"আমারে ফিরায়ে লহো অয়ি বসুন্ধরে, কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে"-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কফিশপ - ( প্রথম পর্ব )
কফিশপ - (দ্বিতীয় পর্ব)
রিকের কথাঃ অসংজ্ঞায়িত ভালোবাসা আর অতৃপ্ততার কাহন
আজ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। লাইফের ফার্স্ট বোধহয়। রিলেটিভদের কেউ মারা গেলেও এত সকালে কেউ আমাকে উঠাতে পারে না। এর পেছনে অবশ্য একটা কারন আছে। লাইফের স্বপ্ন পূরণের প্রথম স্টেয়ার।
ফ্রান্সের নামিদামী ফটোগ্রাফি ইন্সটিটিউট “ চার্লস ফটোগ্রাফি স্কুল ” এ ফাইল জমা দিয়েছিলাম ছয় মাস আগে। সেখান থেকে তাঁরা আমাকে অফার করেছে তিন বছরের ফটোগ্রাফি কোর্সের জন্য। ফ্রান্স দূতাবাসে কাগজ জমা দিয়েছিলাম, আর আজ ভিসা পেয়ে গেছি। নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার ধ্যান জ্ঞান সব এই ফটোগ্রাফিকে ঘিরে।
আমার স্বপ্নসিঁড়িতে প্রথম পা রাখা হলো। নিজের ভেতরে অদ্ভুত এক চাপা উত্তেজনা। সাড়ে বারোটায় দূতাবাস থেকে বেড়িয়ে প্রথমে প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট ধরিয়ে ফেললাম। আজ বাকি দিন নুশাকে নিয়ে কাটালে খারাপ হয় না! ভাবতেই রোমাঞ্চকর লাগছিল। পকেট থেকে মোবাইল বের করে ডায়াল করলাম নুশাকে,
“হাই নুশামনি”
“রিক! তুমি এসময়ে কল করলে? ব্যাপার কি?”
“তোমার কি আজ ক্লাস আছে নুশা?”
“সানডেতে আমার ক্লাস অফ তুমি জানো না? এতদিন থেকে বলে আসছি!”
“ও হ্যাঁ তাইতো! আজ কি সানডে?” যথাসম্ভব আশ্চর্য হওয়ার মত ভয়েজে জিজ্ঞাসা করলাম।
“হয়েছে আর নাটক করতে হবে না, কি বলবে বলো”
“শোন, আমি দুই ঘন্টার মধ্যে ক্যাফে ম্যাঙ্গতে আসছি। তুমি দেরী করো না প্লিজ, ঠিক আড়াইটায় আমি ক্যাফেতে থাকবো। তুমি ঝটপট তৈরি হয়ে চলে এসো। বাই, টেক কেয়ার এঞ্জেল। “
ওপাশ থেকে নিশাত কিছু বলতে চেয়েছিল, ওকে সেই সুযোগ না দিয়েই কেটে দিলাম।
আমি জানি ও আসবে, যত ঝড় আসুক ও আসবে। হ্যাঁ ঝড়ের কথা থেকেই আকাশের দিকে তাকালাম। আজ আকাশ মেঘলা। বাইক রেখে নুশাকে নিয়ে রিকশায় ঘুরব সারা বিকেল। মেঘলা বিকেলে মেঘমাদুর বিছানো ধরণীর বুকে দুজন ভেসে বেড়াব শীতল কিংবা থমকে যাওয়া বাতাসে।
হাতের জ্বলন্ত সিগারেট দুই আঙ্গুলের টোকায় পারদর্শী ভঙ্গিতে ছুরে ফেলে বাইক স্টার্ট দিলাম।
গুলশান থেকে মহাখালি হয়ে ধানমন্ডির দিকে যেতে শুরু করলাম। সকাল থেকে তেমন কিছু খাওয়া হয়নি তাই স্টার কাবাবের সামনে বাইক পার্ক করে ঢুকে পরলাম। গতবছর একদিন নিশাতকে হোস্টেলে পৌঁছে দেয়ার সময় স্টার কাবাবের সামনে বৃষ্টি শুরু হলো। বাইক রেখে ঢুকে পড়েছিলাম দুজনে।
আমি রাক্ষসের খাচ্ছিলাম আর নিশাত মিটিমিটি করে হাসছিলো। ওকে হাসতে দেখে একটা চিকেন পিস ঠেসে ধরলাম ওর মুখে, সে কি অবস্থা! মনে হতেই শব্দ করে হেসে ফেললাম। পাশের টেবিলের মেয়েটি চোখবড় করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে, মনে হয় লাইফে ফার্স্ট কাউকে হাসতে দেখছে। ইচ্ছে করছিল মেয়েটির দিকে চিকেন লেগ পিস এগিয়ে দিয়ে বলি,”খাইবা?”, রাগ সামলে দুইঠোঁট এক করে যথাসম্ভব প্রশস্ত করে একটা হাসি দিয়ে আবার খাওয়ায় মনোযোগ দিলাম। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি পৌনে তিনটা বাজে! আজকেও লেট!
