শিক্ষিত মূর্খ। আকিবুকি। গননা করবার শখ আর জাগেনা আগের মত। মাথাটাকে না খাটাতে খাটাতে তেলের ড্রাম হয়ে যাচ্ছে।
প্রায় ১ মাস আগের ঘটনা(৪ ঠা জুলাই থেকে ১ মাস আগে)।
কম্পিউটারে বসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ টেবিলের নিচ থেকে ১ টা টিকটিকি পায়ের উপর লাফ মারল। তারপর ভো দৌড়। অবাক হয়ে গেলাম। টিকটিকির তো এতো সাহস হবার কথা না।
মনকে প্রবোধ দিলাম যাউকগা ব্যপার না। বুদ্ধি সুদ্ধি কম, ভুল করতেই পারে বেচারা। কিন্তু আমার মনকে প্রবোধ দেয়া ভুল প্রমানিত করে বাবাজি আমার পায়ের উপর আবার লাফ মারল। এইবার আর অবাক হলাম না। ডাইরেক্ট টাশকি খায়া গেলাম।
বাবাজির আর খবর নাই এরপর বহুদিন......
গত পরশু রাতের ঘটনা বলি(৪ ঠা জুলাই)। পরতে বসছি, একটু পর বাবাজি আমার পায়ের উপর লাফ মারল তারপর ভো দৌড়। আমি বিস্ময়ে বিমূড়। চিনতে পারলাম ইহাই শেই টিকটিকি যে কিনা ১ মাস আগে আমাকে টাশকি খাইয়েছিল। এরপর কাহিনী আরো সাংঘাতিক প্লাস আশ্চর্যজানক।
বাবাজি বাকি রাত আমাকে ছাড়েন নাই। আরো ৩ বার টেবিলের পিছন থেকে আমার পায়ের উপর লাফ মারছেন......।
সকাল বেলা ঘুমায় গেলাম (পি এল এর সময় রাত জাগি আর দিনে ঘুমাই)। ঘুম থেকে উঠার পর বাবাজির কথা ভুলে গেলাম। সন্ধ্যায় পড়তে বসলাম।
একটু পর হঠাৎ টেবিলের নিচে চোখ চলে গেল। দেখি বাবাজি!!!! দেখি লাফ দেয়ার এটেমট্ নিচ্ছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই পায়ের উপর লাফ। স্পষ্ট দেখতে পেলাম পায়ে কামড় দিল , দৌড়। আমি পুরা হাআআআ হয়ে গেলাম ইতমধ্যে।
এটাও বুঝতে পারছি এতিদিন উনি আমার পায়ের উপর লাফ মারছেন সাথে কামর ও দিছেন। শালারে রুম থেকে তাড়াইলাম (একটা জিনিস বলে রাখি, বাবাজি আমার রুমের বাসিন্দা না। আমার রুমে ১ টা লক্ষ্মী টিকটিকি আছে যে পোকা মাকড় খেয়ে আমার উপকার করে। বাবাজি জানালা দিয়ে ঢুকে এইসব কাজ করে। বাবাজি দেখতে একটু বন্য টাইপের।
গায়ে কাল কাল ছোপ) একটু পর দেখি বাবাজি জানালা দিয়ে আবার আমার রুমে ঢুকতেছে(আমার টেবিলের সামনেই জানালা)। আবার তাড়াইলাম। আম্মারে গিয়া ঘটনা বললাম। শুনেতো আম্মা ভয়ে অস্থির। আমাকে রুম ত্যাগের নির্দেশ দিলেন।
আমার ইগোতে খোঁচা লাগল। পুঁচকে টিকটিকির জন্য রুম বদল!!! কাভি নেহি......
রাতে খাওয়ার পর এ্যারোসল নিয়ে রেডি কিন্তু বাবাজির আর খবর নাই। রাত ৪-৩০ কি ৫-০০ টা, হঠাৎ দেখি কম্পিউটারের টেবিলের নিচ থেকে কি জানি পড়ার টেবিলের নিচে ঢুকল। পড়ার টেবিল ঝাকি মারতেই আবার কম্পিউটারের টেবিলের নিচে দৌড়। বাবাজি আআ গায়া।
এইবার অন্য জানালা দিয়ে ঢুকছে। খোঁজা খুঁজি করলাম, পাইনা। একটু পর দেখি আমার সামনে যে জানালা সেখানে বসে আছে। এ্যারোসল নিয়ে ঝাপায় পরলাম। সমানে এ্যারোসল মারতেছি আর বাবাজি লাফাইতেছে।
লাফাইতে লাফাইতে টেবিলের নিচে ঢুকছে আর খুইজা পাইনা। বাবাজি আসলে করছে কি, আমার টেবিলের তলা দিয়া বুকসেলফ হয়ে টয়লেটের দিকে চলে গেছিল। একটু পর দেখি বাবাজি টয়লেটের সামনে থেকে ল্যাংচাইতে ল্যাংচাইতে ডায়াগোনালি পুরা আমার দিকে আসতেছে। বাবার সাহস দেখে আমি বাকরুদ্ধ। কিন্তু বাকরুদ্ধ হবার টাইম নাই।
আমি এ্যারোসল নিয়ে ঝাপায় পরলাম। বাবাজি সেন্সলেস হয়ে পড়লেন। আমি স্যান্ডেল দিয়ে হালকা বাড়ি মেরে বাবাজির মৃত্যু নিশ্চিত করলাম। এক দুঃসাহসি, পাগলা টিকটিকির করুণ মৃত্যু ঘটল।
সকাল বেলা সবাইকে ঘটনা বললাম।
দুঃখজনক ভাবে সবাই টিকটিকির জন্য ব্যাপক আহা উহু করল। ব্যাপক সমবেদনা প্রকাশ করল। আমি যে এত ট্রিক্স করে আমার লাইফের এত বড় হুমকি কে মারলাম সেইদিকে কারো নজর নাই।
যত্তসব............
বিঃ দ্রঃ এই লেখাটা আগের। আমার প্রথম লেখা।
তখনও প্রথম পাতায় দেখানোর অনুমুতি পাইনাই বলে আবার পোস্ট করলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।