আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভনে পড়ে তাঁরা এখন নিঃস্ব : সমবায় দপ্তর নির্বাক

চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! গাইবান্ধায় ‘সহায় মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। জেলা শহরের ব্রিজ সড়কের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা খালেদা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি অবসর ভাতার সাত লাখ টাকা ওই প্রতিষ্ঠানে লগ্নি করেন। কয়েক মাস তাঁকে সুদ হিসেবে নয় হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পলাতক রয়েছেন। একই এলাকার সোহেল রানা অভিযোগ করেন, লাভের আশায় প্রতি মাসে সঞ্চয় করে ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি ৭০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি ৪০ হাজার টাকা পেয়েছেন। বাকি টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পালিয়েছেন।

শহরের খাঁপাড়ার বাসিন্দা এক্রামা বানু বলেন, অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহায়ের পরিচালক তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন। প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এখন তালা ঝুলছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি শহরের সহস্রাধিক মানুষের কাছে প্রায় ৩৫ লাখ নিয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ২০০৬ সালে জেলা সমবায় কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নিয়ে ‘সহায়’ সেলস সেন্টার নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। ২০১০ সালে পরিচালনা কমিটি পরিবর্তন করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় ব্রিজ সড়ক থেকে এলিসা সুপার মার্কেটে স্থানান্তর করা হয়।

এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতে থাকে। শহরের আদালতপাড়া এলাকার আইনজীবী আনিস মোস্তফা জানান, কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবদুল বারী গ্রাহকদের ব্যাংকের চেয়ে দ্বিগুণ মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আর্থিক লেনদেন শুরু করেন। এভাবে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি আত্মগোপন করেন। অভিযোগের ব্যাপারে আবদুুল বারীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

জেলা সমবায় কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সহায়ের পরিচালক আত্মগোপনে রয়েছেন বলে শুনেছি। তবে প্রতিষ্ঠানটির নামে নিবন্ধন দেওয়া হলেও ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরও ব্যাংকিং লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিবন্ধন বাতিল করা হবে। ’ সমবায় দপ্তর নিবন্ধন দিয়েই মাল-পানি নিয়েই খালাস । দেখভাল করার দায়িত্ব তারা এড়িয়ে চলে ।

সারা দেশে লক্ষাধিক মাল্টিপারপাস সোসাইটি রয়েছে , এখনও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে জনগনের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । সমবায় দপ্তরটি ভালো করে তদন্ত করা হউক । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.