আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৃষ্টিকর্তা কি আসলেই আছে?

শয়তানের ধোঁকা, জ্ঞানের স্বল্পতা, ক্রমাগত পাপের কারণে বোধ শক্তি লোপ পাওয়া, সর্বোপরি কিছু বিজ্ঞানীদের ভুল ব্যাখ্যা। এসব কারণে আমরা অনেক সময় খটকায় পরি। মনে হয় সৃষ্টিকর্তা কি আসলেই আছে? মহাবিজ্ঞানি স্টিফেন হকিংস বলেছেন ,It is reasonable to ask who or what created the universe, but if the answer is God, then the question has merely been deflected to that of who created God. In this view it is accepted that some entity exists that needs no creator, and that entity is called God. (কে বা কী এই মহাবিশ্ব কে বানিয়েছ, এ প্রশ্ন উদয় হওয়া যৌক্তিক; কিন্তু তার উত্তর যদি হয় ঈশ্বর, তাহলে প্রশ্নটা স্রেফ একটু সরে গিয়ে দাঁড়ায়- ঈশ্বর কে বানিয়েছ কে? এ প্রসঙ্গে এটা গ্রহণ করে নেওয়া হয় যে, কোন একটা সত্ত্বা থাকবে যার সৃষ্টির জন্য কোনা সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই। এই সত্ত্বা কেই বলা হবে ঈশ্বর। ) যুক্তি সঙ্গত কথা।

সৃষ্টিকর্তা যদি কোন কিছু ছাড়া নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়ে থাকেন, তবে মহাবিশ্ব কেন নিজে নিজেই সৃষ্টি হতে পারবেনা? এটা অসম্ভব নয়। আমরা এখন চিন্তা করে দেখি মহাবিশ্ব আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে কিনা। স্টিফেন হকিংস বলেছেন - "Big Bang was an inevitable consequence of the laws of physics." ( বিগ ব্যাং ছিলো পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মানুযায়ী অবশ্যম্ভাবী একটা ঘটনা) পৃথিবী আপনা আপনি সৃষ্টি হওয়ার পর এর মধ্যে পানি চলে আসল। তারপর অক্সিজেন তৈরি হল। অক্সিজেন ভাবল আমাকে বায়বীয় হতে হবে।

নইলে কোন প্রাণী নাক দিয়ে আমাকে গ্রহণ করতে পারবে না। সূর্য ভাবল ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে থেকে আমাকে আলো ও তাপ দিতে হবে। তা নাহলে কোন প্রাণী বাঁচবে না। এত ক্ষণে যে কথা গুলো বললাম, তা কি আপনি বিশ্বাস করবেন? স্টিফেন হকিংস বলেছেন....there is no restriction on the creation of whole universes. Because there is a law like gravity, the universe can and will create itself from nothing. (.....তাই শূন্য থেকে পূর একটা মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ায় কোন বাধা থাকে না। যেহেতু মহাকর্ষের মত একটা নিয়ম আছে, সেহেতু একেবারে শূন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে এবং হয়।

) কোন নিয়ম আরেকটা নিয়মকে জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেনা। মানুষ শুধু এই নিয়ম জেনে নিয়মকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে পারে। কিন্তু কোন নতুন নিয়ম তৈরি বা রূপান্তর করতে পারেনা। পৃথিবীতে অসীম নিয়ম রয়েছে। কোন নিয়ম থেকে কোন নিয়ম সৃষ্টি হয়নি।

মানুষ একত্রিত হয়ে যদি এই নিয়মের ব্যতিক্রম করতে চায় তবে পারবে না। এক কথায় নিয়মের উপর মানুষের কোন হাত নেই। আর নিয়ম আছে বলেই যে কোন কিছু সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনা আপনি হয়ে যাবে এটাও সম্ভব নয়। কোন মানুষ সৃষ্টির জন্য শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন হতেই হবে। এটা নিয়ম।

কিন্তু নিয়ম নিজেই সন্তান জন্মাবে এটা হতে পারেনা। আমরা যেমন মোবাইলে কথা বলি। তড়িৎ শক্তি থেকে তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গ পাওয়া যায় বলে এটা সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ এখানে একটা বিশেষ নিয়মকে কাজে লাগান হয়েছে। মোবাইল তৈরির আগেও এই নিয়ম ছিল।

