স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা [এই পোস্ট আগেও দিছিলাম। যারা আগে এটা পড়েছিলেন তারা আর কষ্ট করে ঢুইকেন না]
অনেকেই জানেন যে সামুর সিনেমাখোরদের একটা ফেসবুক গ্রুপ আছে। সেখানে সিনেমার লিঙ্ক বা শর্ট রিভিউ যেমন আদান প্রদান হয় তেমনি সিনেমা নিয়ে বিস্তর আলাপ আলোচনাও হয়। মাঝে মাঝে এরা নিজেদের সময় বের করে গেট টুগেদারের আয়োজন ও করে থাকে। তো, তেমনি এক গেট টুগেদারে মিলিত হয়েছেন আমাদের সামুর কিছু ব্লগার।
এরা সিনেমাখোর - সিনেমা খায়। কিছু কিছু মানুষ পাবেন যারা এক বাসন পান্তা ভাত পেলেই হলো; মহানন্দে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ডলে ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে। এরা হল সেই জাতের সিনেমাখোর।
তো, ফেসবুকের ইনবক্সের সুবিধা উসুল করে ঠিক করা হলো অমুক দিন একটা আড্ডা হয়ে যাক। আড্ডায় যাদের ডাকা হলো - পুশকিন, নোবিতা রিফু, ইউসুফ খান, তাহমিদ অংশু, দারাশিকো, নাফিজ মুনতাসীর, সৈয়দ মিরাজ, কাউসার রুশো, আরজু পনি, দিপ, ফেলুডার চারমিনার, দূর্যোধন, স্নিগ এবং তন্ময় ফেরদৌস ।
রুশোঃ উফ, কি গরম পরছে দেখছেন? শরীর জ্বলতেছে
স্নিগঃ হ, আর এই গরমে কেউ দুপুরবেলা আড্ডা রাখে!! আড্ডা হবে রাত-বিরাতে।
তন্ময়ঃ সন্ধ্যা বা রাতে করলে পনি আপুর জন্য সমস্যা হয়ে যেতো।
পনিঃ সমস্যা। খুব সমস্যা।
পুশকিনঃ এই আড্ডায়, মন বাড্ডায়
ফেলুডাঃ বাড্ডায় কিরে বাই?
স্নিগঃ আর বইলেন না।
উনার প্রোফাইলের ছবি দেখলেই বুঝবেন। হাত ধরাধরি করে পুরা ১৮ পিলাচ অবস্থা!
ইউসুফঃ পুশি ভাই কবে ১৮ মাইনাচ ছিলোরে ভাই!! সারাজীবন দেখলাম খালি ১৮ পিলাচ পোস্ট দিয়া যাইতে!
মিরাজঃ সহমত।
পুশকিনঃ এইসব কি আকথা বাই? বাস্তবে সুযোগ নাই তাই সিনেমায় একটু দেখি।
স্নিগঃ পুশিক্যাট এর অভ্যাস খারাপ। সেদিন আমারে যেই পিক এ ট্যাগ করছে!! বলেন আস্তাগফিরুল্লাহ।
মিরাজঃ সহমত। আই মিন আস্তাগফিরুল্লাহ।
তন্ময়ঃ হ, আমিও দেখছিলাম। দেইখা তো আমার দাঁড়ায়া গেছিলো!
ফেলুডাঃ কস কি মমিন!! কি দাঁড়াইয়া গেছিলো?
তন্ময়ঃ আরে হাতের পশম দাঁড়ায়া গেছিলো। ক্যান, আপনে কি ভাবছেন?
ফেলুডাঃ আমি! আরে না না তেমন কিছু না।
হেহেহেহে। এই আর কি। হাহাহা। কিরে দিপ, কথা কস না ক্যান ব্যাডা?
দিপঃ আমি আর কি বলবো! ইন দ্যা ইয়ার নাইন্টিন নাইন্টি...
স্নিগঃ থাউক, আর আগান লাগবোনা। আচ্ছা, সিনেমাখোরদের আড্ডায় সিনেমা খাওয়া হবেনা এটা কি ঠিক? আড্ডাটা কারো বাসায় হইলে ভাল হতো।
অংশুঃ সিনেমা খাওয়া হোক বা না হোক, গ্রীল চিকেন খাওয়া উচিত।
ইউসুফঃ নাফিজ আসলে ওরে বাইন্দা খাইতাম। কিন্তু হালায় আসলো নাতো
পনিঃ ফিফা ফিফা
মিরাজঃ পনি আপার কি হইছে?
