আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুভ্র জ্যোৎস্নার খোঁজ...

আমার কোনো গন্তব্য নেই । পরিব্রাজকদের কখনো গন্তব্য থাকার কথা না... চোখ না খুলেই কড়া ফিনাইলের গন্ধ পেলাম । মানে এটা হাসপাতাল । কিন্তু কালরাতে এসে ঘুমিয়েছি মেসে । হাসপাতালে তো থাকার কথা না ।

এসব ভাবতে ভাবতে চোখ খুললাম । ফিনাইলের গন্ধ গায়েব হয়ে গেলো । আমার রুমের গন্ধ পেলাম । তবে প্রথমে হাসপাতালের গন্ধ কেনো পেলাম সেটা একটা রহস্য । তবে কি গল্পো হাসপাতালে শেষ হবে !! চোখ খুলে দেখলাম আমার রুমমেট মিলন ওর প্লাস্টিকের চেয়ারটায় বসে আছে ।

কোন ব্র্যান্ডের জানিনা । অনেকদিন ভেবেছি মিলনের চেয়ারের ব্র্যান্ড দেখবো । দেখা হয়নাই এপর্যন্ত । প্লাস্টিকের চেয়ার হলেই আমার আমার আর এফ এল এর মনে হয় । সে তার কুনুই দিয়ে চেয়ারের হাতলে চাপ দিচ্ছে জোরে ।

হাতল চাপ পেয়ে বেকে যাচ্ছে । আমাকে দেখেই মিলন বললো, - পরি দেখ, চেয়ার এক্সপায়ার ডেটে যেতে সময় আছে আরো ৪ বছর । ১ বছর হয়েছে । এখনই কেমন বেকে যাচ্ছে । : তুই যেভাবে বাকাচ্ছিস তাতে ভেঙে যে যাচ্ছেনা এটাই তো অনেক ।

- কি বলিস । কিছুদিন আগেও এটা একদম শক্ত ছিলো । চাপ দিলেও বেকে যেতোনা : অ । এখন কি করবি ভাবছিস । - গ্যারান্টি কার্ড এখনো আছে ।

ডেটও আছে । নিয়ে যাবো । চেন্জ করে নিয়ে আসবো । : ঠিক আছে । নিয়ে যাস ।

আমি উঠে মুখ ধুয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাইরে । কোথাও নাস্তা করা উচিত । প্রচন্ড ক্ষুধার অস্তিত্ব টের পাচ্ছি । নিবারণ করা দরকার । একটা আগুন গরম চায়েরও প্রয়োজন ।

তারচেয়ের বড় কথা আজও মিলনের চেয়ারের নাম জানা হলোনা.... টমেটোর মতো একটা চাঁদ উঠেছে । বিচ্ছিরি লাগছে । টমেটোর চাঁদের জ্যোত্‍স্নাও টমেটোর মতো । মরা মরা ভাব । আমি হাঁটছি সেই মরা মরা জ্যোত্‍স্নার ভেতর দিয়ে ।

পাশের গলিতে এসে জহিরুলের বাসার সামনে দাড়ালাম । আমার পরিচয় জহিরুলের ছোটো ছেলেটার সাথে । যাদের সাথে আমার বাসায় যাওয়ার মতো পরিচয় থাকে তাদের কিছু বিশেষত্ব থাকে । এই ছেলেটার বিশেষত্ব হচ্ছে এ খুব সহজে মানুষ আপন করে নিতে পারে । আর একটা বিশেষত্বও আছে ।

এই ছেলের পায়ুপথ তার পেটে । অর্থ্যাত্‍ নাভীর পাশে । জন্মের সময় নাড়ীভূড়ি পেচ লেগে জন্মেছিলো । ছোটো থাকতে দুবার অপারেশন হয়েছে । ডাক্তাররা খুচখুচি করে পেট ফুটো করে পায়খানার রাস্তা করে দিয়েছেন ।

এই ছেলের বয়স এখন প্রায় ১৩ । আরেকটা বড় অপারেশন দরকার এই সময়ে । জহিরুলের সেই সামর্থ্য নেই । সে হচ্ছে কোনো এক রাজমিস্ত্রির ডান হাত । বাপ ছেলের এই সংসার সে চালায় অতিকষ্টে ।

অসুস্থ ছেলে বাবার সাথে কাজেও যেতে পারেনা । রাতের বেলাতে জহিরুলকে পাওয়ার যায়না। আজ কেবল এখনো সন্ধার রেশ রয়েছে । একটা চান্স নিয়ে দেখি । বাসায় ঢুকে দড়জায় টোকা দিলাম ।

জহিরুলের ছেলে "কে" বলে জবাব দিলো ভেতর থেকে । ওর ছেলের নাম মনে পড়ছেনা । ও হ্যা মনে পড়েছে ইফতেখার । - চাচ্চু দড়জা খোলো তো? দড়জা খুললো জহিরুল । বললো, : আরে পরি ভাই ।

