অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
আবুর টুপি বাবুর মাথায় পড়িয়ে লাবুর কাছে বায়নার টাকা নিয়ে হাবুকে সেই টুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আধুনিক বিপণন, বিপণন সব সময়ই ছিলো- পণ্যবাদিতামোক্ষ লাভের প্রক্রিয়া সব সময়ই চলমান। এ কাজে সহায়ক ছিলো বিজ্ঞাপন।
আমাদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ল্যাজে খেলানোর প্রক্রিয়াটাতে যারা সিদ্ধহস্ত তারাই বিজ্ঞাপন কর্মী। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময়ের এখানে উন্নত মধু পাওয়া যায় থেকে শুরু করে আধুনিক বাত ব্যাথা ও জটিল রোগ নিরাময়ের একটি অভিজাত প্রতিষ্ঠান কিংবা চর্ম, যৌন ও সেক্স রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বসেন এখানে এগুলোও বিজ্ঞাপনী ফলক।
যদিও বাত ব্যাথা রোগ নিরাময়ের সঙ্গে আভিজাত্যের সম্পর্ক নির্ণয় করতে আমি অক্ষম তবে এটা সেলিং পয়েন্ট।
ঠিক তেমন ভাবেই চর্ম যৌন ও সেক্স রোগের বিশেষজ্ঞের সাইনবোর্ড আমাকে চমকে দেয়- যৌন এবং সেক্স পরপর সাজিয়ে ডাক্তার কাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান- কারা তার প্রকল্পিত ক্রেতা এটা জানা হয় না আমার।
আমাদের সাম্প্রতিক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ খোঁজা, আমরা বিশেষজ্ঞ শব্দটার মোহগ্রস্থ- আমাদের বিশেষজ্ঞ ফেটিশের অবসান কবে হবে তাও জানি না এখনও- এখন সব বিষয়েই বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।
মাটি খনন থেকে স্থাপনা নির্মাণ- সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাতেই আমাদের বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতেই হয়, আমরা একটা পুরোনো গল্প মনে পড়ছে-
কোন হাটে এক নাপিত ছিলো, বিভিন্ন ফোঁড়া আর দাঁত উঠানোর হাত যশ ছিলো তার- দিব্যিসে এসব কাজ করে যাচ্ছিলো- নাপতেমি করতে করতেই এক বিশেষজ্ঞ এলেন সে হাটে- তিনি নাপিতের কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ,
শহরের বাবু চৌকস এবং সুবেশী- বিশেষজ্ঞ সন্ধ্যার আগে নাপিতকে ডাকলেন, নাপিত কৃতার্থ, অভিজাত মানুষের গৃহে পদার্পন করলে প্রান্তিকের বুকের মাপ বাড়ে- এটা ছেলে মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য-
বাবু কহিলেন, বাপু নরসুন্দর-
নাপিত ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে- নাপিতের সুশীল পদবী যে নরসুন্দর পরমেশ ঋষির এটা জানার কথা না- তাই বিশেষজ্ঞ বাবু সরাসরি কহিলেন- তোমার হাত যশ আর কর্মদক্ষতায় আমি মুগ্ধ, তোমাকে বাড়তি কিছু জ্ঞান দিতে চাই-
বিশেষজ্ঞ তাকে শরীরবিদ্যা শিখালেন- স্নায়ু আর শিরা উপশিরা শেখালেন, সপ্তাহ শেষে বাবু ফিরে গেলেন তার কর্মক্ষেত্রে-
পরের বছর আবার ফিরে আসলেন বাবু সে হাটে- নাপিত পরমেশ ঋষি ধ্বসে গেছে- গত এক বছরেই তার বয়েস যেনো বেড়েছে ১০ বছর- এখন কেউ তাকে ডাকে না ফোঁড়া কাটতে কেউ তাকে ডাকে না দাঁত তুলতে।
বিশেষজ্ঞ বললেন- কি হলো তোমার?
