আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একদিন বিকেলের মাঠে সোনাই দাঁড়িয়ে

.... শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে একদিন আকাশের গায়ে ঠেস দিয়ে বিকেলের মাঠে সোনাই দাঁড়িয়ে। এমন সময় দু’টো খরগোশ এসে বললো : ‘সোনাই, চলো আমরা খেলতে যাই। ’ শুনে, সোনাই হেসে বললো, ‘তাহলে তো তুমি আমার বন্ধু হবে!’ খরগোশ বললো, ‘বাহ! সোনাই, তুমি তো খুব ভালো। ’ তখনই দু’টো প্রজাপতি এলো। এসে উড়তে লাগলো সোনাইয়ের চোখ-মুখের সামনে।

যেন এক থাবায় ধরে নিতে পারে। কিন্তু সোনাই ধরে না। ওর দিকে তাকিয়ে ফিক করে হাসে। তো প্রজাপতিটি বললো :‘চলো, সোনাই আমরা ওড়াউড়ি করি। সোনাই বললো :‘বারে! আমার তো ডানা নেই।

প্রজাপতির মুখ ভার হলো। প্রজাপতি বললো :‘দু’হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দৌঁড়োতে দৌঁড়োতে চলো। ওই যে হেলিকপ্টার হেলিকপ্টার খেলা। ’ এবার গাছের গুড়ি থেকে দু’টো কাঠবেড়ালী ডাকতে ডাকতে এলো :‘সোনাই, ও সোনাই চলো, আমরা গাছেদের কাছে যাই। গাছেরা আমাদের ভাই।

এ ডাল ও ডালে ছুটতে ছুটতে যাবো আমরা পাতার আড়ালে। কেউ দেখতে পাবে না! কি মজা!’ সোনাই হাসে। ওর গালে টোল পড়ে। এবার হাওয়া আর চুপ থাকতে পারে না, কথা বলতে শুরু করে। আর জোরে জোরে বইছে।

শো শো। ‘সোসোওওওওনাই... সোসোওওওওনাই...। ’ চলো আমরা বয়ে যাই পাহাড়ের দেশে, যেখানে কী সুন্দর ফুটফুটে মেঘেদের ছেলেমেয়েরা খেলা করে। ’ পায়ের নিচে ঘাস নড়ে উঠলো। ওরা দুলতে দুলতে বললো :‘সোনাই সোনাই , তুমি কেমন আছো? কোথাও যেও নাকো।

রঙপেন্সিল নিয়ে আসো। তোমার খাতায় আরো আরো সবুজ সবুজ আঁকো, সোনাই সোনাই। ’ সোনাই দাঁড়িয়ে এসব শুনছে আর খিলখিল হাসছে। গাছেরা ওর ভাই। ফুলেরা ওর বোন।

পাখিরা ওকে কত্ত ভালোবাসে। তাই তো এই মাঠের মধ্যে আজ ঘুরতে এসেছে। আর ওরা ওকে অমন ডাকে আর কত্ত কিছু বলে। মেঘেরা আসে দলে দলে। ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ দিয়ে তৈরী আকাশে কত মুখ।

কোনোটা মায়ের মতো, কোনোটা বাবুর মতো। সেই মেঘের মুখগুলো সোনাইয়ের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে বিকেলবেলা। ফুলগুলো হাসতে হাসতে একবার খোলে ও বোজে। ওরাও আদর আদর ডাকে ‘সোনাইই সোনাইই’...। সোনাইয়ের খুব ফূর্তি লাগে।

মাঠের কোণে গাছগুলোকে নাড়া দেয়। ওরা কেমন যেন লজ্জাবতীর গাছের মতো একবার চমকে উঠে আবার সোনাইয়ের হাতের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। ‘সো-না-ই... ও সো-না-ই। ’ এবার কয়েকটা পাখি এলো। এসে সোনাইকে ঘিরে ধরলো।

‘চলো না সোনাই, আমাদের দেশে চলো। খুউব মজা হবে। ওর ঠিক পাশেই পরীদের দেশ। ওখানেও বেড়াতে নিয়ে যাবো। যদি মা’র কথা বেশি মনে পড়ে, তাহলে ওরা তোমাকে রেখে আসবে একদিন ভর দুপুরবেলার দিকে তোমার ঘরে তোমার বিছানায়।

’ শুনে সোনাই বলে :‘আরে! না-না, তা কেন? এখন না বিকেল। মা আমায় না পেয়ে খুঁজতে আসবে। প্রথমে ডাকবে, তারপর ভারী মনখারাপ করবে। রাতের বেলা কি করবে তোমরা? ঘুমিও না। আমি রাতের বেলা যাবো।

মা-বাবু যখন ঘুমিয়ে পড়বে, আমি যাবো, আবার ভোরপাখিরা ডাকার আগে আমাকে ফিরে আসতে হবে। ’ এ কথা শুনে খরগোশ, পাখি, প্রজাপতি, কাঠবেড়ালিরা বেশ মনখারাপ করলো। ফুলেরা-গাছেরা তো আরো বেশি। এরপর সন্ধ্যা হলে সোনাই ওদের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মাঠ পেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে চললো। যদিও খরগোশ, পাখি, কাঠবেড়ালি, হাওয়াদের কাছ থেকে সোনাই বিদায় নিয়েছিলো, তবুও দূর থেকে ওরা ওর পেছন পেছন চললো।