আপনি এতদিন পরে? আসেন ভেতরে আসেন । - উহু ভেতরে যাবোনা । তুমি একটা শার্ট পড়ে এসো । এক জায়গায় নিয়ে যাবো । চলো জলদি ।

জহিরুল শার্ট পরে এলো । - ইফতেখার একা একা ভয় পাবেনা তো ? : নাহ । ওর অভ্যেস আছে । আমার তো প্রায়ই রাতেও কাজ থাকে । ও তখন একলাই থাকে ।

- ওর অসুখের ব্যাপারে কি করবে ? : কি আর করবো পরি ভাই । টাকা জমানোর চেষ্টা করতেছি । কিন্তু জমতেছেনা । সংসার ই তো চলেনা যা যা পাই । বড় বেকায়দায় আছি পরি ভাই ।

আচ্ছা আমরা যাচ্ছি কোথায় পরি ভাই ? আমি জবাব দিলামনা । জহিরুলকে নিয়ে হাটতে থাকলাম । জহিরুলকে নিয়ে এসেছি এক বিশাল শিল্পপতির বাড়ি । আশফাক হোসেন। এই ভদ্রলোকের এতো সম্পত্তি যে এনার বছরে যাকাত হয় ১কোটি টাকা ।

এই টাকাটা ইনি নিজের হাতে গরীব মানুষদের বিভিন্ন অসহায় জায়গায় সাহায্য করেন । তবে সবকিছু করেন একেবারে নিজে । যেমন কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে পারছেনা তিনি সেই বিয়ে দিয়ে দিবেন । কারও গুরুতর অপরেশন দরকার তিনি নিজে সব ব্যাবস্থা করে অপারেশন করে দেবেন । আমার কেইসটা ২য় ধাপের ।

জহিরুল একটু ভয় পাচ্ছে । ওকে সব বুঝিয়ে বললাম । ইনি হচ্ছেন আমার এলাকার গত হয়ে যাওয়া এক মন্ত্রীর জামাই । শোনা যাচ্ছে এবার তিনিই সেই এলাকা থেকে দাড়াবেন । জহিরুলের সাথে কথা বার্তার এই পর্যায়ে ভদ্রলোক এসে ঘরে ঢুকলেন ।

জামাই ভদ্রলোক আগামীকাল ইফতেখারকে দেখতে চেয়েছেন । জহিরুল একটা স্বস্তি পাচ্ছে । সে এখন আমার পাশে হাঁটছে অতিরিক্ত উত্তেজনায় । : কি বলেন পরি ভাই ? এবার কি তবে ইফতেখারের অপারেশনটা করাইতে পারবো ? - হু । মনে হয় পারবে ।

কাল এনে এনাকে দেখাবা । : দেখাবা মানে আপনি থাকবেননা ? আপনি না থাকলে হয় নাকি ? - হওয়ালেই হয় । আমার কাজ এপর্যন্তই । বাকি কাজ তোমার নিজের । নিজেই সব করবা ।

আমি হয়তো বড়জোর একদিন এসে দেখে যাবো ইফতেখারকে । জহিরুল দুঃখিত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো । আমি হাসলাম । বললাম - জহিরুল সামনের গলিটা ধরে গেলেই তোমার বাড়ী । যাও আজ ইফতেখারকে বুকে জড়িয়ে ধরে শান্তির একটা ঘুম দাও ।

: আর আপনি পরি ভাই ? আমি হাসলাম । জহিরুল কি বুঝলো কে জানে ! তবে সে সামনের গলিতে ঢুকে গেলো । আমি হাঁটছি । জ্যোত্‍স্না ছায়াপড়ছে রাস্তায় । আমি ভাবছি ।

মাথায় আমার বাবার দাদাজান, আমার দাদাজান এবং আমার বাবা গোলযোগ করছে একসাথে । আমার বংশের প্রায় সবাই পরিব্রাজক টাইপ ছিলেন । আমার বাবার দাদাজান মহাজ্ঞানী মানুষ ছিলেন । পড়াশুনা করেছেন দিল্লিতে । জীবনের প্রায় অর্ধেক কাটিয়েছেন পড়াশোনা আর ঘোরাঘুরি করে ।

তারপর অবশ্য ঘরে ফিরে আসেন । তবে কিছুদিন পর পর বের হতেন পরিভ্রমণে । আমার দাদাজান ছিলেন একাধারে বাবার সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে জেদী এবং সবচেয়ে রাগী ধরণের ছেলে । তিনি রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যেতেন । তিন চার মাস ঘুরাঘুরি শেষে বাসায় ফিরতেন ।