ফেলুডাঃ বাদ দেন মিরাজ বাই।
রুশোঃ আচ্ছা। আমাদের টপিক ঠিক করেন।
কি নিয়া আলোচনা করা যায়!
ইউসুফঃ গ্রুপের ব্যানার?
মিরাজঃ সহমত।
পনিঃ ফিফা!
তন্ময়ঃ ক্যামেরা?
অংশুঃ টপিক? আড্ডা আবার টপিক ঠিক করে দিতে হয় নাকি রে ভাই?
ফেলুডাঃ দারাশিকো নাহয় গ্রামের বাড়িতে বলে আসলোনা কিন্তু দূর্যোধন কেনো এখনো আসলোনা!! স্নিগ?
স্নিগঃ আমিও শিউর না। মেসেজে বলছিলো চেষ্টা করবে।
পনিঃ দূজ্জো দূজ্জো
পুশকিনঃ আমার নতুন পোস্ট টা দেখছেন কেউ?
ইউসুফঃ ১৮ পিলাচ!!
পুশকিনঃ আরে না, আরব সিনেমা নিয়া।
তন্ময়ঃ না দেখি নাই।
ইদানীং ডকু নিয়া ব্যস্ত আছি। দেখুম নে।
ফেলুডাঃ বাংলা সিনেমার উত্থান হচ্ছে কিন্তু। খেয়াল করেছেন?
রুশোঃ হ। বেশ কিছু ভালো ভালো সিনেমা আসতেছে দেখলাম।
মিরাজঃ সহমত।
ইউসুফঃ বাংলা সিনেমা দেখে কি হবে? হলিউডের সিনেমার উপর কোন কথা নাই।
মিরাজঃ সহমত।
দিপঃ মিরাজ ভাই, আপনার সমস্যা কি? আপনি সহমত দেন ক্যান? সিনেমার আপনি বুঝেন?
মিরাজঃ চুপ বেয়াদপ। যত বড় শইল নয় তত বড় ধর।
দিমু নাকি পাটি খুলে কান বাড়ায়া চড়!
অংশুঃ কানের নীচে চর, দিপের বাচ্চা মর!
দিপঃ এইডা কি হইলো পুশি বাই? ব্যক্তিগত আক্রমন হইতেছে ক্যান?
ইউসুফঃ তুমি ই তো মিয়া ব্যক্তিগত আক্রমন শুরু করছো? ফাত্রামি করার যায়গা পাওনা না?
ফেলুডাঃ আরে আজীব তো! কোত্থেকে কই গেলা তোমরা?
রুশোঃ এইরকম হবে আগেই জানতাম।
তন্ময়ঃ এরকম হলে আমাকে আগেই জানানো উচিত ছিলো। আমি আড্ডা আনফলো করতাম।
স্নিগঃ এইডা কিছু হইলো! এইখানে ঝগড়া করতে আসছি আমরা?
পনিঃ একতলা বাড়ি তার দুই দলা ঘর/ প্রহরের আলোতে বয়েছিল ঝড়।
মিরাজঃ ভালো হইছে।
পনিকে পিলাচ।
দিপঃ হেহ। আইছে আমার কবিতাবিদ!
স্নিগঃ দূর্যোধন আর আইলোনা।
পনিঃ দূজ্জো দূজ্জো!
ইউসুফঃ আচ্ছা, দূর্যোধন কে কেউ দেখছেন এখানে?
দিপঃ ইন দ্যা ইয়ার টু থাউজেন্ড... মানে গত বছর একবার চেষ্টা নিছিলাম বসের সাথে দেখা করতে। উনি রাজী হইলেন না।
রুশোঃ না, আমি দেখি নাই।
তন্ময়ঃ উহু
ফেলুডাঃ নাহ!
ইউসুফঃ আমি একটা ব্যাপার কনফিউজড। দূর্যোধন কি কারো মাল্টি নাকি?
দিপঃ মাল্টি!!
ইউসুফঃ তা নয়তো কি! কেউ ইনাকে কখনো দেখেনাই। ফেসবুকের একাউন্ট ও ফেইক। আসলে ইনি কে?
রুশোঃ কে?
ফেলুডাঃ কে?
