আমি একজন ছাএ আল্লাহ্র উপর যার বিশ্বাস আছে সে আস্তিক। যার সৃষ্টি কর্তার উপর বিশ্বাস নেই তিনি নাস্তিক। বিশ্বাসের এই বিষয়টি ব্যক্তির নিজস্ব বিষয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। যে কোন ব্যক্তি তার ইচ্ছা মত ধর্মকর্ম পালন করতে পারে। আবার নাও করতে পারে।
রাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম বিশ্বাস নেই। অতি সম্প্রতি জামায়াত-শিবির, হেফাজতে ইসলাম রাষ্ট্রের কর্নধার, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে নাস্তিক বলে অভিহিত করে বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে আসছে। দেশ যারা পরিচালনা করছে তারা কি আস্তিক না নাস্তিক সেটার কি কোনও পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রয়োজন আছে? থাকলে তবে কার কাছে? জামায়াত-শিবির, আল্লামা শফি, জুনায়েদ বাবুনগরী এ সমস্ত ব্যক্তি বর্গের কাছে? আমাদের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির কথা উল্লেখ আছে। আর তাহলঃ ১।
গনতন্ত্র ২। সমাজ তন্ত্র ৩। ধর্ম নিরপেক্ষ ৪। জাতীয়তাবাদ। রাষ্ট্র প্রধানকে আমির অথবা ধর্মিয় গুরু হতে হবে এমন বিধান আমাদের সংবিধানে উল্লেখ নেই।
সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। কিন্তু জামায়াতী ইসলামী সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নাস্তিক বলে অভিহিত করে থাকে। রাজনৈতিক যুক্তিতে যখন পরাজিত হয় তখন তারা ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়ে ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসে এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নাস্তিক বলে অভিহিত করে। এ বিষয়ে সংবিধানের আইনি সংশোধনী যুক্ত করে তারা যেন এ ধরনের বিভ্রান্তমূলক তথ্য অপপ্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।