পরমেশ ঋষি কাঁচুমাচু মুখে বলিলো, বাবু আগে যখন জানিতাম না শরীরের এসব বৃত্তান্ত তখন সাহস পেতাম খুব- এখন তেমন সাহস পাই না- ভয়ে ভয়ে থাকি কখন কোন শিরা কেটে ফেলি- ভয়ে হাত কাঁপে- আপনার বিদ্যা আপনি ফিরিয়ে নেন বাবু-
বিশেষজ্ঞ কহিলেন তোমার উপর আমার অনেক ভরসা ব-তোমার ভেতরে আমি অমিত সম্ভবনা দেখি-
এ জন্যই বিশেষজ্ঞ বাবু তার জন্য নানা প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করলেন-
পরমেশ ঋষির ভাগ্য পরিবর্তন হয় নি তবে কয়েক বছরের ভেতরেই সে হাটে একটা দাঁতের ডাক্তার আর একটা ডিসপেনসারি বসলো এবং তাদের পসারও বেড়ে গেলো হুঁ হুঁ করে।
বিশেষজ্ঞের বিশেষ তত্ত্বাবধানে থেকে দারিদ্রমুক্তির শত পরামর্শ মফিক চলে সবশেষে বর্তমানে আমরা সার্বক্ষণিক ভাবে বিশেষজ্ঞ পীড়িত।
বিশেষজ্ঞের পীড়নে নাভিশ্বাস উঠলেও তারা গণতন্ত্র প্রসবের আগে আমাদের অসাংবিধানিক টিক্ত জরুরী বাকসংযম আরক পান করাবেন নিশ্চিত করেছেন। ।
বিজ্ঞাপণের ক্রেতা সবাই বিক্রেতা শুধুমাত্র একটা পেশাজীবি শ্রেনী- এদের বিজ্ঞাপন বিদ বলা সম্ভবত রীতি সম্মত হবে না- ১৯৪০ এর পর বিজ্ঞাপন আর বিপণন নিয়ে ব্যাপক জরিপ শেষে বিজ্ঞাপনী শ্লোগান বিষয়টার প্রতি মনোযোগ আকর্ষিত হয়। ইউনিক সেলিং পয়েন্ট- এই মোড়কে অনেকে অনেক বক্তব্য প্রদান করেন।
আমাদের অবসর প্রাপ্ত দাদুরা সমাজচিন্তক হয়ে উঠেছিলেন অনেক আগেই।
বটতলা বকুল তলা চক আর চত্ত্বরের আড্ডায় বসে দাঁতহীন দাদুরা উঠতি তরুনদের দেখে বলতেন, সম্ভবত এখনও বলেন- দেশটা রসাতলে গেলো- সমাজটা গোল্লায় গেলো- মুল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে-
সেই রাম সেই অযোধ্যা নেই তবে বৃদ্ধ দাদুরা রয়ে গেছেন- তারা এখন দৈনিকের পাতায় কলাম লিখেন- এরা বিজ্ঞ সুশীল- এদের আক্ষেপ অনুতাপ সবই অবক্ষয়কেন্দ্রীক-
অবক্ষয় প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেন তারা- আসলে জীবনের ব্যাপ্তি বেড়ে গেছে তাই অবসরে যাওয়ার পরও অনেকটা সময় এদের বেঁচে থাকতে হয়- সকাল আর দুপুর দৈনিক আর নাতিক স্কুলের কাজে ব্যয়িত হলেও বিকাল থেকে মধ্যরাত অবধি এদের কিছুই করার নেই- বাংলাদেশের ঘরে ঘরে লিজ টেলর থাকলে হয়তো এদের অনেকেই উষ্ণ যৌনতার কালাতিপাত করতেন তবে এখনও বিগত পঞ্চচাহসেই প্রায় অধিকাংশ বাঙালী রমনী যৌনজীবন শিকেয় তুলে রেখে পূজা আর্চনা আর ধর্মে কর্মে মননিবেশ করেন এবং বিগড়ে যাওয়া প্রোটেস্ট গ্ল্যান্ডের প্রভাবে বৃদ্ধের ভীমরতি- মাল মাথায় উঠলে মুখ দিয়েও বের হতে পারে- তবে এদের সুশীল বীর্য নির্গত হয় কলমের ডগা দিয়ে- এরা অবসরে কলমবিদ হয়ে উঠেন-
বিশেষজ্ঞ ফেটিশে ভোগা আমরাও তাদের বিজ্ঞাপন শ্লোগান দিয়ে সাজাই- বুদ্ধিজীবি শব্দটার জোর অতিব্যবহারে কমে গেছে- যৌবনে অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করলে- যৌবনের অপচয় হলে মঘা ইউনানী সহায় তবে অতিব্যবহারে ক্লিষ্ট বুদ্ধিজীবি শব্দটা এখন তেমন দাঁড়ায় না- তাই কৃষিবিদ আবহাওয়াবিদ, পরিবেশবিদ দিয়ে বিশিষ্টতা কিংবা অনন্যতা আনবার চেষ্টা।
কৃষিবিদ কোনোভাবেই কৃষককে নির্দেশ করে না-তিনি এমন একজন, সমস্ত জীবন শহরের দেওয়ালে শ্যাওলা ছাড়া অন্য কিছু হয়তো দেখেন নি তবে তিনি কৃষি অধিদপ্তরে সচিব হিসেবে অবসর নিয়েছেন- তাই তিনি কৃষিঅভিজ্ঞ-
