আমি অতি সাধারণ মানুষ
আজকাল কিছু কিছু জ্ঞাণী(?) মানুষের কথাবার্তা শুনে খুব হতাশ হয়ে যাছি। তাদের ধারণা স্রষ্টা বলে কিছু নেই(নাউযুবিল্লাহ)। তারা কিভাবে এটা নিশ্চৎ হল যে তাদের কেউ স্রৃষ্টি করেনি?তাদের কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে?নাস্তিক্রা যুগে যুগে মার খেয়েছে তাদের ভোঁতা যুক্তির কাছে। এখানে আমি একটা ঘটনা উল্লেখ করছি। অনেকেই হয়ত ঘটনাটা শুনে থাকবেন।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) একবার এক নাস্তিক এর সাথে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। নির্দিষ্ট দিন নাস্তিক ব্যক্তি যথাসময় বিতর্কের স্থানে উপস্থিত হল। বিতর্কের স্থান লোকে লোকারণ্য। বিপুল সংখ্যক মানুষ এই বিতর্ক দেখতে এসেছে। যে বিতর্কে হারবে সে অপরজনের কথা মেনে নিবে।
কিন্তু ইমাম হানিফার (রঃ) কোনো দেখা নাই। অনেকক্ষণ সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। নাস্তিক বলতে লাগ্লো আমার সাথে বিতর্কে হারার ভয়ে ইমাম সাহেব আসছেন না।
মানুষজন আস্তে আস্তে নাস্তিকের কথা মেনে নিতে লাগলো। একটু পর ইমাম সাহেব আসলেন।
নাস্তিক তো রেগে আগুন।
-"কি ব্যাপার আপনি এতো দেরি করলেন কেন?"
-"আমি পথে এক আশ্চর্্য ঘটনা দেখেছি। তাই আমার এত দেরি হয়েছে। "
-"কি ঘটনা দেখলেন?"
-"আমি দেখলাম একটা করাত এসে আপনাআপনি একটা গাছ কেটে ফেলল। তারপর ওই গাছ আপনাআপনি একটা তক্তা বানিয়ে ফেলল।
তারপর আপনাআপনি ওই তক্তা থেকে একটা নৌকা তৈরি হয়ে গেল। আমি ওই নৌকাতে চড়ে নদী পার হয়ে আস্লাম। অথছ নৌকায় কোনো মাঝি ছিল না। "
একথা শুনে নাস্তিক অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। বললো-"ভাই আপনার তো মাথা পুরা নষ্ট হয়ে গেছে।
একটা গাছ থেকে আপনাআপনি একটা নৌকা তৈরি হল আর সেই নৌকা আপনাআপনি নদী পার হল যেখানে নদীতে কোনো স্রোত নেই?আপনি তো বড় কৌতুক্কর কথা বললেন। "
ইমাম হানিফা বল্লেন-"যদি সামান্য একটা নৌকা নিজে থেকে তৈরি হতে না পারে,তাহলে এই মহাবিশব কিভাবে নিজে নিজে তৈরি হবে আমাকে বুঝিয়ে দাও। "
নাস্তিক এ কথার কোনো জবাব দিতে পারেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।