সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়। নিঃসন্দেহে হুমায়ন আহমদ একজন খুবই ভাল ও অসাধারন লেখক। তার মত একজন লেখক যে কোন দেশের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের মত লেখক যুগে যুগে জন্মায় না।
কিন্তু একজন মানুষকে ভাল বলার জন্য অব্যশই তার মাঝে অনেক গুনাবলী থাকা প্রয়োজন। যাতে একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ বলা যায়। কিন্তু আমাদের শ্রদ্ধেয় হুমায়ন স্যার কি সত্যিই একজন প্রকৃত ভাল মানুষ ছিলেণ? আমার মনে হয় না। কারণ একজন মানুষকে ভাল মানুষ হওয়ার মত অনেক গুনাবলীর উপাদান তার জীবনে অণুপস্থিত ছিল। প্রথমেই ধরা যাক, তার বিবাহিত জীবনের কথাই আমার জানা মতে তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন এর সাথে হুমায়ুন স্যারের প্রেম ভালবাসার মাধ্যমেই বিবাহ হয়েছিল।
তারা দীর্ঘদিন প্রেম ভালবাসা করেই বিয়ে করেছিণেল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর সংসার করার পর তাদের মাঝে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। যার মূল কারন হুমাউন স্যারের জীবনের দ্বীতিয় প্রেমিকা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। যার কারনেই হুমাউন স্যারের জীবনের প্রথম প্রেমের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন এর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এটা কি কোন ভদ্র ও ভাল মানুষের কাজ হতে পারে? কোন ভদ্র ও সভ্য মানুষ কি এক জীবনে প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কোন মেয়ের সাথে পরকীয়া করতে পারে? একবার ভাবুন তো আপনার জীবনের কথা মনে করুন আপনার পিতা আপনার মা জীবিত থাকা অবস্থায় অণ্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া করে।
আপনি কি তা মেনে নেবেন। ধরলাম পরিবেশ পরিস্থিতিতে তা মেনেই নিলেণ। কিন্তু আপনার পিতাকে পূর্বে যে শ্রদ্ধা করতেন এখন কি তা করবেন। অব্যশই করবেন না। এখন এ অবস্থায় আপনার পিতার মধ্যে যতই ভাল গুনাবলী থাকুক না কেন আপনি তাকে অব্যশই ভাল চোখে দেখবেন না।
এটাই স্বাভাবিক। আমাদের শ্রদ্ধেয় হুমাউনি স্যার তো ঠিক একই কাজ করলেন। তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন জীবিত থাকা অবস্থায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন এর সাথে তাই করেলন। এখন হুমাউন স্যারের মাঝে অনেক লেখক গুনাবলী আছে তিনি একজন কালজয়ী লেখক, নন্দিত কথা সাহিত্যিক এবং নাটকে ও চলচ্চিত্রের ভিন্ন মাত্রার একজন নির্মাতা । এত গুনাবলী বিরাজমান একজন লেখক চরিত্রের দিক দিয়ে কতটা গুনবান।
সেটাই দেখার বিষয়। আর একজন মানুষকে নিজের প্রিয় করার ক্ষেত্রে অব্যশই তার আচার আচরন, চরিত্র দেখা প্রয়োজন। হুমাউন আহমদকে প্রিয় ভাবার আগে অব্যশই তার আচার ব্যবহার দেখূন। তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন এর চেয়ে প্রিয় নিশ্চই হুমাউন স্যারের জীবনে একসময কেউ ছিল না। এবং গুলতেকিন এর যে অবদান হুমাউন স্যারের জীবেন কত তা বলে শেষ করা যাবে না।
যা হুমাউন স্যার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেণ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল যে হুমাউন স্যার তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন এর সাথে ভালবাসার চরম বেঈমানী করেছেণ। যা তার মত একজন নন্দিত কথা সাহিত্যিকের কাছে আমরা আশা করতে পারি না। আর তাই ভাবুন যে তার ভালবাসার স্ত্রীর সাথেই এ রকম ব্যবহার করতে পারেন তিনি আবার সুযোগ পেলে পাঠকের ভালবাসার সাথে কিরুপ ব্যবহার করতেন? হুমাউন স্যারের প্রথম স্ত্রী অনেক দুঃখ কষ্ট পেয়েছিলেন গুলতেকিন যে তার প্রাক্তম স্বামীর খোজ খবর পর্যন্ত রাখেন নি।
Click This Link
হুমাউন আহমেদ কতটা ভাল মানুষ এটা তার কাছের লোকেরাই ভাল জানেন।
Click This Link
আমরা হুজুকে বাঙ্গালী যে দিকে সুনাম দেখি সিদিকেই যুগে পড়ি। হুমাউন স্যারের জীবনে এত এত বিষয় থাকার পরেও তাকে নিয়েই মাতামাতি করি। আমরা যদি তাদের মত কীর্তিমান ব্যক্তিদের অর্কীতি গুলোকে দেখে তাদের পরিহার করতাম তাহলে নিশ্চই তারা আর কোন অর্কীতি করার সাহস পেত না।
এবং তাদের এ অর্কীতি গুলো যুগে যুগে তা নিয়মে পরিণত হয় না। তারা শুধূ তাদের ব্যক্তি জীবনেই অর্কীতি করে তাই নয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বার্তার মাধ্যমে ধর্মকে অবমাননা করত।
যেমন গত বছর সেপ্টেম্বর অথবা অক্টবরে চ্যানেলে আইতে প্রচারিত ইন্টারভিউতে আমি দেখেছি তিনি মুসলমানদের মসজিদ মাদ্রাসা নির্মানের টাকা তোলার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন “ মসজিদ মাদ্রাসার নির্মানের জন্য টাকা তোলা ভিক্ষা করার মতই “ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। যা একজন ধার্মিক লোকের পক্ষে বলা অদৌ কি সম্ভব।
তাই একবার ভাবুন কাকে আপনি প্রিয় ভাবছেন?
Click This Link
আমি জানি আমার এ পোষ্টটি পড়ে অনেকে অনেক বাজে মন্তব্য করতে পারেন। তাতে কোন সমস্য নেই কারণ আমি আমার মত করে আমার মত প্রকাশ করলাম। যা আমাদের সকলের প্রয়োজন।
পরিশেষে দোয়া করি আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুক। তার কবরে জান্নাতের আরাম আয়েম দান করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।