মিরাজঃ কে? কে?
অংশুঃ রহস্য!
পনিঃ দূজ্জ ইজ রহস্য।
স্নিগের মোবাইলঃ মারিয়া ভুজংগ তীর/কলিজা করিলো চৌচিড়/কেমনে শিকাড়ি তীর মারিলোগো
স্নিগঃ হ্যালো! হ্যা দূর্যোদা!
রুশোঃ তন্ময়, ব্লগে আসোনা কেন?
তন্ময়ঃ আর বইলেন না রুশো ভাই। ব্লগ আর ব্লগের মতো নাই।
রুশোঃ কি হইছে?
তন্ময়ঃ ব্লগে তো এখন গরু ছাগল ভরা। ব্লগে ঢুকলে মনে হয় গরুরা গোয়ালঘর থেকে বের হয়ে সাইবার ক্যাফে তে ঢুইয়া আইডি পাসওয়ার্ড দিয়া ব্লগিং করে।
রুশোঃ হাহাহাহা।
ইউসুফঃ তন্ময় ঠিক ই বলছে। দেশে গাধাদের সংখ্যাও উর্ধ্বগতি।
স্নিগঃ দূর্যোদা ফোন করে বললো সে আজকে আসতে পারবেনা।
পনিঃ দূজ্জো দূজ্জো
ইউসুফঃ আমি আগেই জানতাম।
মিরাজঃ সহমত
দিপঃ মিরাজ ভাই কিন্তু খালি সিন্ডিকেইট করতেছে কইয়া দিলাম।
ইউসুফ বাই কিছু কইলেই কয় সহমত। খুব খিয়াল কৈরা!
ইউসুফঃ আমি কি তোমার মতো ফাউল কথা পোস্ট দেই নাকি মিয়া? আমার কথার ইজ্জত আছে একটা
রুশোঃ তোমরা একটু থামোতো। দূর্যোধন আসবেনা ঠিক আছে। ওদিকে নোবিতা আসলোনা কেন একটু বুঝায়া বলতো! ফেলুডার সাথে তো নোবিতার চ্যাট হয় শুনছিলাম।
ইউসুফঃ নোবিতা তো একটা ছাইয়া
পনিঃ চালে ছাইয়া ছাইয়া ছাইয়া ছাইয়চা চালে...
অংশুঃ ছাইয়া মানে!
ইউসুফঃ আরে ভাই নাম দেখলেই তো বুঝা যায়।
নোবিতা হইলো একটা মেয়ের নাম। যেমন ধরেন, কবিতা। কি ঠিক কইলাম না?
মিরাজঃ ঠিক, অবশ্যই ঠিক।
তন্ময়ঃ এই ছাইয়াদের জন্য এখন ব্লগিং করে আরাম পাওয়া যায়না।
ফেলুডাঃ ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করছি।
ইদানীং ছাইয়ার সংখ্যা বাড়ছে।
অংশুঃ নোবিতা ছাইয়া?
ইউসুফঃ অবশ্যই। নোবিতার পর কি? রিফু। আমার খালাতো বইনের নাম রিফু। অবশ্য আমি ওরে আদর করে রি বলে ডাকি।
আর আমাকে ইউ বলে ডাকে। সেদিন কি হইছে শোনেন।
ফেলুডাঃ থাউক। আর শোনা লাগবোনা। কিন্তু নোবিতা রিফু যদি ছাইয়া হয় তাহলে তার প্রো পিকে ছেলের ছবি দেয়া কেনো?
ইউসুফঃ এইত্তো লাইনে আইছেন।
নাম মেয়ের, ছবি ছেলের - ইহা একখান ছাইয়া নিক।
রুশোঃ এরকম হলেতো খুব খারাপ!
পলিঃ খুব খারাপ! খুব খারাপ!
তন্ময়ঃ দেখছেন? এই জন্যই ব্লগে যাই না আর।
অংশুঃ ভাই আমার খুব ক্ষিদে পাইছে। আমরা খেতে খেতে কথা বলতে পারিনা?
মিরাজঃ সহমত।
স্নিগঃ চলেন স্টার এ যাই।
কি বলেন সবাই?
দিপঃ চলেন।
তন্ময়ঃ হুম।
রুশোঃ আমার কোন সমস্যা নেই।
চলবে...
[ব্লগারদের অনুমতি নিয়েই লিখা হয়েছে] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।