আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
তপ্ত মরুময় জীবনের কোন আলিঙ্গন নেই শীতলতার, সাহারার বালিয়াড়ী আর তার সাইমুম ঝড় আমায় আছড়ে মারছে খেজুড় কাটার ডালে, আমি ক্রমাগত রুদ্ধ হচ্ছি মরিচীকার অদেখা জালে, জ্বলছে অন্তর, পুড়ছে কইলজা, ফেফরা, হৃদপিন্ড, ঝলসে যাচ্ছে বেচেঁ থাকার যা আছে ক্ষীন আশা, কেউ দেখছে না। পড়তে উঠতে বালিময় আমায় সিমেন্ট দিবে কে, তবে মূর্তি হয়ে শ্রদ্ধা পেয়ে যেতাম কালের অনাগত পাগল পথিকের, কিন্তু হায়, সিমেন্ট এখানে তো পাথর মারারও লোকের অভাব।
২৩ তারিখ পরীক্ষা, আজও পড়তে ইচ্ছা করছে না, বুঝতে পারছি , আমি হেরে যাচিছ। আমার হার আমায় লজ্জা দেবে, আমার পরিবারকে করবে বঞ্চিত। আমি বুঝে উঠতে পারছি না, কি আমর অপরাধ? কি ছিল বিয়োগ জীবনে চলার পথে, যা আমায় নিয়ে খেলছে এ আজব খেলা যা আমার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে।
আজ অনেকদিন হল আমার সেই ইন্টারনেট বন্ধুটির (হয়তো বন্ধু বলে এখন আর ভাবতে পারছি না, এর জন্য সময়ের আবেগ উত্থান-পতন সুত্র হয়তো কাজ করে না, হয়তো বিশ্বাস অবিশ্বাসের যে সকল সুত্র মানুষের মনকে অনেক দিনে যাবৎ বেধে রাখতে পারে তার কোন প্রভাব আমাদের বাধ্য করে। সাথে সাথে এ কথাও চিন্তা করছি যে আমায় পড়তে হবে, যেভাবে ছোট বেলায় নিজেকে বলতাম তোর কিন্তু লড়তে হবে, আমি ভাবতে থাকি ঐ দিনগুলোর কথা যেদিনগুলোয় আমি সকালে কিছু না খেয়েও ক্রিকেটের নতুন বলে বোলিং করতে নামতাম, হাতগুলো যেন অনেক ওজনের মনে হতো, পাগুলো নড়তে চাইতো না, কিন্তু আমি নিজেকে বলতাম, মদন, তোর লড়তে হবে, তোর পারতে হবে। এবং সবসময় ভাল করতে না পারলেও আমি মাঝে মাঝে নিজেকে শান্তনা দেয়ার মত অনেক সফলতাই খুজে পেতাম। তারপরও ক্রিকেট আমি বেশিদিন খেলতে পারলাম না, হয়তো আমার সেভাবে কোন প্রতিভা ছিল না, হয়তো আমি তেমন ভাল খেলতাম না, কিন্তু আমার মধ্যে একটা স্বপ্ন সময় বিরাজ করে, আমি নিজেকে কখনও ছোট কোন বস্তুর সাথে তুলনা করতে চাইনি, বা করিনিও। আমার চিন্তা চেতনায় দেশ-কাল- বিশ্ব বিরাজ করে।
আমি আমার মাঝে কখনও নিজেকে ভাবতে পারিনা, ভাবার সকল শাখায় পরিবার, অঞ্চল, দেশ, মানবতার অসংখ্য কচি, শুকনো, ঝরা, ধরা পাতার সমাবেশ ও শ্লোগান আমি প্রতিনিয়ত শুনতে পাই, কিন্তু সবাক আমার নির্বাক উপস্থিতি আমার ভালবাসাকে সারাক্ষনই অপমান করে দুয়োঁ ধ্বনি দিতে থাকে। আমার প্রকাশ আমার বিকাল আমার ব্যর্থতার ফলাফল নাকি সামাজিকতার প্রতিবন্ধকতা। আমি বিচার করতে বসলে নিজেকে নিয়ে কখনও বিচার করতে পারি না, কারন মানব মনের দূর্বলতাকে ছাপিয়ে ওঠার মত সাহস বা বুদ্ধিদ্বিপ্ততা হয়তো আমার মধ্যে নেই। কিন্তু আমি অনেক কে অনুরোধ করেছি আমার ভেতরের খারাপ দিকগুলোকে উন্মোচিত করার জন্য, কিন্তু কেউ-ই আমাকে সেভাবে আসলেই বলতে পারেনি, আমার মনে হয়না যে, এমন একটা ব্যাপার এখানে কাজ করে যে আমি সাধু পুরুষ, কিংবা যাদু পুরুষ), আমার সেই ইন্টারনেট বন্ধুর (অন্তরের বন্ধুত্ব আমার কেবল একজন দ্বারাই সম্ভব হয়েছিল) ব্যাপারে কথা বলছিলাম, তার সাথে এখন আর তেমন যোগাযোগ নাই, নাই বলতে নিজেকে অহংকারী মনে হচ্ছে, আসলে সেই-ই আমার সাথে যোগাযোগ রাখছে না (এর আগে অবশ্য তাকে আমি যোগাযোগ করার মত যথেষ্ট সন্মান করিনি) এবং যোগাযোগ না থাকার জন্য অবশ্য আমি প্রানের দেবদাসের মত পারুর শোখে রেলগেটের পাশে বসে টাকায় কেনা বিড়ির তামাক ফেলে গাজার শুকনো পাতার গুড়ো টানছি না) আমি মদন হয়তো, হয়তো মফিজ কিন্তু হাদারাম না, কিংবা গাধারাম।
তপ্ত বালিযাড়ীর উপর হেটে হেটে আমার চরন ফোসকা প্রতিবন্ধক,
আগুনের দরজা পেরোতে পেরোতে
নয়ন,চয়ন, জাগন, শয়ন পোড়া ইট, আমায় দহনের ভয় দিয়ে লাভ নাই, পি-যা, পপিয়া, সব-নূর।
অপমান, গালি আর নয়নের উপেক্ষিত ভাষার কালি দেখে দেখে ঢিট্ হয়ে গেছে নয়ন
এরে আর ঘৃণার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ও বড় লোকে মেয়ে আর গরিবের ছেলের নায়িকা।
শ্রাবনে ভিজে গ্রীর্স্মে ভিজে, সর্দি-জন্ডিস ছেড়েছে চর দখলের দাবী
প্রেমের আর্স্ফদারা দরজার দাড়িয়ে প্রহরে প্রহরে গিলেছে খাবি, মোহনীয়তার রুপে
বাহুবাস, ওষ্ঠ স্বাদের লোভ দেখিয়ে লাভ নেই, কোন, ও মৌ-চুমি, চিংকি, পিংকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।