বড় মাপে দেখলে বাংলাদেশের রাজনীতি দু’টো ধারায় বিভক্ত। একটি আওয়ামী লীগকে, অন্যটি বিএনপিকে কেন্দ্র করে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে মহাজোট এবং বিএনপিকে কেন্দ্র করে ৪ দলীয় জোট থেকে ১৮ দলীয় জোটে রূপান্তরের অবস্থানটি মূলত রাজনীতিতে পরস্পর বিরোধী আদর্শসমূহের মেরুকরণের চিত্র বলে ধরা যায়। তবে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই যে কথাটি উচ্চারিত হয় তা এই মেরুকরণের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।
মহাজোট বা জোটের দলীয় সংখ্যা বা পরিচিতি কখনো এক জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, তবে আদর্শিক বিচারে দু’টো জোট মহাজোটই পরস্পর বিরোধী রাজনীতির ধারক বা বাহক।
তবে এই দুই বড় মাপের পরস্পর বিরোধী ধারার বাইরেও বেশ কিছু ছোট ছোট আদর্শ কেন্দ্রিক, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী কেন্দ্রিক দল দেশে আছে যাদের অবস্থান মোটেও এক রকম নয়। তাদের মধ্যে বামপন্থায় বিশ্বাসী দলগুলো প্রায়ই উপরোক্ত দ্বিদলীয় (জোটীয়) রাজনীতির বাইরে ‘‘তৃতীয় ধারা’’ সৃষ্টির কথা বলে থাকে। এর বাইরেও কেউ কেউ ‘তৃতীয় শক্তি’র উত্থানের কথা বলেন, কেউ কেউ হুঙ্কারও ছোঁড়েন। সম্প্রতি নাগরিক ঐক্য পরিষদ নামে একটি ‘সদ্য ভূমিষ্ঠ’ সংগঠন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘তৃতীয় ধারা’ সৃষ্টির কথা উচ্চারণ করেছে। সংগঠনটি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার কথা ভাবছে বলে উল্লেখ করেছে।
সেটা তারা ভাবতেই পারেন, করতেও পারেন। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ বা বিএনপির বিপরীতে ‘তৃতীয় শক্তি’ হিসাবে তাদের গ্রহণ করবে কি করবে না সেটি ভবিষ্যতেই কেবল দেখা যাবে, বোঝা যাবে। তবে আপাতত দেশের রাজনীতির নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা যা বলছে তা থেকে ‘তৃতীয় বিকল্প শক্তির’ উত্থানের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। কেন এমনটি মনে হচ্ছে তার কিছু বাস্তবতা তুলে ধরছি।
রাজনীতিতে ‘তৃতীয় ধারা’ তৈরির সাম্প্রতিক কালের কয়েকটি উদ্যোগ এবং এগুলোর পরিণতি স্মরণ করা যেতে পারে।
১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে ৮ দলীয় জোটের পরাজয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হতাশার সুযোগ নিয়ে ড. কামাল হোসেনকে কেন্দ্র করে ‘তৃতীয় ধারা’ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। অবশ্য এর প্রেক্ষাপটে ১৯৯০-৯১ সালের বিশ্ব রাজনীতিতে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপর্যয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তিতে বাংলাদেশে বাম রাজনীতিতে ভাঙ্গনের ঢেউ, তা থেকে নতুনভাবে মেরুকরণ সৃষ্টির উদ্যোগ কাজ করেছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত জোটের অপ্রত্যাশিত পরাজয়। এর ফলে বিশ্ব এবং দেশীয় বাস্তবতায় ডানপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ার যে প্রবণতাটি লক্ষ্য করা গেছে তা থেকে অনেকেই ‘তৃতীয় পন্থার সম্ভাবনা’ দেখেছেন। এসব সম্ভাবনা শহুরে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত এবং মিশেল তত্ত্ববিলাসীদের উদ্ভাবিত।
তবে সেই তত্ত্বকে বাস্তবে রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, দোদুল্যমানতা অতিক্রম করার কোনো ধারণা, উদ্যোগ ও বাস্তবতা উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিল না। ফলে ড. কামাল হোসেনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপির বিপরীতে ‘তৃতীয় শক্তির’ উত্থান খুব স্থায়ী হতে পারেনি। ড. কামাল হোসেনকে কেন্দ্র করে ‘তৃতীয় ধারায়’ বিএনপি কেন্দ্রিক গঠিত কোনো উপস্রোতই যুক্ত হয়নি।
কারণ তখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার যে বৈধতা লাভ করেছিল তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থা এবং আওয়ামী বিরোধীদের সম্মুখে যে সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছিল তা হারাতে কোনো সুবিধাবাদী, দক্ষিণপন্থার শক্তিই চায়নি। এমন কি সিপিবি’র মতো আদর্শবাদী বামপন্থার রাজনীতি করেও কেউ কেউ ডানপন্থার এই ধারাকে ‘সম্ভাবনাময়’ ভেবে তাতে যুক্ত হন।
বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাস্তবতায় যে রাজনীতি ক্ষমতা কেন্দ্রিক পুষ্ট হয়েছে তাতে বড় ধরনের ভাঙ্গন ও কাঁপন সৃষ্টি হয় গোটা রাজনীতিতে, গণতন্ত্রের যাত্রা পথে। এর সূক্ষাতিসূক্ষ বিচার বিশ্লেষণ করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি রাজনৈতিক অঙ্গন কিংবা একাডেমিক মহলে। ফলে ভাঙ্গন যেটি লেগেছিল তা হয়েছিল উদারবাদী অংশে, অপরদিকে সংযোগ যতোটুকু ঘটতে থাকে তা বিএনপিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণপন্থার রাজনীতিতে। এর প্রভাব এই সমাজে ক্রমবর্ধমান থেকেছে। এটি সমাজের নিচের স্তরেও বিস্তৃত হয়েছে।
২০০১ সালের নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের বিজয়ে অনেকেই বিস্মিত ও হতবাক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে নব্বইয়ের দশকে দেশের রাজনীতি যেভাবে ডানমুখী প্রভাব ও বৈশিষ্ট্যে পুষ্ট হয়েছিল তার বিপরীতে মূলধারার রাজনীতি মারাত্মক দীর্ঘস্থায়ী অস্তিত্বের সংকটে পড়ে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় ৪ দলের অবস্থান (২০০১-২০০৬) বাংলাদেশকে যে ধারায় নিয়ে যাচ্ছিল তার সঙ্গে বিএনপির একটি ক্ষুদ্র অংশ একমত হতে পারেনি। কিন্তু বিএনপি তখন তাদের গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। বিএনপি তখন যে ধারায় দেশের রাজনীতি, ক্ষমতা ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে নিয়ে রাজনীতিতে অবস্থান গ্রহণ করে তার ফলে আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে মূল ধারার রাজনীতিতে মেরুকরণ নতুনভাবে ঘটা শুরু হয়। তা থেকে ১৪ দলীয় জোটের বাস্তবতা তৈরি হয়।
এর ফলে বিএনপিতে একাধিক ছোট ছোট ধারা তৈরি হয়। তবে এসব শক্তি তৃতীয় কোনো ধারা তৈরির কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। তারা বরং কিছু দিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে অবশেষে নিজেদের ঢেরায় ফিরে গেছে বা অবস্থান নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, তৃতীয় ধারা সৃষ্টির যে সব উদ্যোগ ও আয়োজন তার প্রায় সবটুকুই বাম বা উদারবাদী ধারার রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই ঘটছে।
বাম রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমাগতভাবে ছোট হয়েছে।
আদর্শিক বিষয় নিয়ে তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। প্রতিটি দলই একাধিক দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে। এরাই গত এক দশক ধরে ‘তৃতীয় ধারা’ তৈরির কথা বলছে, কখনো কখনো ছোটখাটো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু তাদের কোনো উদ্যোগই সফল হয়নি। কারণ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করার মতো অবস্থানে বাম দলগুলো কখনো দাঁড়াতে পারেনি।
শহর বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক তাদের কর্মকাণ্ড কিছুসংখ্যক তরুণের মধ্যেই সীমিত আছে, ব্যাপক জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মতো কার্যক্রম তাদের নেই। ফলে জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির বাইরে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করার মতো তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক শক্তির উপস্থিতি দেশব্যাপী লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জামায়াত অবশ্য দেশব্যাপী তাদের ছোট একটি অবস্থান দাঁড় করাতে পারলেও মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা, ক্যাডার সংগঠন, আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে দল করার বিধান ইত্যাদি কারণে এর গ্রহণযোগ্যতা ও প্রসারের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হয়ে আছে। অন্যদিকে জাতীয় পাার্টিও মাঝে মধ্যে ‘তৃতীয় শক্তি’ হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার কথা বলছে। দলটি দেশের উত্তরাঞ্চলে এরশাদ কেন্দ্রিক যে অবস্থান তৈরি করেছে তা দেশব্যাপী বিকল্প কোনো শক্তি হিসাবে বিবেচিত হওয়ার অবস্থানে যায়নি।
