আজ দেখলাম কিছু পত্রপত্রিকা একটি ভারতীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে কিছু মতলববাজি রিপোর্ট প্রথম পাতায় ছাপিয়েছে। মানবজমিন সহ কয়েকটি পত্রিকা খুব চতুরতার সাথে দুটি সমুদ্র ব্লক (বার্মিজ ব্লক নং) এ১ ও এ৩ বাংলাদেশ খুইয়েছে বলা হয়েছে।
আসল ঘটনা হচ্ছে মায়ানমার কোষ্ট সংলগ্ন ভারতীয় ঠিকাদার ও রাষ্টায়ত্ব কম্পানি তাদের ৩০% বিনিয়োগ অটুট আছে কিনা সেটাই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের গতানোগতিক রিপোর্ট দিয়েছে মাত্র। বার্মিজ কোষ্ট ঘ্যাঁসা ১ ও ৩ নং ব্লক (বাংলাদেশি নং ২৩ ও ২৮) যে কোন শালিশেই মায়ানমার পাবে নিশ্চিত জেনেই ভারতীয় কম্পানি সেখানে বিশাল অর্থ লগ্নি করে।
তত্তকালিন সরকার সমদুরত্ব পদ্ধতি অনুসরন করে সম্পুর্ন অবিবেচকের মত ব্লক গুলো ম্যাপিং করে।
দ্রুত বহুজাতিক কম্পানীদের লিজ দিয়ে কমিশন খাওয়ার লক্ষে। এককভাবে চিন্হিত করা ২৮টা ব্লকের বিডিং প্রক্রিয়া বিএনপি সরকার ২০০৫ সালে শুরু করে। বিরোধ নিষ্পত্তির কোন চেষ্টা না করেই। কিন্তু ভারত-মায়ানমার তখনই একই পদ্ধতি অনুসরন করে ২৮টি ব্লকের ২৭টাই আংশিক বা সম্পুর্ন নিজেদের বলে দাবী করে।
অবশিষ্ট দাবীহিন ১টা ব্লকে সম্পুর্ন আর আরেকটা ব্লক নিশ্চিত পাবে ভেবেই কনকো-ফিলিপস কে ২টি ব্লকে বর্তমান সরকার কাজ করতে দিয়েছিল।
সমুদ্রসিমার রায় বাংলাদেশের পক্ষে এলে কোম্পানিটি গত ২৭ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলায় চিঠি দিয়ে ‘কনোকো তাদের আবেদনে ১২,১৫,১৬,১৭ ২০ ও ২১ মোট নম্বর ব্লক ৬ টি ব্লকও চেয়েছে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছিল। ‘ তার অর্থ রায় বাংলাদেশের পক্ষেই।
অথচ মানব্জমিন অত্যন্ত চতুরতার সাথে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার রিপোর্টটিকে বাংলাদেশের পরাজয়য়ের দলিল হিসাবে তুলে ধরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে দেখা গেল। আকিয়াবের কোষ্ট ঘ্যাঁসা এ১ ও এ৩ নং ব্লক যা বাংলাদেশের কখনোই প্রাপ্য না সেটাকেই হারানোর দাবি করে মতলবি কান্না দেখা গেল।
এদেশই মনেহয় একমাত্র দেশ যেদেশে কায়েমি স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজ দেশের সম্মানের পাছা মারতে অবলিলায় এইসব মতলবি কারবার প্রথম পাতায় ছাপা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।