তবে নিয়ম নিজ থেকে তা তৈরি করতে পারলনা কেন ? নিয়ম জানল পৃথিবীতে মানুষ আসবে, তাই তার জন্য পানি, অক্সিজেন, আলোর ব্যবস্থা করল। তার জন্য ঘর লাগবে, মোবাইল লাগবে। এগুলো কেন নিয়ম তৈরি করল না। এতক্ষণের আলোচনায় বোধ শক্তি সম্পন্ন যেকোনো ব্যক্তি বুঝতে পেড়েছেন, নিয়ম কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারেনা, বরং কোন কিছু যথেচ্ছা ভাবে সৃষ্টি না হয়ে একটা নিয়মের মাধ্যমে হয়। কোন বিশেষ শক্তি যদি সেই নিয়ম মাফিক কাজ করে, তবেই তা থেকে কোন ফল পাওয়া যেতে পারে।

কাজেই স্টিফেন হকিংস যে নিয়মের কথা বলেছেন তা ধপে টিকেনা। সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই তার হাজারো প্রমাণের মধ্যে আমি তিনটির কথা উল্লেখ করব। ১। নির্ভরশীলতা ২। বৈচিত্রময়তা ও ৩।

সামঞ্জস্যতা। ১। নির্ভরশীলতা: সবকিছু যদি আপনা আপনি সৃষ্টি হত, তা হলে আমরা এতটা নির্ভরশীল কেন? কেন আমরা এত অভাব মাথায় নিয়ে জন্মাব? জন্মার সময় অর্ধেক ক্রোমোজোম বাবার থেকে এবং অর্ধেক ক্রোমোজোম মায়ের কাছ থেকে নিয়ে জন্মালাম। প্রায় নয় মাস মায়ের গর্ভে থাকলাম। মায়ের গ্রহণ করা খাবারে বিশেষ প্রক্রিয়ায় আমাদের দেহ পুষ্ট হল।

জন্মালাম এক ভীষণ অসহায় পরিবেশে। যদি মায়ের মধ্যে মমতা নামক গুণটি না থাকত, তাহলে সেই দিনই বা জন্মানোর আগেই পৃথিবী নামাক গ্রহের মায়া ত্যাগ করতে হত। অক্সিজেনের জন্য বাতাসের উপর নির্ভর করতে হল। আবার বাতাসে থেকে যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তা আসে গাছ থেকে। গাছ বাঁচার জন্য সূর্যের আলোর প্রয়োজন।

সূর্যের আলো, পানি, কার্বনডাই অক্সাইড ব্যবহার করে গাছ খাদ্য তৈরি করে। আমরা খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে গাছের উপর নির্ভর করি। আমাদের শরীরের তাপের জন্য এবং দেখার জন্য ১৫ কোটি কি.মি. দূরের সূর্যের উপর নির্ভর করতে হল। সূর্যের আলোতে আছে ক্ষতি কারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি UV-C, UV-B, UV-A. মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর UV-C যা শতভাগ ওজন স্তর দ্বারা শোষিত হয়। এই ওজন স্তর পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে জীবকুলকে রক্ষা করার জন্য।

আর চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী এগুলো সৃষ্টি হল কি করে? এগুলো সৃষ্টি হয়েছে "বিগ ব্যাঙের" মাধ্যমে। মহাবিশ্বের সকল কিছু এক জায়গায় ছিল। তারপর হয় মহা বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ফলে সকল জ্যোতিষ্ক যারযার কক্ষ পথে থেকে পরিভ্রমণ করতে থাকে। তেমনি একটা ছিটকে পড়া অংশ হল আমাদের এই পৃথিবী।

প্রশ্ন হল মহা বিস্ফোরণ কেন হল। আর বিস্ফোরণের ফলে টুকরা গুলি একটি নিদিষ্ট কক্ষ পথে, নিদিষ্ট বেগে পরিভ্রমণ করছে। টুকরা গুলি এই নিদিষ্ট পথ এবং নিদিষ্ট বেগ বেছে নিলো কি করে। আমরা জানি সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে যে আকর্ষণ বল বিদ্যমান, তাকে অভিকর্ষ বলে। অভিকর্ষ বলের প্রভাবে পৃথিবী সূর্যের উপর গিয়ে পরার কথা।

কিন্তু পরছেন না কারণ তাদের নিজ নিজ গতির ফলে। আমরা জানি কোন বস্তু বৃত্তাকার পথে ঘুরলে তা কেন্দ্র থেকে বাইরে যেতে চায়। একে বলে কেন্দ্রাতিগ বল। এই কেন্দ্রাতিগ বল অভিকর্ষ বলের সমান হওয়ায় একটি নিদিষ্ট কক্ষ পথে সূর্যর চারিদিকে পরিভ্রমণ করে। পৃথিবীর যে গতি আছে এর কম বেশি হলে পৃথিবী তার কক্ষ পথ থেকে সরে যেত।

