আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিশোরীর ২৬ টুকরা লাশ: দায় এবং দায়ী

সদা নিরুপায় তবুও অকুতোভয় একটি কিশোরী মেয়েকে হত্যা করে ২৬ টুকরা লাশ করার জন্য বাচ্চু নামের নরাধমটা একা দায়ী নয়। বরং তাঁরা আরো বেশি দায়ী যারা বাচ্চুর দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিল। তথাকথিত সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষার দারোয়ানরা নাক গলিয়ে গলিয়েই এদেশে সবচাইতে বেশি নারী নির্যাতন করেছে। বাচ্চু অসুস্থ, কিন্তু তারচেয়ে অনেক বেশি অসুস্থ এই সমাজের মানুষরা, যারা অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোকে তাঁদের অধিকার মনে করে। আমি বাচ্চুর জবানবন্দী বিবেচনায় নিচ্ছি।

সে একটা মেয়ে নিয়ে অফিসে ঢুকেছে, তারপর সেই বিল্ডিংয়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। কিছু লোক তখন গিয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেছে। স্পষ্টত নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারের কোনো মহৎ নিয়ত তাঁদের ছিল না, থাকলে তাঁরা দরজা ভেঙ্গেই ঢুকে পড়ত। এদের ইনটেশন তাহলে দু্টোর যেকোনো একটি। প্রথমটি হচ্ছে তুই একা একটা মেয়েরে নিয়া ফূর্তি করবি কেন, আমাদের ভাগ দে।

সেক্ষেত্রে বাচ্চুর জন্য সুবিধা হইল দরজা খুলে দিয়ে মেয়েকে গণধর্ষনের শিকার করিয়ে দেয়া, খুন করার দরকার ছিল না। দরজা ধাক্কার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, 'ঐ, তুই সমাজের মুখে চুনকালি মাখাইছস, তোর বিচার হবে। ' বাচ্চু বলেছে যে সে এইটা শুনে প্রমান করতে চেয়েছে যে তার অফিসে কোনো মেয়ে নাই। এটা প্রমান করতে গিয়ে সে জানালা দিয়া মেয়েরে কেটে ফেলে দিয়েছে। আমি বাচ্চুর এপলজিস্ট না।

এই লোকটারেও জীবিত ২৬ টুকরা করাটা হবে ন্যায় বিচার। কিন্তু যারা দরজায় ধাক্কা দিয়েছে, তাদেরকেও আমি দায়ী হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই। (সম্পাদনায় কাচি) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.