ক্যাফে ম্যাঙ্গতে ঢুকে দেখি নুশা বসে আছে।
প্রতিবার যেমন দেখি ডানহাতে ওর মোবাইল ঘুরপাক খাচ্ছে, আজও তার ব্যাতিক্রম নয়। পা টিপে পেছন থেকে যেয়ে ওর চোখ চেপে ধরলাম। আমার হাতে হাত আলতো স্পর্শ করিয়ে আধোঅভিমানী স্বরে বললো, “হয়েছে রিক, আর ঢং করতে হবে না, তুমি না আড়াইটায় আসবে বলেছিলে?”
আমি প্রতিবার লেট করলে নুশা পাহাড় সমান অভিমান নিয়ে ভাবতে থাকে আজকে আসলে ওকে চিকেন ফ্রাই কিংবা কিমা বানিয়ে ফেলবো, কিন্তু যখন আমি ওর কাছাকাছি এসে দাঁড়াই তখন ও আর অভিমান বশ করে রাখতে পারে না, অভিমান কমে আধোঅভিমান হয়ে যায়, ক্ষনিকবাদে হিমশীতল। বাইকের চাবি টেবিলে রেখে বললাম,
“খুব ক্ষুধা লাগছিল। তাই স্টারে ঢুইকা খাইলাম।
“
“আমাকে বলতে পারতে তো! টাইম নিয়ে কি কোনদিন তোমার সেন্স হবে না?”
নিশাতকে বলতে ইচ্ছে করলো যে আমি হয়ত আর লেট করতে পারবো না, নেক্সট উইকে আমি চলে যাচ্ছি। কিন্তু বলতে পারলাম না। কেন পারলাম না আমি নিজেও জানি না। এতটা সময় খুব চঞ্চল ফিল করলেও হঠাত করে ভেতরটা দুমরে মুচরে যাচ্ছিল। এই মেয়েটিকে না দেখে আমি থাকব কিভাবে? তিন বছরে এক একটি দিন কেমন হবে এই পাগলীকে ছাড়া? আশঙ্কা ভীড় করছিল মনে।
সবকিছু চেপে এক চিলতে হাসি হেসে বললাম,
“আহা নুশামনি! তুমি স্কুলের মিস এর মত আমাকে উপদেশ দিতে থাকো কেন? তারচেয়ে ভালো কফি অর্ডার করি, তাছারা আজ একটা প্ল্যান আছে”।
“কি প্ল্যান আবার?” ফ্যাকাশে মুখে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে নিশাত, মনে হচ্ছে ওর অন্যকোথাও কোন কাজ আছে।
“আগে কফি আসুক, পরে তোমাকে বলছি প্ল্যানটা কি। তোমার কি কোন কাজ আছে?“
“নাহ, তেমন কিছু না। “ কিছু বলতে চেয়েও হাসিমুখে রইলো নিশাত।
কফি চলে এলো। আজ ভাবিছি পকেটে থাকা প্লাটিনাম রিং ওকে প্রেজেন্ট করবো। তখন ওর অভিব্যাক্তি কেমন হবে, ভাবতেই ভালো লাগে।
“নুশা, আজ সারা বিকেল তুমি আর আমি রিকশায় করে ঘুরব। “
“কেন? তোমার বাইকের কি হয়েছে?”
“মেঘলা আকশের নীচে দুজনে পাশাপাশি বেড়াব সমস্ত শহর“ নিশাতের সামনে নুইয়ে পরা চুল সরিয়ে দিয়ে বললাম।
যখনি ওকে স্পর্শ করি কেমন যেন নীরব হয়ে যায়। খুব অবাক লাগে। এই মেয়েটি অন্যসব মেয়ের থেকে অনেক স্পেশাল আমার কাছে, অনেক ভালো লাগার একটি মেয়ে যার চোখ অনেক কিছু বলে আর আমি বুঝেও না বুঝার ভাব ধরে থাকি। আমি আমার কনফিউশন কাটিয়ে উঠতে পারি না, কনফিউশন আমি ওকে ভালোবাসি নাকি ও শুধু আমার ভালোলাগার একটি মেয়ে?