মৎস্যবিদ জীবনে হয়তো মাছের পোনা দেখেন নি- আলোকচিত্র ব্যতিত হয়তো জালও দেখেন নি- তিনি সুশীল মৎস্যজীবি, মাছুয়া কিংবা গেলে সম্প্রদায়ভুক্ত কেউ নন
তবে এতসব বিদদের ভীড়ে রাজনীতিবিদটা অনন্য- তারা রাজনীতি করলেও রাজনৈতিক জ্ঞান নেই তাদের- সকল রাজনৈতিক জ্ঞান অন্যসব বিদেরা শুষে নিয়েছেন- তারাই এখন বাংলাদেশের রাজনীতির হর্তাকর্তা- দন্ডমুন্ডের বিধাতা। ।
আমাদের বদি মজুমদার এমনই একজন- তিনি পরিবেশবিদ- কুলীন সুশীল- রীতি অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত এবং সমাঝিতৈষি। পরিবেশ বেচে তিনি যে জীবিকা নির্নাহ করেন না এটা সত্য তবে তিনি পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।
ধর ধর মোরে প্রাণনাথ
প্রতি অঙ্গ কাঁদে তব প্রতি অঙ্গ লাগি বলে তিনি উদ্যানে গাছ জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন- বন উজার হলেও ক্ষতি নেই, বনের গাছ উজার করে কারখানা বসিয়ে পরিবেশের ভারসাময় নষ্ট হলেও ক্ষতি নেই ওটা দেশের উন্নতি তবে আমি যে উদ্যানে সূজন বন্ধুদের নিয়ে গল্পগুজব করি সেখানে গাছ কাটা চলবে না।
সুজন কিংবা সুশাসনের জন্য নাগরিক সংগঠনের বিজ্ঞাপনী শ্লোগানটা কি আমি জানি না তবে তাদের সেলিং পয়েন্ট স্বপ্নের বাংলাদেশ।
কিছু কিছু পণ্য আছে যা অত্যাবশ্যকীয় তবে এসবের চাহিদা পরিমিত। লবন এমনই একটা পণ্য- মানুষ বাড়ার সাথে চাহিদা বাড়ে তবে সেটা কখনই আকাশুচুম্বি হয়ে উঠে না।
শাররীক কারণেই প্রায় ৩০ বছর নারী রজঃস্বলা থাকে- যখন স্যানিটারি ন্যাপকিন ছিলো না তখনও এরা ছিলো- বাতিল কাপড় দিয়ে রক্তস্রাব ঠেকিয়ে রাখতো এরা- তবে বিজ্ঞাপণের মাদকতা এমনই যে এখন নয়াপকিন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য- এর চাহিদা পরিমিত তবে ক্রেতা নিয়মিত।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ন্যাপকিন বানায়- তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী শ্লোগান তৈরি করে- টিভি খুললেই এখন নিয়মিত এসব বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে-
হাসান মজলূম চৌধুরি অনেক দিন জলপাই বাগান পরিচর্যা করার পর অবসর নিলেন- তিনি রোজ ঘুম থেকে উঠেন ভোরে- তার পর উদ্যানে যান ফিরে এসে এক কাপ লাল চা- চায়ে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে,- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- সকালে পেঁপে ভাজি দিয়ে রুটি খান- বিকেলে তাজা ফল- স্বাস্থ্য সচেতন
এবং অবশ্যই পরিবেশ সচেতন মজলূম চৌধুরী।
এমন কি গুরুপাক ভোজনের পরও দীর্ঘসময় আড্ডা মেরে বায়ুত্যাগ করে পরিবেশ দুষণ করেছেন এমন নজিরও নেই। তিনি বরং স্পষ্ট ঘৃণা করেন তাদের যারা আয়েশ করে চেয়ারে বসে এক পা উঠিয়ে সশব্ডে বায়ুত্যাগ করে- এসব অভব্যতা এড়াতে তিনি তার পরিচিতের পরিধি কমিয়ে এনেছেন-
তিনি সুশীলদের সাঠে মেশেন শুধুমাত্র -যারা পরিবেশ সচেতন সুশীল- যত্র তত্র বায়ুত্যাগ না করা সুশীলদের সাথে দেশ ও জাতির ভবিষ্য নিয়ে দীর্ঘ সময় আলাপচারিতায় কাটান।