আমার ধারণা পরবর্তিতে তিনি ইচ্ছে করেই রাগের ভান করে বেরিয়ে যেতেন । যথারীতি আরো একবার তিনি রাগ করে বেরিয়ে গেলেন বাসা থেকে । তবে এবার ৬মাসও কোনো পাত্তা নেই । যখন ধারণা করা হলো তিনি বেঁচে নেই তখন তিনি খবর পাঠালেন তিনি দার্জিলিং এ আছেন । এবং হোমিওপ্যাথের উপর দীক্ষা নিচ্ছেন ।

দাদাজান ফিরলেন প্রায় ৩বছর পরে । হোমিওপ্যাথির ডাক্তার হয়ে । গ্রামে এসে শুরু করলেন ডাক্তারী । জমে গেলো । সেই গ্রাম সহ আশপাশের আরো অনেক গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো ডাক্তারী খ্যাতি ।

ডাক্তারীর পাশাপাশি তিনি আরেকটি জিনিসও শিখে এসেছিলেন খুব ভালোভাবে । কালোজাদু । যদিও কখনো প্রয়োগ করতেননা এসব । মসজিদের ইমাম ছিলেন যতদিন শরীরে কুলিয়েছে । খুব সাধারণ কিছু হলে জাফরান দিয়ে গোটা গোটা অক্ষরে তাবিজ লিখতেন ।

কালোজাদুর কয়েকটা বই দেখেছিলাম দাদাজানের কাছে । একবার একটা পড়তে গিয়েছিলাম । দাদাজান বইটা কেড়ে নিয়ে কড়া নিষেধ করে দিয়েছিলেন । কেনো জিজ্ঞেস করাতে দাদাজান বলেছিলেন "কৌতুহল কম রাখবি । যে জিনিসে প্রচন্ড কৌতুহল থাকবে সেই জিনিসের প্রতি যদি ভয়াবহ বিরুপতা দেখাতে পারিস তবে নির্লিপ্ত হতে পারবি ।

দুনিয়াতে নির্লিপ্ততা বড়ই প্রয়োজন । এই বইয়ে এমন বইয়ে এমন কিছু জিনিস আছে যা পড়লেই সেটা হাতে কলমে করতে ইচ্ছে হবে । যতক্ষণ না করবি স্বস্তি পাবিনা কোথাও । খেয়াল রাখিস কালোজাদু হচ্ছে কুচকুচে কালোজাদু । " দাদাজানেরও অভ্যেস ছিলো মাঝে মাঝে ডাক্তারী ইমামতি সব থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়া ।

মাসখানেক পর আবার বাসায় ফিরে আসতেন সেই দৈনন্দিন রুটিনে । অসুস্থ হবার পর দাদাজান বাড়ীর বাইরের বারান্দায় চৌকিতে বসে শুধু ডাক্তারী করে গেছেন । কোথাও বেরুতে পারেননি আর । একেবারেই বাধা পড়ে গিয়েছিলেন। আমার বাবা দাদাজানের ২য় সন্তান ।

স্কুল জীবনেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন । কলেজ শেষ করেন ঠাকুরগাঁওয়ে অন্যের বাসায় লজিং থেকে । তারপর অনার্সের জন্যে চলে যান রাজশাহীতে । ইচ্ছা ছিলো প্রশাসন নিয়ে পড়ার । কিন্তু পয়সার অভাবে ভার্সিটিতে অনার্সেও ভর্তি হতে পারলেননা ।

ভর্তি হলেন বি এস সি তে । বি এস সি শেষ করে বি এড করলেন । ইতিমধ্যে রাজশাহীতেই একটা স্কুল টীচারের চাকরী পেয়ে গেলেন । চাকরী করলেন তিন মাস । মন টিকলোনা ।

এতদিন বাসার সাথে কোনো যোগাযোগ তার ছিলোনা । এবার বাসায় ফিরলেন । মোটামুটি হৈ হৈ পরে গেলো । তিনি গ্রামের হাইস্কুলে চাকরী করলেন ৬মাসের মতো । এরপর তার ডাক এলো তখনকার সময়ের নামকরা এক স্কুল থেকে ।

তিনি আবার বের হলেন বাসা থেকে । ঐ স্কুলে এসে চাকরী জয়েন করে স্থায়ী হয়ে গেলেন শহরে । এখন আমার পালা । 'সো মাস্ট গোয়িং অন...' ফিরে এলাম মেসে । মিলন ঘুমিয়েছে ।

কেন জানি মনে হচ্ছিলো ঘরে ঢুকে দেখবো মিলন ওর চেয়ারের হাতল ভেঙে ফেলেছে । তেমন কিছু দেখলামনা । মিলন ঘুমুচ্ছে । চেয়ারের হাতল ঠিক ই আছে । আমার শরীর বিদ্রোহ শুরু করছে প্রবলভাবে ।