সবাই দেখলো একদিন যারা অভিমান করে শহর থেকে চলে গিয়েছিলো, সবাই আজ সোনাইয়ের পিছু পিছু ফিরে আসছে... ওই যে মেঘ, পাখি, হাওয়া, কাঠবেড়ালি, খরগোশ, প্রজাপতি.......... শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে একদিন আকাশের গায়ে ঠেস দিয়ে বিকেলের মাঠে সোনাই দাঁড়িয়ে। এমন সময় দু’টো খরগোশ এসে বললো : ‘সোনাই, চলো আমরা খেলতে যাই। ’ শুনে, সোনাই হেসে বললো, ‘তাহলে তো তুমি আমার বন্ধু হবে!’ খরগোশ বললো, ‘বাহ! সোনাই, তুমি তো খুব ভালো। ’ তখনই দু’টো প্রজাপতি এলো। এসে উড়তে লাগলো সোনাইয়ের চোখ-মুখের সামনে।

যেন এক থাবায় ধরে নিতে পারে। কিন্তু সোনাই ধরে না। ওর দিকে তাকিয়ে ফিক করে হাসে। তো প্রজাপতিটি বললো :‘চলো, সোনাই আমরা ওড়াউড়ি করি। সোনাই বললো :‘বারে! আমার তো ডানা নেই।

প্রজাপতির মুখ ভার হলো। প্রজাপতি বললো :‘দু’হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দৌঁড়োতে দৌঁড়োতে চলো। ওই যে হেলিকপ্টার হেলিকপ্টার খেলা। ’ এবার গাছের গুড়ি থেকে দু’টো কাঠবেড়ালী ডাকতে ডাকতে এলো :‘সোনাই, ও সোনাই চলো, আমরা গাছেদের কাছে যাই। গাছেরা আমাদের ভাই।

এ ডাল ও ডালে ছুটতে ছুটতে যাবো আমরা পাতার আড়ালে। কেউ দেখতে পাবে না! কি মজা!’ সোনাই হাসে। ওর গালে টোল পড়ে। এবার হাওয়া আর চুপ থাকতে পারে না, কথা বলতে শুরু করে। আর জোরে জোরে বইছে।

শো শো। ‘সোসোওওওওনাই... সোসোওওওওনাই...। ’ চলো আমরা বয়ে যাই পাহাড়ের দেশে, যেখানে কী সুন্দর ফুটফুটে মেঘেদের ছেলেমেয়েরা খেলা করে। ’ পায়ের নিচে ঘাস নড়ে উঠলো। ওরা দুলতে দুলতে বললো :‘সোনাই সোনাই , তুমি কেমন আছো? কোথাও যেও নাকো।

রঙপেন্সিল নিয়ে আসো। তোমার খাতায় আরো আরো সবুজ সবুজ আঁকো, সোনাই সোনাই। ’ সোনাই দাঁড়িয়ে এসব শুনছে আর খিলখিল হাসছে। গাছেরা ওর ভাই। ফুলেরা ওর বোন।

পাখিরা ওকে কত্ত ভালোবাসে। তাই তো এই মাঠের মধ্যে আজ ঘুরতে এসেছে। আর ওরা ওকে অমন ডাকে আর কত্ত কিছু বলে। মেঘেরা আসে দলে দলে। ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ দিয়ে তৈরী আকাশে কত মুখ।

কোনোটা মায়ের মতো, কোনোটা বাবুর মতো। সেই মেঘের মুখগুলো সোনাইয়ের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে বিকেলবেলা। ফুলগুলো হাসতে হাসতে একবার খোলে ও বোজে। ওরাও আদর আদর ডাকে ‘সোনাইই সোনাইই’...। সোনাইয়ের খুব ফূর্তি লাগে।

মাঠের কোণে গাছগুলোকে নাড়া দেয়। ওরা কেমন যেন লজ্জাবতীর গাছের মতো একবার চমকে উঠে আবার সোনাইয়ের হাতের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। ‘সো-না-ই... ও সো-না-ই। ’ এবার কয়েকটা পাখি এলো। এসে সোনাইকে ঘিরে ধরলো।

‘চলো না সোনাই, আমাদের দেশে চলো। খুউব মজা হবে। ওর ঠিক পাশেই পরীদের দেশ। ওখানেও বেড়াতে নিয়ে যাবো। যদি মা’র কথা বেশি মনে পড়ে, তাহলে ওরা তোমাকে রেখে আসবে একদিন ভর দুপুরবেলার দিকে তোমার ঘরে তোমার বিছানায়।

’ শুনে সোনাই বলে :‘আরে! না-না, তা কেন? এখন না বিকেল। মা আমায় না পেয়ে খুঁজতে আসবে। প্রথমে ডাকবে, তারপর ভারী মনখারাপ করবে। রাতের বেলা কি করবে তোমরা? ঘুমিও না। আমি রাতের বেলা যাবো।

মা-বাবু যখন ঘুমিয়ে পড়বে, আমি যাবো, আবার ভোরপাখিরা ডাকার আগে আমাকে ফিরে আসতে হবে। ’ এ কথা শুনে খরগোশ, পাখি, প্রজাপতি, কাঠবেড়ালিরা বেশ মনখারাপ করলো। ফুলেরা-গাছেরা তো আরো বেশি। এরপর সন্ধ্যা হলে সোনাই ওদের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মাঠ পেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে চললো। যদিও খরগোশ, পাখি, কাঠবেড়ালি, হাওয়াদের কাছ থেকে সোনাই বিদায় নিয়েছিলো, তবুও দূর থেকে ওরা ওর পেছন পেছন চললো।

সবাই দেখলো একদিন যারা অভিমান করে শহর থেকে চলে গিয়েছিলো, সবাই আজ সোনাইয়ের পিছু পিছু ফিরে আসছে... ওই যে মেঘ, পাখি, হাওয়া, কাঠবেড়ালি, খরগোশ, প্রজাপতি.......... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.