ছোটো নাতি একবার সিঁড়ি থেকে পড়ে কপালটা কাটলো- রক্তপাত থামছে না- এদিকে বাসার গাড়ী নষ্ট রিকশা চেপে ক্ীনিকে যেতে হবে- আবার এর পরপঈ যেতে হবে সভায়- তিনি আবার প্রধান অতিথি- পোশাক পড়ে তৈরি হচ্ছিলেন এমন সময় হতচ্ছরা কপাল কাটলো-নাতিকে ড্রেসিং করিয়ে ফিরিয়ে এনেই সভায় যেতে হবে- রক্ত পড়ছেই- হতাশ মজলুম চৌধুরী ডাকলেন-
বৌ মা তোমার ন্যাপকিনটা নিয়ে আসো রক্ত পড়া থামছে না।
সে সভার শেষে একটা সুখবর পেলেন মজলুম চৌধুরী- তিনি পরিবেশ সচেতন সুশীলদের সাথে থাকায় তাকে পরিবেশ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে-
ঠিক সে সময়ই বঙ্গোপসাগর উত্তাল- নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলে সাইক্লোন ধেয়ে আসছে- জলোচ্ছাস ঘটবেই- সাম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে মজলূম চৌধুরী বললেন উপকূল জুড়ে আড়াআড়ি দাগ কাটো- এটাই সাগর শাসনের উৎকৃষ্ট পন্থা/
এ বছর বাজেটে লৌঙ্গিক অসমতা দুর করতে ব্যপক ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে- লৌঙ্গিক সমতা নিয়ে আমিও চিন্তিত যেমনটা ছিলেন লেঃজে সাহেব-
সেনাবাহিনীতে তোলপাড় চলছে- সেখানে বিশেষ নৈঞ্চি দল গঠিত হয়েছে- সাধারন ক্যাপ্টেনদের একাংশ এই দল গঠন করেছে- তারা বিকেলে দৌড়ের সময় সাধারন হাফপ্যান্ট ব্যবহার করে না- তারা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পড়ে দৌড়ায়- কারণ জিজ্ঞাসা করলে মৃদু হেসে বলে আসলে এই ছোটো হাফ প্যান্টের পাশ গলে তাদের লিঙ্গ বের হয়ে যায়-
প্রথমে কথাটা নিছক ঠাট্টা হিসেবে নিলেও এর পরপরই উর্ধতন কর্মকর্তাদের টনক নড়লো- বিভিন্ন সময়ে তাদের অনুপস্থিতিতে নৈঞ্চি দলের সদস্যরা তাদের গৃহে আগমন করে এমন গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা তদন্ত কমিটি গঠন করে যা জানলেন তা তাদের আশ্চর্য করলো না বরং আতংকিত করলো-
আসলে নৈঞ্চি দল না এটা ন'ইঞ্চি দল- তাদের সবারই ন' ইঞ্চি লম্বা যন্ত্র- এবং তাদের গৃহিনীরাও এদের সুশীল ব্যব হারের প্রশংসা করচফে নিয়মিত-
লেঃ জে সাহেব প্রথমে এসব কানাঘুষায় কর্ণপাত করেন নি- কিন্তু যখন তার বাসায় কর্মরত সেপাহী জানালো ইদানিং তার বাসায়ও নৈঞ্চি দলের একজন ঘন ঘন আসছে - এবং তার তরুনী ভার্যা বেশ উৎফুল্ল তিনি সামরিক বাজেট অধিদপ্তরে একটা আবেদন পত্র পেশ করলেন-
লৌঙ্গিক অসমতা দুরীকরণে ব্যয় বরাদ্দ করতে হবে-
তিনি সবার লিঙ্গ সমান করবেন এমনই একটা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা যেহেতু সামরিকরাই হর্তা কর্তা তাই অনুমোদিত হলো।
।
সুজন কে বিকৃত করে ডাকে সুজইন্যা- আমাদেরও বর্তমান সময়ে আসলে সুজইন্যা কিংবা সুশাসনের জন্য ইপ্সিত ন্যাপকিন প্রয়োজন-
যে নয়পকিন শুষে নিবে দূর্নীতির কালো দাগ- সেখানে সকল রক্তপাতের ইতিহাস লুকিয়ে থাকবে- কোন দাগ পড়বে না আমাদের উজ্জ্বল ভাবমূ্র্তিতে।
আমরা অনিয়মতান্ত্রিক রুঢ়তায় দিব্যি বেআইনি রাজ্য শাসন করবো- বিভিন্ন বিদের পরামর্শ মেনে গলায় পা চেপে দাঁড়াবো সাবলীল- তবে এসব বীভৎস মূখ ন্যাপকিনের অন্যপাশে থাকবে- এপাশে উজ্জল শুভ্রতা। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।