তাহলে পৃথিবী সহ সকল জ্যোতিষ্কের ভর ও গতি অনুযায়ী এদের কক্ষপথ ঠিক করতে পদার্থ বিজ্ঞানের সেই নিয়ম (স্টিফেন হকিংসের ভাষায়) কে অনেক জটিল অংক কষতে হয়েছিল। তা হলে আমরা বলতে পারি যে নিয়ম বা শক্তি পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছে সে অংক জানে। ২। বৈচিত্রময়তাঃ আমাদের দেখার জন্য আলোর দরকার। রাত্রিবেলা আলো না থাকায় আমরা বই পড়তে পারিনা।

অথচ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল ইত্যাদি নিশাচর প্রাণী রাতের স্বল্প আলতেও স্পষ্ট দেখে। এরা রাত্রি বেলায় চলবে তাই এদের চোখ বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। একই মাটিতে একই স্থানে একটি চিরতা আর একটা আঁখ লাগালেও এদের স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা হয়। তাহলে আমরা বলতে পারি, পৃথিবী একটা নিদিষ্ট নিয়মে চলে ঠিকই কিন্তু বলতে পারিনা, এই নিয়ম ছাড়া পৃথিবী চলবে না। আরও আছে কত রকম খাবার, কত রকম ফুল, কত রকমের মানুষ।

আর কত বিচিত্র তাদের জীবন যাপন প্রণালি। ৩। সামঞ্জস্যতা: বাতাসে ২০% অক্সিজেন এবং ৭৮% নাইট্রোজেন আছে। এর উল্টোটা হলে হত মহা ফ্যাসাদ। আগুণ জ্বালালে সহজে নিভান যেত না।

দিনদিন মানুষ যে হারে বাড়ছে, যে হারে জ্বালানি পড়ান হচ্ছে তাতে অক্সিজেন ২০% এর নিচে নেমে আসার কথা। আর গাছ যদি বেশি লাগান হত তাহলে তা বেড়ে যেত। কে এটা কন্ট্রোল করছে? সূর্য যদি আরও নিকটে আসত তাহলে পৃথিবীর তাপ বেড়ে যেত। আর যদি দূরে সরে যেত তাহলে শীতল হয়ে যেত। কেন সে ১৫ কোটি কি.মি. দূরে রইল।

মাটি যদি আরও শক্ত হত তাহলে আমরা ফসল ফলাতে পারতাম না। আবার যদি এত নরম হত তা হলে আমরা চলাচল বা ঘর বাড়ি নির্মাণ করতে পারতাম না। আমরা জানি সকল বস্তু শীতল করলে আয়তন কমে। এর ব্যতিক্রম আছে, যেমন- পানি। ৪ ডিগ্রী সে: এর নিচে নামলে এর আয়তন না কমে বাড়তে থাকে।

যদি এই ব্যতিক্রম নিয়ম না থাকত, তাহলে সমুদ্রের সকল পানি বরফ হয়ে যেত। সমুদ্রে বসবাস কারি সকল প্রাণীর মৃত্যু ঘটত। পৃথিবীতে এত যে মানুষ। কার চেহারার সাথে কার চেহারার মিল নেই। চেহারার যদি মিল থাকত , তাহলে কার অপরাধে কে শাস্তি পেত, কার সম্পদ কে দাবি করত।

অর্থাৎ পৃথিবীতে একটা বিরাট বিশৃঙ্খলা লেগে থাকত। স্টিফেন হকিংস বলেছেন -There must be a complete set of laws that, given the state of the universe at a specific time, would specify how the universe would develop from that time forward. These laws should hold everywhere and at all times; otherwise they wouldn’t be laws. There could be no exceptions or miracles. Gods or demons couldn’t intervene in the running of the universe. (এমন এক সেট পুরনাঙ্গ নিয়ম থাকেব, যার সাহায্যে কোন নিদিষ্ট সমেয় মহাবিশ্বের অবস্থা পুরপুরি জানা থাকেল, পরবর্তী যে কোন সমেয় এটি কিভাবে বিবর্তিত হবে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। আর এই নিয়ম গুলি কাজ করবে সকল স্থানে এবং কালে; অবশ্য না হলে এগোল তো নিয়মের মর্যাদাই পেত না। ফলে বিশ্ব পরিচালনায় দেবতা বা অসুরদের নাক গলানোর আর কোন অবকাশ থাকলো না। ) উনি যেটাকে সৃষ্টিকর্তা নাথাকার কারণ হিসাবে দেখছেন, আমি সেটাকে সৃষ্টিকর্তা থাকার জোরাল কারণ হিসাবে দেখছি।