সব গুলিয়ে আসছে । আমি গা এলিয়ে দিলাম বিছানায় । মনে হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়লাম । প্রচন্ড জ্বরের ঘোরে ঘুম ভাঙলো আমার মোবাইলের রিংটোনে । রংতরু ।

আমার ছোটবোনের ফোন । রিসিভড করলাম । খুশিতে কিংবা আনন্দে আমার চোখ দিয়ে প্রায় পানি পড়ছে । কারণ রংতরুর সাথে কথা হচ্ছে প্রায় আড়াই মাস পর । পরিব্রাজকদের চোখে পানি আসতে নেই ।

আমি কথা বলছি যথাসম্ভব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে । রংতরু বুঝতে পারলো কিনা কে জানে !! কথা শেষে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়লাম । তবে ঘুমানোর আগে মিলনের চেয়ারের ব্র্যান্ড এর নাম দেখলাম। বেঙ্গল ফার্নিচারের চেয়ার। তিন দিন পর আমি বের হয়েছি ।

উদ্দেশ্য ডাক্তার দেখানো । মিলনের হিসেবে গত তিন দিন আমি মরার মতো পড়ে ছিলাম । জ্বর ছিলো ১০৪ডিগ্রি । সাথে বমি । আজ একটু ভালোলাগছে দেখে বের হলাম ।

হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম এক বিশাল ক্লিনিক এর সামনে । জায়গাটা চিনতে পারলাম । আশফাক হোসেন সাহেবের পাশের এলাকা । আমি দেখাবো ক্লিনিকের সামনের ঔষধের দোকানে যেই ডাক্তার বসে তাকে । বহুক্ষণ বসে থেকে সিরিয়াল পেলাম ।

আমার শরীর আবার খারাপের দিকে যাচ্ছে । ডাক্তার সাহেবকে সবকিছু বললাম । তিনি থার্মোমিটার মুখে গুজে দিতেই আমার বমি আসার উপক্রম হলো । ডাক্তার বুঝতে পেরে বের করে নিলেন । প্রেসক্রিপশান হাতে নিয়ে রাস্তায় নামতেই সব অন্ধাকার হয়ে আসতে লাগলো ।

বমি আসলো প্রচন্ড । আমি আন্দাজে এককোণে গিয়ে বমি করলাম । আমার চারপাশ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে আসলো । মাথার ভেতর বাজতে লাগলো "আই ওয়াক আ লোনলি রোড" । আমি পা ফেলে সামনে আগাবার চেষ্টা করলাম ।

পারলাম কিনা বুঝলামনা । বুঝলাম আমি পড়ে যাচ্ছি । শেষ মূহুর্তে কেউ একজন এসে ধরেছে । আর মাথার ভেতর অনন্তকাল ধরে বাজতে আছে "আই ওয়াক আ লোনলি রোড"... আমি শুয়ে আছি একটা শুভ্র কবরে । আমার বাম পাশে একদল ফ্যাশনেবল মানুষ ।

ডানপাশে একদল শুভ্র মানব । এদের দেখেই শুদ্ধ মনে হয় । আমাকে বলা হলো আমি কোনদিকে যাবো । আমি ডানপাশে হাত বাড়ালাম । শুভ্র মানবের একজন আমার হাত ধরে তুলে নিলো ।

এরপর আমি হাটতে থাকলাম তাদের পেছনে । চারদিক একটা অসহ্য রকম শান্তি আর শুদ্ধতা । ধীরে ধীরে শুভ্রতা মিলিয়ে গেলো । আমি চোখ খুলে দেখি আমার একপাশে ইফতেখার আর একপাশে জহিরুল বসে আছে । জহিরুলের মুখে শুনলাম এখানে ইফতেখারের অপরেশান হয়েছে ।

আর দু এক দিনেই রিলিজ দিয়ে দিবে । সেদিন ইফতেখারে জন্য ঔষধ আনতে গিয়ে দেখে জহিরুল আমায় দেখে যে আমি পড়ে যাচ্ছি । ও ছুটে গিয়ে ধরে । এরপর এখানে ভর্তি করিয়ে দেয় । গত দুই দিন পর আজ আমার জ্ঞান ফিরেছে ।

আমি ইফতেখারের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা চালালাম । ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসছে । আমি আবার চোখ বুজলাম সেই শুভ্র মানবদের খোঁজে । তবে এবার দেখলাম একটা পরিপূর্ণ চাঁদ । আর ঝলমল করা জ্যোত্‍স্না ।

তখন ই মনে হলো আজ পূর্ণিমা । আমি চোখ খুলে জানালার দিকে তাকালাম । চমত্‍কার একটা চাঁদ উঠেছে বাইরে । আজ পূর্ণিমা । আজ জ্যোত্‍স্না বিলাস ।

চলছে শুভ্র জ্যোত্‍স্নার খোঁজ... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।