আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিশোরীর পরনে কুর্তা

বন্ধুর বাসা, পড়তে যাওয়া বা একটু ঘুরেফিরে বেড়ানো—কম বয়সী মেয়েদের উপলক্ষের তো অভাব নেই। কিন্তু প্রতিদিন একই পোশাক পরতে একঘেয়েমি লাগে। ঠিক মিলিয়ে সালোয়ার-কামিজ আর ওড়না কেনা হয়ে ওঠে না। আবার কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, সালোয়ার-কামিজ বা পশ্চিমা পোশাক কোনোটাই ঠিক মানিয়ে যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে লম্বা কুর্তা আর প্যান্ট বা লেগিংস পরা যেতে পারে।


কিশোরীরা এমন পোশাক পরতে পারে সবখানেই। আরামদায়ক তো বটেই, নকশাতেও বেশ বৈচিত্র্যময় এসব কুর্তা। একসময়ে লম্বা হাতার এক ছাঁটের কুর্তাই শুধু পাওয়া যেত। এখন এর নকশা ও কাটে এসেছে বেশ বৈচিত্র্য। সাদামাটা কুর্তা যেমন আছে, লেস বা এমব্রয়ডারির কাজ করা জমকালো কুর্তাও আছে।

অনায়াসেই পরা যেতে পারে কোনো দাওয়াতে বা রাতের অনুষ্ঠানে। নানা রঙের চার-পাঁচটি কুর্তা কিনে ফেললেই হলো। খরচও কমবে, একঘেয়েমিও কাটবে।
ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানার স্বত্বাধিকারী লিপি খন্দকার বলেন, একঘেয়েমি এড়াতে কুর্তার সঙ্গে একেক দিন একেক চুড়িদার, জিনস, রঙিন প্যান্ট বা লেগিংস পরতে পারেন। আপনার সংগ্রহে যদি তিন থেকে চারটি লেগিংস, দুটি জিনস, তিনটি রঙিন প্যান্ট বা চুড়িদার থাকে, তাহলে তো হয়েই গেল।

একটু লম্বা কুর্তার সঙ্গে পালাজ্জো ধরনের ঢিলা প্যান্ট ও অনেক ঘের দেওয়া সালোয়ার ভালো লাগে।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, পরিবর্তন এসেছে কুর্তার কাটিংয়ে। নিচের দিকে গোল, হেমে দুই কোনা বের করে রাখা চলছে। তেমনটাই জানা গেল ফ্যাশন হাউস নগরদোলার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. আলী আফজালের কাছ থেকে। তিনি বলেন, সুতি তো আছেই, তবে লিনেন, পোশাক বানানোর বিশেষ শার্টিং—এসব কাপড় বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে কুর্তায়।

হাতায় থ্রি-কোয়ার্টার, ছোট কাপ-হাতা ও ছোট ঘটি-হাতার চল রয়েছে। কেউ কেউ হাতাকাটা কুর্তাও পছন্দ করছে।
এসব কুর্তার সঙ্গে ওড়না না পরে স্কার্ফ পরাই ভালো। স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে স্কার্ফ না পরলেও দৃষ্টিকটু লাগবে না। কেননা, এসব কুর্তা একটু ঢিলেঢালা করেই তৈরি করা হয়।

প্রিন্টের কাপড়ের থেকে একরঙা কুর্তার প্রতিই আগ্রহ মেয়েদের। তবে কোনো কোনো কুর্তায় সামনে একরঙা হলেও পেছনের অংশে প্রিন্টের ছাপ থাকছে।
ফ্রিল, প্লিট—এসব আবারও স্থান করে নিয়েছে এ সময়ের কুর্তায়। তৈরি পোশাকও কিনে নিতে পারেন, আবার নিজেও নিজের মতো করে বানাতে পারেন কুর্তা; সঙ্গে কোনো পালাজ্জো বা জিনস। ব্যস্, একেক দিন এককটির সঙ্গে পরে বেরিয়ে পড়ুন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.