মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই.... (যখন আকাশে অবাধ মেঘ, বা অঝোর বৃষ্টি - এটা শুধু সেই সময়ের কবিতা) ও মেঘ দেখে নিও, তোমার নাদ শুনেও আমার প্রিয়া রবে চুপচাপ যে মেঘ দেখে কাঁদে জগৎ-সংসারী, সে মেঘে কাঁদা তার সাজে কি? তা বলে ভেবো না সে কাঁদতে ভুলে গেছে - ওসব আরেক মহাকাব্য ও মেঘ, তুমি তার খেয়াল রেখো শুধু; আমার কাছে কি তুমি ঋণী নও? যে ছবি-আল্পনা তোমার হাতেই বোনা, এবং বিদ্যুতে ঝংকার - যেখানে ছায়া ফেলে আঁধারে অপ্সরা - আমিও দেখেছি সে কী অদ্ভূত ! সে তালে ঝড় তোলে, তুমুল পাখনা মেলে - নারী ও নর্তকী দুর্বার অমন মহাক্ষণে আমি যে আনমনে ভীষণ অসহায় শ্রাবণে... ও মেঘ গম্ভীর, ভীষণ কাজের ভীড়ে আমার বার্তা তুমি ভুলো না; রাখিনি তোমার আমি সহস্র নাম আর করিনি তোমায় আমি সুন্দর? তা শুনে অপ্সরা চকিতে দাঁড়িয়ে বলে, "আমায় কী দেবে কবি তাহলে?" আমিও হেসেই বলি, "তোমার নামেই আমি আমার মেয়ে'র নাম রাখব!" তখনই অপ্সরা প্রবল নৃত্য-গীতে খুশিতে আকাশ ভাঙে চুরমার পুবের পাহাড় থেকে দক্ষিণ বন্দরে বিজলি দেখালো পথ সর্পিল কানফাটা গর্জনে পৃথিবী চমকে ওঠে, এমনকী স্রষ্টাও বিহ্বল ! বৃষ্টি, এসেছো তুমি? নিদারুণ এই ভূমি তোমার দাবিতে ছিল তোলপাড়। তুমিই তো করে রাখো চাতক আবার সেই তুমিই তো দাও তৃষ্ণায় জল তোমারই সুর তোলে দেয়ালে গজিয়ে ওঠা নীলাভ-সবুজ যত শৈবাল তোমারই ছোঁয়ায় যত সবুজ উঠল হয়ে ভীষণ গাঢ় মায়াবিনী রং এবার তোমায় দেখে আমার প্রিয়ার চোখে জল কি নেমেছে দেখো বর্ষায়? বিন্দু বিন্দু জলে উচ্ছ্বাস জেগে ওঠে গাঙের পাড়ের সোঁদা বাঙলায় কোথায় সে বিরহিনী আনত নয়ন তুলে একেলা বর্ষা দেখে নীরবে? জীবনটা আমাদের এতদূর - এতদূরে রেখে চলে গেছে; তবু ঈশ্বর - একই সেই মেঘ তবু একই বারিধারা আনে দুই পৃথিবী'র এক হৃদয়ে... বৃষ্টি তুমি তাকে ভিজিয়ে দিয়ো না, সে নিজেরই জলে ভিজে একশা তবুও যদি সে দু'হাত বাড়ায় তুমি আলতো ছুঁয়ে দিও যতনে এবং এইটুকু ছোঁয়া তুমি পেলে তার - আমার হিংসা এতে কী ভীষণ ! শ্রাবণ তুমি একা বিষাদ হয়ে এলে নিখাদ গরবিনী প্রেমিকার। কোমল ফুলের ঘাসে সতেজতা চারপাশে বাদল ঘনায়ে আসে অঝোরে ও মেঘ-বৃষ্টি'রা, ভুলবে কি তোমরাও আমার প্রার্থনা সঙ্গীত? শুনিয়ে দেবে না তাকে শাহেদের আরশীতে একেলা লেখা মহাকাব্য? শ্রাবণ অবাধে হাসে, বিরহী-হৃদয় পাশে, সবুজ করুণ এই বাঙলায়... (ইদানিং আব-হাওয়ার মেজাজ উপলব্ধি করে এ কাব্যের শুধু 'শ্রাবণ' অংশটুকু প্রকাশ করলাম)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।