এটি আদর্শগতভাবে বিএনপি ঘরানার দল হলেও এর অবস্থান কোনো কালেই স্পষ্ট করা হয়নি; এইচএম এরশাদ দলটিকে তার নিজস্ব দল বলেন। ফলে এর অস্তিত্ব এরশাদকেন্দ্রিক থেকেছে, এর বাইরে বিশেষ কিছু হতে পারেনি, সেভাবে দাঁড়ায়নি।
দেশের রাজনীতির এমন বাস্তবতায় নাগরিক সমাজকে নিয়ে ‘তৃতীয় শক্তির’ উত্থান ঘটার সম্ভাবনা কতোটুকু তা নিয়ে আশার আলো দেখার কোনো বাস্তবতা নেই বললেই চলে। হ্যাঁ, আওয়ামী লীগের প্রতি উদারবাদী ধারার নেতাকর্মী, সমর্থক, এমনকি বাম ধারার প্রচুর সমালোচনা আছে। তাদের ব্যর্থতার একটি তালিকা তৈরি করলে তাতে এ ঘরানার চিন্তা যারা করেন তারা হতাশ হতে পারেন।
একই অবস্থা বিএনপিকে কেন্দ্র করেও চলছে। যারা আওয়ামী বিরোধী কিংবা চরম ডান চিন্তায় বিশ্বাসী, অথবা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী বলে যারা পরিচিত তাদের কেউ কেউ বিএনপির প্রতি সমালোচনা মুখর হতে পারেন। কিন্তু ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বাস্তবতাকে চিন্তা করার জায়গায় যখন যেতে হয় তখন উদারবাদী অংশ যেমন আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসানোর চিন্তা নিশ্চিন্তে করতে পারছে না, ডানপন্থীর ভোটারগণও বিএনপির ধানের শীষ বা দাঁড়িপাল্লা মার্কার বাইরে অন্য কিছু ভাবার পর্যায়ে যায়নি।
ফলে আওয়ামী লীগকে পছন্দ না করা মানুষও ১৮ দলকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যত্ বাংলাদেশের রাজনীতির আদর্শ নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে পারছে না। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদকে দমন করা যাদের পছন্দের মধ্যে পড়ে না তারা মহাজোটকে ক্ষমতায় দেখার চিন্তা কখনো করে না।
রাজনীতির আদর্শগত এমন পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থান বাংলাদেশে এখনো বেশ টানটান ও হাড্ডাহাড্ডিতে রয়েছে। সে ধরনের পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপির অবস্থান হচ্ছে পঞ্চাশ পঞ্চাশ সম্ভাবনার। দেশের রাজনীতি এমনই দুইটি পরস্পর বিরোধী শক্তির প্রতিযোগিতার অবস্থানে আছে। একটি ক্ষমতায় বসার অর্থ দাঁড়াচ্ছে অন্যটির দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব যাচাই-বাছাই করার ধারা অনেকটাই পেছনে পড়ে গেছে, সেই প্রতিযোগিতা নেই বললেই চলে।
ফলে দুই দল বা জোটকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক শক্তির উত্থান দেশে ঘটেছে তাতে ঘোষিত রাজনৈতিক আদর্শের অবস্থান ও বাস্তবায়ন মারাত্মক হুমকির মুখে আছে মূলত উদারবাদীদের, রক্ষণশীল ধারার রাজনীতির জন্যে এটি এখনো তেমন হুমকির অবস্থা তৈরি করেনি। কেননা, পশ্চাত্পদ সমাজ যখন ব্যাপক অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয় তখন সেখানে উদারবাদী গণতন্ত্রের বিকাশ সবসময়ই নানা সংকটের মধ্য দিয়ে চলে, রক্ষণশীল রাজনীতির জন্যে এ সবই হচ্ছে উপজীব্য বিষয়। এখন নাগরিক সমাজ যে ধরনের ‘তৃতীয় শক্তি’র উত্থানের সম্ভাবনার কথা ভাবছে তা তারা কোন্ রাজনৈতিক শক্তির ভাঙন ধরিয়ে করাতে পারবেন তা চট করে বলা সম্ভব নয়। তবে জাতীয় নির্বাচনে এখনই ছোট পরিসরের ‘নারায়ণগঞ্জ অভিজ্ঞতা’ সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।
তৃতীয় রাজনৈতিক ধারা ইউরোপের মতো মহাদেশেও এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের ভিত্তি পায়নি।
আমাদের অবস্থান সেক্ষেত্রে অনেক দূরে। মূলধারার বিপরীতে যে ধারাটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে দাঁড়িয়ে গেছে তার পেছনে অনেক আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক পশ্চাত্পদতা কাজ করেছিল। সেইসব সীমাবদ্ধতা থেকে দেশের রাজনীতি এখনো মুক্ত হতে পারেনি। অদূর ভবিষ্যতে হতে পারবে তেমন সম্ভাবনা কম দেখা যাচ্ছে। গণতন্ত্রের গ্যারান্টিই যে সমাজের রাজনীতি এখনো দিতে পারছে না সেখানে তৃতীয় ধারার বাস্তবতা অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, বাস্তবে দানা বাঁধতে পারার পর্যায়ে নেই।
তথ্যসূত্র: শ্যামলবাংলা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।