরির একটা আন্দোলন চলছিলো-তবে সেটা ছবি সম্বলিত হতে হবে এমন কোনো দাবি ছিলো না-বোধ হয় এই আন্দোলন হয়েছে সেনাবাহিনীর ভেতরে- ব্যপক সংরক্ষণশীল তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যকরী থাকার জন্য আমাদের মতো আম জনতা এ বিদ্রোহ কিংবা আন্দোলনের কোনো সংবাদ পাই নি- তিনি অবশ্য বিকল্প দিয়েছেন বলেছেন ছবিছাড়াও ভোটার তালিকা তৈরি সম্ভব- তবে প্রশ্নটা হলো গাজীপুরে একটা পাইলট প্রকল্প শেষ হলে ভোটার তালিকা তৈরির প্রয়োজনীয় সময় সঠিক ভাবে নির্ধারণ করা যাবে-এজন্য ১২০০০ থেকে ৪০০০০ ইউনিট মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে-এসব ইউনিটের সাথে থাকবে একটা করে ল্যাপটপ-একটা ডিজিট্যাল ক্যামেরা- একটা প্রিন্টার-ইউনিটগুলোকে এই অবস্থায় নিয়ে যেতে প্রতিটা ইউনিটের সাথে সহায়ক যন্ত্র যাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকার-অর্থ্যাৎ আমাদের অবকাঠামোগত প্রস্তুতির জন্য প্রায় ১২০ কোটি টাকা লাগবে- এসবের জন্য একটা টেন্ডার আহ্বান করা হবে- সরকারী প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহ করার রীতি মেনেই হয়তো কাজটা করা হবে- তবে কোন প্রতিষ্ঠান এ কাজটা পাবে- কতগুলো প্রতিষ্ঠানের এমন টাকা বিনিয়োগের সামর্থ্য আছে- গতবার ভোটার তালিকা তৈরির জন্য প্রায় ১২০ কোটি টাকার অপচয় হয়েছে- এ টাকায় তারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোটার নিবন্ধন আর ভোটার তালিকা মুদ্রনের কাজটা করতে পারতেন- সে ভোটার তালিকা বাতিল গন্য হয়েছে- এখন এর চেয়ে বেশী পরিমাণ টাকা অবকাঠামোগত প্রয়োজনে ব্যয় করার যৌক্তিকতা কি? অবকাঠামোগত অপচয় বাদ দিলেওএকটা বিশাল তবে অদৃশ্য খরচের খাত হলো একদল মানুষকে প্রশিক্ষন দিয়ে তৈরি করার কাজটা- এই অপচয়টা কি ভাবে কমানো সম্ভব-এর পরেও ৬ থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত তাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়টাও ভাবতে হবে আমাদের- আসলে পয়সার হরি লুট কিংবা ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির ধাক্কা সামলাতে পারবে না কি বাংলাদেশ? কিংবা সেনাবাহিনীর একগুঁয়েমি অনড় অবস্থানের জন্য ৪০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ের অবিবেচনা আমরা মেনে নিতে পারি কি না? তবে আরও বিশাল একটা প্রশ্ন হলো ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পর এই ১ বিশাল লটবহর আসলে নির্বাচন কমিশনের কোন ভাগারে জমা হবে? কিংবা এগুলো কাজ সম্পাদিত হওয়ার পর ভোগ করবে কারা? এসব জানতে হলে বাঁচতে হবে। আমরা কবে এমন ধনী দেশ হয়ে গেলাম জানি না-তবে অবশ্যই আমরা জনগনের ম্যান্ডেট পাওয়া ১১ নির্বোধ চুদির পোলার নিরপেক্ষ নির্বাচন নিমিত্তে গৃহীত পদক্ষেপগুলো মেনে নিয়ে নিজেদের হোগায় ট্রেন লাইন ঢুকিয়েছি- এখন নানারকম বায়ানক্কা চলছে- হোগা আরো একটু প্রশস্ত হলে ভালো হতো- মিটার গেজ ঢুকেছে তবে কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে ব্রড গেজ ছাড়া প্রবেশ করা সম্ভব না-এখন সেখানে ব্রড গেজ স্থাপন করতে হবে- আমাদের হোগার অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী থুক্কু সুশীল সমাজ ঘৃত লেপন করছে নিয়মিত ভাবে- ব্রড গেজ লাইন স্থাপনের টেন্ডার দাখিল হয়েছে, অতএব সুবোধ জনগন লুঙ্গি মাথায় তুলে সুশীল হয়ে থাকো। প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে তারা বাজেটে এ বাবদে-ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির বাজেট- যদি ১১ নির্বোধ এবং নির্বোধ ছাউনির সব জলপাই বাঁদরদের ইচ্ছামতো চাবকানো যেতো তবে খানিকটা ক্ষতিপুরণ হতো- মুমূর্ষু বাংলাদেশের অসহনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ তদন্ত শেষে বিশেষজ্ঞ দল বলেছে আসলে দাম বাড়ছে কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এসবের দাম বেড়ছে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ- যত দোষ নন্দ ঘোষ সিন্ডিকেট, মজুতদারদের দোষি করেছে তারা তদন্ত রিপোর্টে-এদের সাথে সিপিডির গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন কতিপয় অসাধু মুনাফালোভী মধ্যস্বত্ত ভোগি এরাও সম্মিলিত ভাবে বাজারে জিনিষপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে- এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে দৈনিকে- সিন্ডিকেট, মজুতদার বিরোধী যৌথ বাহিনীর আগ্রাসন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ি বলছে ব্যবসায়ীরা- তারা দেন দরবার করে সরকারের কঠোর অবস্থানকে নমনীয় করেছে তবে গোড়ার গেঁরো খুলবে কে? আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিলাম ২ বছর আগেই- দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা পুরণ করে আমরা আমাদের উদ্ধৃত চাল বিদেশে রপ্তানী করবো এমন কথাও ছিলো- বন্যায় শষ্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত না হলে এমনটাই ঘটবে বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা- তবে এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে? মেনে নিলাম স্বয়ংসম্পূর্ণতা একটা অপপ্রচার ছিলো- হয়তো ১০০ শতাংশ না হলেও আমরা আমাদের চাহিদার ৮০ শতাংশ চাহিদা মেটাতে পারতাম- তবে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ আমরা আমদানী করি- তবে সিপিডির সুশীলেরা কেনো এমন একটা প্রতিবেদন দাখিল করলো যেখানে পূর্বকল্পিত সিদ্ধান্ত এমনটাই যে আমরা আমাদের চাহিদার সবটুকুই আমদানি করি- সিপিডির বিশেষজ্ঞদের কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফুটা সঙ্গমের বিলাসিতা ত্যাগ করে তাদের অনুরোধ করবো তারা যেনো কষ্ট করে আশুলিয়া কিংবা গাজীপুরের বাসের টিকিট কেটে খানিকটা সময় অপচয় করেন- তবেই তারা দেখতে পারবেন এখন বাংলাদেশের ধানের ক্ষেত আছে- সেখানে ধান চাষ করে মানুষ- এবং আশ্চর্য হলেও সেসব ক্ষেতে ধান উৎপন্ন হয়- সেসব ধান চাল কলে যায়- চালও উৎপন্ন হয়-মারাইয়ের সময় চলছে এখন-একটু দেশের ভেতরের দিকে গেলে তারা হয়তো মারাই করা ধানের খড়ও দেখতে পাবেন রাস্তায় শুকাচ্ছে অশীল মানুষেরা। আমাদের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমদানি করছে- তাদের পরামর্শ দানের কাজটা ছেড়ে যদি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যায় কেউ তবে এলিট সুশীলের অবসর বিনোদন কেন্দ্র সিপিডির লোকজন দেখতে পারতো এখনও বাংলাদেশের জমিতে ধান- ভুট্টা সহ বিভিন্ন শষ্য উৎপাদনের কাজটা পুরোদমে চলছে- এবং আভ্যন্তরীণ চাহিদার অধিকাংশই এরা নিজে ঠকে হলেও পুরণ করে- তবে এত অভাবেও আমাদের জানার তাগিদটা পরে যায় নি- আমরা জনতে চাই- অনেক কিছুই জানতে চাই- চাচার খালা শ্বাশুড়ীর মেয়েকে বিয়ে করা শরিয়ত সম্মত হবে কি না? মায়ের ননদের দেবরকে বিয়ে করায় কোনো কোরানিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কি না? তবে সবচেয়ে সরল মনে হয়েছে একজনের জিগিষা- তিনি জানতে চেয়েছেন ইসলাম বিশেষজ্ঞের কাছে- আমরা জানি পুরুষের পশ্চাৎগমন জেনা- তবে যদি কেউ কনডম পড়ে কোনো পুরুষের সাথে পায়ুপথে সঙ্গম করে তবে সেটা কি জেনা পরিগণিত হবে? সেনাবাহিনী কি বলে- তারা তো দীর্ঘ মেয়াদে পায়ুকামী হয়ে উঠার পরিকল্পনা করেছে-

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.