আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই????

অন্ধ বিশ্বাসী নই। www.lekhok.com www.lekhok.net আমি অনেক সাদামাটা মানুষ। অনেক কঠিন যুক্তি বা কঠিন ভাবে কোন কিছুই লেখি না। সৃষ্টিকর্তা নিয়ে সারা বিশ্বের অনেক অনেক জ্ঞানী জ্ঞানী মানুষ কথা বলেছেন। সে আছে কি নেই? বিগ ব্যাঙ্গ বা মহা বিস্ফোরণ অনেকেই পক্ষে বা বিপক্ষে কথা।

এখন দেখি কিছু ধর্মেও মহা বিস্ফোরণ সত্য বলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞান মহা বিস্ফোরণ এর বিশ্বাসী। এখন কথা হল এই বিস্ফোরণ যদি সত্য হয় তার আগে কি ছিল? কে এই বিস্ফোরণ টা করল, অতিপরমানু টা এল কোথা থেকে? *এদেশের বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, কোন কিছু এমনে এমনি হতে পারে না, তার পিছে কারন থাকতে হয়, কারোর হাত আছে এর পিছে, কাহার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। মানলাম, সেই সব *বিশ্বাসিদের কথা, তাহলে যার পরিকল্পনায় এই বিশ্বের প্রতিটা কণা, এমনকি মানুষের সব কাজের পরিকল্পনা যার দ্বারা, তার ক্ষমতা বা শক্তি কি পরিমাণ হতে পারে??? সেই তথাকথিত সৃষ্টিকর্তা কোথা থেকে আসল? তাকে কে সৃষ্টি করল, সে একা একা এসেছে। যদি সে একা একা এসে থাকে তার তুলনায় সাধারণ এই মহাবিশ্ব কেন একা প্রকৃতির নিয়মে আসতে পারবে না? শুন্য থেকে আসতে পারবে না? কারন যে কোন একটা শুন্য থেকে এসেছে, এই মহাবিশ্ব অথবা সৃষ্টিকর্তা।

অনেক বলে সৃষ্টিকর্তা নিয়ে চিন্তা করার মত বুদ্ধি নাকি আমাদের নেই, তাকে নিয়ে চিন্তা করা পাপ। সেই ধারণ ক্ষমতা আমাদের মাঝে নেই। তাদেরকে আমি বলি আসলে আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা আমাদের মাথায় ছিল না বলেই আমরা একজন কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা বানিয়ে রেখেছি, এবং তৎকালিক সমাজ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনের জন্য এই সৃষ্টিকর্তা ভয় বা লোভ দেখিয়ে কিছু নিয়ম কানুন তৈরি করে দিয়েছি, যা সমাজের জন্য হয়ত তা দরকার ছিল। ক্ষমতা রক্ষা করে রাখা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার মুখ্য ভূমিকা ছিল। বর্তমান কালে আমরা সে কাল্পনিক সত্তা নিজেদের মাঝে লালত করে রেখেছি কিছু সুবিদাবাদি মানুষ এবং সমাজএর নোংরা পক্রিয়ার জন্য।

পরিবার থেকে শিখা, তারপর বন্ধু ও সহপাঠী থেকে এবং বিদ্যালয় ও শিক্ষক থেকে লালিত অন্ধ শিক্ষা আমাদের মনে বট বিক্ষের মত ছড়িয়ে রয়েছে। যা আমাদের সাধারণ চিন্তা করার ক্ষমতা ও নষ্ট করে দিয়েছে। একটি দু মুখী শিক্ষা গ্রহণ করেও মিথ্যার ফাঁদ ধরতে পারছে না। ( যেমন ধর্ম বইতে সে শিখছে এক কথা, আবার সমাজ বইতে শিখছে বিবর্তনের ধারা, যা ধর্মের বিপরীত মেরুর কথা) সে যত বড় হচ্ছে মিথ্যা ফাঁদে তত জরিয়ে যাচ্ছে, যা থেকে বের হয়ে আসা অনেক কষ্টকর। অনেকেই আমাকে বলে হোক সে কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা, তাতে তোমার সমস্যা কি, সে তো কোন ক্ষতি করছে না তোমাকে।

ভাল হতে বলছে ইত্যাদি ইত্যাদি। না ধর্মের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা আমাকে সমাজে যা না উপকার করছে তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতি করছে। হালকা উপকারের থেকে ক্ষতির দিকটা অনেক অনেক বেশি। একজন মানুষ যদি ভাল মানসিকতা হয়, তা হয় তার বিবেক, এবং তার শিক্ষা সভত্যা ও সমাজের কারনে। ধর্ম মানুষে মাঝে একটা দেয়াল তৈরি করে রাখে।

দাঙ্গা, হিংসা হয় ধর্মের কারন থেকে। আমাদের দেশে বিজ্ঞান ও অর্থনৈতিক ও পিছিয়ে আছে এই ধর্মের কারনে। কুশিক্ষা কারনে তথাকথিত সন্ন্যাসী, পীর কবিরাজের ভুল কারেন প্রাণ দিচ্ছে গ্রামের অশিক্ষিত মানুষগুলো। রাজনীতিও চলে ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে। বিচার শালিশ নামে কিছু নোংরা কাজ চলে ধর্মের নাম ঢুকিয়েই।

সাধারণ মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে, সুবিধাবাদী মানুশগুলি তার সৎ ব্যবহার করে আসছে অনেক আগেই থেকে। আজ এই পর্যন্ত। বর্তমান কেউ যদি কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা বানালে এমন হত.। .। .।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.