হয়ত দিনের শেষে - যখন বিকেল সন্ধ্যাকে প্রায় ছুঁয়েছে , ক্ষীণ আলোতেই হয়েছে সে ঘর রাঙা আমার কবিতা নিয়েছ তোমার কাছে । আঁধারতম কোনো ছায়াময় কোণে তোমার পড়ার টেবিল যা আছে পাতা - তারই এক পাশে বসেছ অলসভাবে আর পাশে পড়ে কাজের সকল খাতা । নিখুঁত ফ্যাকাসে হাত রেখে দুই পাশে মাঝখানে আছে ফর্সা কাগজখানা সামান্য ঝুঁকে চশমার ফাঁক দিয়ে পড়েই যাচ্ছ এখনো কি একটানা ? আনমনে হেসে ভাবছ চালাক চোখে প্রতিটি অংশ ছেলেমানুষীতে ভরা ! তবে তাই ভেবো - এই ঢের বেশি , না রয় অবহেলা ভরে ড্রয়ারের কোণে পড়া । আঁধার নেমেছে , ঘরে না জ্বালিয়ে আলো সিলিঙে তাকিয়ে আছ হাসিভরা চোখে সেকেলের বেশে আসব প্রদীপ হাতে বিশাল ঘোমটা নামানো থাকবে মুখে বাতিখানা রেখে টেবিলের এক কোণে ভয়ে ভয়ে যেন দ্বিধা ভরা চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করব , বুকটা কেঁপে উঠবে , তুমি যে কৌতূহলে চেয়ে ! ঘোমটাখানা হঠাৎ যাবে পড়ে - পিঠ ছেয়ে যাওয়া এলো চুল যাবে দেখা , টানা টানা ভীত কাজল চক্ষু জোড়া কপালের মাঝে লালচে টিপের রেখা । তুমিও যাবে অপ্রস্তুত যে হয়ে মৃদু হেসে চোখ সরিয়ে তাই তো নেবে - আমি পিছে ঘুরে দ্রুত পায়ে যাব চলে আড়চোখে সেই পথে তুমি চেয়ে রবে !! ধন্য আমি ! এটুকু পেয়েই খুশি আর কত চাই ? তাও তো চেয়েছো তুমি - আর হাসিখানি ? এতো কত বড় পাওয়া ঘোমটা মাথার তখনো থাকবে নামি । সেকেলের মেয়ে হবে না আমার সাজা আছি বহুদূরে এখন অনেক রাত তোমায় ডাকবে আজকে অন্য কেউ সন্তর্পণে রাখবে পিঠেতে হাত !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।