মুক্ত মন....সারাক্ষণ ... এই বুড়ো বয়সেও বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার দুঃসাহস অর্জন করতে পারিনি। হয়তো ইহ জনমেও আর পারবো না।
...'থাপ্পড়' আমি মনে রাখার মতো একবারই খেয়েছিলাম। এস এস সি পরীক্ষার আগ মুহূর্তে এক শ্যাম-বরণ কণ্যার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো ওরা।
যখন তখন কারণে অকারণে আমার রুমে এসে মেয়ে হাজির!
ভাঁইয়া, এঁই অঙ্কটা বুঁঝি না, এঁকটু দেখবেন? ভাঁইয়া, এই প্যারাগ্রাফটা বুঁঝি না, একটু বুঁঝিয়ে দিন নাঁ।
তো একদিন সন্ধ্যার পর ওকে কিছু একটা বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম আমি। আমি চেয়ারে বসা আর ও আমার পাশে দাঁড়ানো। মেয়ে আমার দিকে ঝুঁকতে ঝুঁকতে একেবারে কাঁধের ওপর পড়ি পড়ি ভাব। আমি তো ভেতর ভেতর বাকুম বাকুম করছি আর শিহরিত হচ্ছি।
ওর শ্যাম্পু করা চুলের গন্ধ নিচ্ছি আর ভাবছি, আরেকটু আরেকটু আরেকটু, আর.........
আরেকটু আর হলো না। দূর থেকে ভবলীলা বাবার দৃষ্টিগোছর হয়েছে।
তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন,- তোর রুমে কে রে এএএএএ...?
আমি কাঁপতে লাগলাম। আমার শিহরণ, কম্পনে রূপ নিল।
'কেউ না আব্বা, ঝুমুর।
'
বাবার গর্জন শুনে ঝুমুর দরজা খুলে দৌড়।
বাবা আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। তাঁর চোখ ঠিকরে আগ্নেগিরির লাভা বেরুচেছ।
সমস্ত বাড়ি কাঁপিয়ে 'ঠাস' করে গালের মধ্যে মারলেন এক থাপ্পর। চোখ বুঝে রইলাম বহুক্ষণ।
ববা চলেগেছেন বুঝতে পেরে আস্তে করে চোখ খুললাম।
দেখি, আমার প্যান্ট বেয়ে নামা পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে চারদিক।
.........................................................................
....এখন আমার বউ বলে, তুমি বাবাকে এত ভয় পাও কেন, বলো তো? তোমার মতো ভীতুর ডিম এই জনমে আর দ্বিতীয়টি দেখিনি।
বাবাকে যে কেন ভয় পাই, সেই কথা কি আর বউরে বলা যায় কন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।