মেঘলা আঁধারের আকাশের নীচে দুপাশে সারি সারি ছাতিম গাছের মাঝখান দিয়ে প্রশস্ত রাস্তায় রিকশায় করে দুজনে মেঘলা বিকেল অনুভবের নেশায় চলতে শুরু করলাম। হঠাত করেই শীতল ঝরো হাওয়া বইতে শুরু করলো।
শেষ বিকেলের গোধূলি বেলায় কাঁদতে শুরু করলো আকাশ। আজ ভিজতে ইচ্ছে করছে। নিশাত রিকশার হুড তুলে দিতে চাইলেও বারন করলাম আমি। রিকশা চলেছে আর বৃষ্টির ফোঁটা এসে পড়ছে হাতে মুখে। অন্যরকম এক অনুভূতির জগত।
দুজনে ভিজে কাকভেজা সমস্তটা। একসময়ে শীতল বাতাসের প্রকোপে নুশার উষ্ণ হাতের স্পর্শ চমকে দিলো আমায়। এতখানি উষ্ণতার জন্য হয়ত শত নয়, হাজার বছর অপেক্ষা করা যায়। নুশার দিকে তাকাতে দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে, সে চোখের কি আবেদন ছিল সেদিন তা বুঝতে পারিনি। অজান্তেই দুজনে কাছাকাছি এসে ছুঁইয়ে দিলাম ঠোঁটে ঠোঁট।
A kiss in rain, A perfect romance.
স্থায়িত্ব কতক্ষন জানি না, কিন্তু উষ্ণতা পরিপূর্ণ।
ফুলার রোডের স্পিড ব্রেকারে রিকশার ঝাঁকুনিতে সম্ভিত ফিরে পেলাম দুজনে। নিজেকে সামলে নিয়ে অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে ভাবলাম এ কি হয়ে গেলো? এভাবে ! নিশাত একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে আমার দিকে, হয়ত ও নিজেও ভাবতে পারেনি এমন কিছু ঘটবে যার রেশ ও কাটিয়ে উঠতে পারছে না। দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে। বাকি পথ দুজনের নীরব বসে থেকে কাটলো।
নিশাতের হোস্টেলের সামনে এসে থামল রিকশা। নিশাত রিকশা থেকে নেমে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমিও হতভম্ব হয়ে অনুতাপের দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম, দেখছিলাম নিশাত চলে যাচ্ছে। অন্যসব দিনের মত নুশার হাত ধরে রিকশা থেকে নামিয়ে “বাই এঞ্জেল” শব্দটি উচ্চারন করতে পারছিলাম না। আজ হঠাত এমন কেন হলো? নিশাত কি ভাবছে? ঠিক না বেঠিক? এমনসব আজেবাজে প্রশ্ন খেলছিল মনে। বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেলো।
রাতে ঘুম হলো একফোঁটাও।
প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেছে। নিশাত এই এক সপ্তাহে কোন যোগাযোগ করেনি। অনেক বার ভেবেছি ফোন করবো ওকে, কিন্তু অনুতপ্ততা আর অপরাধবোধ গ্রাস করছিল আমাকে। নিশাত তো পারতো একটা ফোন করতে, আবার সব আগের মত স্বাভাবিক করতে পারতো।
দুজনে ফের আগের মত। নিশাত কি আমার মত অনুতপ্ত? আজ আমি বাইরে চলে যাচ্ছি, নিশাত এখনো জানে না আজকের দিনটির পরে আবার কবে আমাদের দেখা হবে। আদৌ হবে কি না। ইমিগ্রেশন লাউঞ্জে বোর্ডিং পাস নিয়ে বসে সেই প্লাটিনাম রিং হাতে ঘুরাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম নিশাতকে। শেষটায় আমাদের সাথে এমন কেন হলো? সবকিছু ছন্নছাড়া হয়ে গেলো।
নিশাতকে বলাই হয়নি ওর জন্য এই রিং কেনা হয়েছে।
লাউঞ্জের মনিটরে দেখাচ্ছে আর ১০ মিনিট। চলে যাচ্ছি এক অজানা দেশে যেখানে অনেকটা দিন নিশাত না দেখে কাটিয়ে দিতে হবে। আমি কেন এখনো ডিসিশনে আসতে পারছি না যে আমি ওকে ভালোবাসি। কিন্তু আমার সবসময় মনে হয় ওকে ছারা বাকি জীবন কাটানো প্রায় অসম্ভব আমার জন্য।
ওকে ছাড়া যে কিছু ভাবতেই পারছি না। নিশাত তো বলতে পারতো, হয়ত মেয়ে বলে মনের কথা কখনো প্রকাশ করতে পারেনি। আর আমিও কত বড় গাধা যে ওকে কখনো বুঝতে পারিনি।
পকেট থেকে মোবাইল বের করে আবারো স্ক্রিনে দেখলাম, নাহ নিশাতের নতুন কোন মেসেজ নেই। অন্তত একটা মেসেজ করতে পারতো! আজ মনে হচ্ছে আবার কবে দেখতে পাবো আমার এই এঞ্জেলকে, আজ অনেক বেশীই মিস করছি ওকে।
হঠাত করেই নিশাতের ফোন, হাত কাঁপছে আমার। ফোন রিসিভ করে কাঁপা গলায় বললাম,
“হ্যালো!”
