অনেক কিছুতেই নাক গলাই যাহা না গলালেও পারি !!
আমিঃ
সাদা আর নীল রঙ দুটোর খুব অদ্ভুত প্রেম ।
যখনি সময় পায় ঘাঢ় থেকে আরো ঘাঢ়তম হোয়ে উঠে ...
তোমরা বুঝি তখন তাকে নাম-করণ করো শরৎ এর আকাশ ?
অচেনা মুখঃ অভিমান কে বুঝি তুমি মেঘ বলো আর কান্না কে তুমি বৃষ্টি ?
সাদা কাশবন আর নিলাকাশ,
শালিক, চড়ুই আর উদ্ভ্রান্ত ঘাস
স্নিগ্ধ তুমি, শুভ্র আমি
আর আমাদের শরতের আকাশ।
আমিঃ তাহলে কি জ্যোস্না যোগ দিবো - রাতে পাখি - উজ্জ্বল ঝমমল তারাঁ !
অথবা স্বপ্ন রঙ এর কাজল জল । । ধুয়ে যাওয়া শহুরে নীল জ্যোস্নায় কাটবে ...... স্বপ্নময়তায় ডুববে তোমার মন ।
?
অচেনা মুখঃ জোৎস্না যদি দুধসাদা হয়,
পাখি যদি ডাহুক হয়,
তারা যদি ঝাপসা হয়,
তাহলে যোগ দিতে আপত্তি নাই।
* স্বপ্নের রঙ কি ??
আমিঃ স্বপ্নের নিজস্ব কোন রঙ নাই - বাস্তবিক স্বপ্নে সব রঙ এর অস্তিত্ব থাকে আর ঘুমায়িত স্বপ্নে রঙ এর উর্দ্ধে থাকে... আর তারা ঝাপসা হবে কেন স্পষ্ট হতে হবে --- মেঘ তো দেখি না তাই স্পষ্ট
অচেনা মুখঃ আমার তো ঝাপসা তারা ছাড়া ভালো লাগে না।
স্পষ্ট তারা দেখলে হেডলাইট মনে হয়।
মেঘ ছাড়াও তারা ঝাপসা হয়।
আমিঃ তাহলে সুখতারার দলে কই পালাবে ?
পূব আকাশ কি অন্ধ হবে ?
অচেনা মুখঃ দেশে কবি-সাহিত্যিকের অভাব নাই, সুখতারা দের চিন্তা তাদের।
আমার শুধু পুব আকাশ টা অন্ধ হলেই হবে।
আমিঃ তাহলে যে পশ্চিমা আকাশ অভিমানে পুড়বে ? তখন কি হবে ?
অচেনা মুখঃ কি আর হবে ?
পুব আকাশ তার অভিমান ভাঙ্গাতে অন্ধকারকে মুক্তি দিবে,
আর নতুন একটা ভোরে নতুন একটা দিনের শুরু হবে।
আমিঃ হতছাড়া মেঘ যদি আলো কে ঢেকে দেয় ? তখন ভড়ের আলো পালানোর পথ তো খুজে পাবে না ?
অচেনা মুখঃ কেন মিছে নক্ষত্রেরা আসে আর? কেন মিছে জেগে ওঠে নীলাভ আকাশ?
কেন চাঁদ ভেসে ওঠে সোনার ময়ূরপঙ্খী অশ্বত্থের শাখার পিছনে?
কেন ধুলো সোঁদা গন্ধে ভরে ওঠে শিশিরের চুমো খেয়ে-
গুচ্ছে গুচ্ছে ফুটে ওঠে কাশ?
খঞ্জনারা কেন নাচে? বুলবুলি দুর্গাটুনটুনি কেন ওড়াওড়ি করে
বনে বনে?.................
তখন জিবনানন্দের মত বলব," কেন মিছে মেঘ ঢেকে দেয় সব আলো"
আমিঃ কেন কেন সময় বড় অচেনা করে দেয় সেই চির চেনা পথ ?
অচেনা মুখঃ সময়ের সাধ্য কি ?
পথ টাকে আমিই ভালোভাবে চিনতে পারি নাই।
আমিঃ তাহলে পথের কি দোষ ?
অচেনা মুখঃ পথের দোষ তো দেই না কখনো, দোষ আমার দর্শন ইন্দ্রিয়ের।
চলবে .........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।