“কেমন আছো রিক?”
“নুশা! তুমি এত রাতে ঘুমাও নি? শরীর খারাপ করবে তো!”
“সেদিনের পর থেকে ঘুমাতে পারিনি, ভেবেছি তুমি হত ফোন করবে, সবকিছু আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যাবে, কিন্তু তুমি করনি”
“তুমিও তো পারতে নুশা একটা ফোন করতে”
“অনেকবার চেয়েছি, অজানা কোন বাধায় পারিনি, আজ কিন্তু ফোন আমিই করেছি, আর আমি আজ বুঝতে পেরেছি তুমি অনেক ভীতু একটা ছেলে, যে নিজেকে বুঝতে পারার সাহস রাখে না। “
“নুশা আমি অপ্লকিছুক্ষনের মধ্যে চলে যাচ্ছি”
“কোথায়?” চিৎকার করে বললো নুশা। কেঁপে উঠল আমার ভেতরটা, যথাসম্ভব স্বাভাবিক হয়ে বললাম,
“তোমাকে বলা হয়নি, প্যারিসের উদ্দেশ্যে কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার ফ্লাইট ছাড়বে। “
ওপাশে নিশাত নিশ্চুপ হয়ে যায়।
“হ্যালো?” ব্যাকুল হয়ে উঠি আমি। “নুশা?” আবেগের বান ডাকে যেন, নিজেকে নিজে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারিনা আমি।
“রিক… আমি…”
টু টু আওয়াজে সৎবিত ফেরে আমার, নুশা লাইন কেটে দিয়েছে। নুশার বাকি কথাগুলো শোনার জন্য আমার ভেতরটা ছটফটিয়ে ওঠে। বাকিটুক বাকিই রয়ে যায়।
ইমিগ্রেশন লাউঞ্জে এনাউন্স হচ্ছে। বোর্ডিং দেখিয়ে ভেতরে যেয়ে বিমানের জানালায় তাকিয়ে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। একে একে আমাদের দুজনের অন্তঃসার শূন্য দিনগুলিতে রং তুলির স্পর্শ খুঁজে পাই আমি। মনে পড়ে কফিশপে কাটানো সময়, নিশাতের অভিমান, নিশাতের হাসি, নিশাতের কান্নার রং, নিশাতের ভালোবাসা। ভালোবাসা!!!
বিমান রানওয়ে ছেড়ে উড়ে গেছে ততক্ষনে, আর আমিও বুঝতে পেরেছি আমি সত্যিই তাকে ভালোবাসি।
আজ এই দূরত্বটুকু না থাকলে হয়ত এই ভালোবাসা আমি কোনদিন বুঝতে পারতাম না। হাতের উপরে একফোঁটা জল পড়তেই বুঝতে পারলাম, এই হয়ত ভালোবাসা। আজ ভালোবাসা আমার চোখের জল হয়ে আজ অঝোরে ঝরছে। রূপকথার রাজ্যের রাজকুমারী কি অপেক্ষায় থাকবে আমার জন্য? অস্ফুট আর্তনাদ বেরিয়ে এলো, “I have Holden her hands, but didn’t understand her love. She grows within me, but I neglect her. I deserve that punishment, but I love her too. Pardon me my love, Now I can understand you, I love you girl, love you a lot.”
কফিশপ- তৃতীয় পর্ব - ব্লগার ত্রিনিত্রি
কফিশপ (তৃতীয় পর্ব) - ব্লগার নীরব ০০৯
( আগামি পর্বে সমাপ্য.... )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।