উনি হয়ত ভেবেছেন সৃষ্টিকর্তা সুতা কাটার চরকার মত মহাবিশ্বকে ঘুরাচ্ছেন। তাই মাঝে মধ্যে গতির কমবেশ হয়ে নিয়মের ব্যতিক্রম হয়ার কথা। তা যখন হচ্ছেনা তবে নিশ্চই সৃষ্টিকর্তা নেই। সিদ্ধান্ত: ধরে নিলাম আমরা যাকে আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান ভাবছি, তার অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এই মহাবিশ্বের যে মহান নকশা (The Grand Design) যার খোঁজ তিনি (Stephen Hawking) করছেন, তা যে একটা বিশেষ শক্তির বলে তৈরি হয়েছে তাতে কোন সন্দেহের কারণ নাই।

আমরা জানি পৃথিবীতে যে শক্তি আছে তার কোন বুদ্ধিমত্তা নেই। এই মহাবিশ্ব বিশাল জ্ঞানের ভাণ্ডার। নিখুঁত গাণিতিক নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে এই বিশ্ব। উপরের আলোচনা থেকে বা আমাদের চার পাশের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলে বোধশক্তি সম্পন্ন যে কেউ বুঝতে পারবেন সবকিছু তৈরিতে একটা প্ল্যান রয়েছে। আমরা এও জানি কোন স্বাধীন বুদ্ধিমত্তা সত্ত্বা ছাড়া প্ল্যান তৈরি করা অসম্ভব।

তাহলে আমরা নিয়ম, শক্তি যে নামেই ডাকিনা কেন তা যে এক বিশাল জ্ঞানী সত্ত্বা এবং নিখুঁত গাণিতিক হিসাব তার জানা, এটা অস্বীকার করার কোন কারণ নাই। আর এই শক্তিটা হবে সৃষ্টিতে খুবই পারদর্শী, অত্যন্ত শৈল্পিক মহা প্রজ্ঞাম্য জ্ঞানী সত্ত্বা। আর এই মহান জ্ঞানী সত্ত্বাকেই আমরা বলি আল্লাহ। এই যে মানব কেন্দ্রিক মহাবিশ্ব এটা যিনি সৃষ্টি করেছেন, তার পক্ষে মানবের জন্য একটা জীবন বিধান রাখা অসম্ভব নয়। এবার আমরা দেখব কতটা শক্তি মিলে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে।

অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা কতজন। আমরা জানি মহাবিশ্ব যে নিয়মে চলে তার কোন পরিবর্ত হয়না। যদি পরিবর্তন হত তাহলে বিজ্ঞানের সৃষ্টি হতনা। বিজ্ঞানের কাজই হল প্রকৃতির নিয়ম আবিষ্কার করা, অজানাকে জানা। আর সেই নিয়মকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করা।

২৫০০ সালে নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে কখন সূর্য উঠবে তা মানুষ বলতে পারে। কারণ পৃথিবীর নিয়মের কোন পরিবর্তন হয়না। যদি একাধিক সৃষ্টিকর্তা থাকত, তা হলে একেক জন একেক নিয়ম তৈরি করত। ফলে নিয়মের কোন বালাই থাকত না। সূর্য অস্ত গেলে আবার কখন উদয় হবে, তা আমরা বলতে পারতাম না।

যেমন, বিদ্যুৎ গেলে আমরা বলতে পারিনা তা কখন আসবে। কোন গাছে আম না কাঁঠাল ধরবে তা আমরা নিশ্চিত বলতে পারতাম না। আর তারা নিজেদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার জন্য প্রতিযোগিতা করত। ফলে মহাবিশ্বে দেখা দিত বিশাল বিশৃঙ্খলা। এক রাষ্ট্রে যদি ২ জন রাজা থাকে তাহলে কেমন হবে একটু ভাবুন।

আমরা বাস্তবে দেখতে পাই, মহাবিশ্বের নিয়মের এক বিন্দু হেরফের কোনদিন হয়নি আর হবেনা। এতে প্রমাণিত হয় সৃষ্টিকর্তা একজন। আবার শুরু থেকে শেষ করি। who created God? আমাদের ফিজিক্সের সুভাষ সার একটা কথা বলতেন, "তোর হাতে যদি ৫ হাত লাঠি থাকে তাহলে কি তুই সেই লাঠি দিয়ে সাগরের গভীরতা মাপতে পারবি?" মানুষ প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী হলেও তার জ্ঞানের পরিমাণ সীমিত। এই সীমিত জ্ঞান দিয়ে অসীমের পরিমাপ সম্ভব নয়।

কোন কিছু আছে এটাই সবচেয়ে বড় সত্য। আর উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন যেনতেন ভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়নি। এর জন্য রয়েছে মহা প্ল্যান। আল্লাহ্‌কে বিশ্বাস করা ঐচ্ছিক নয়। বাধ্যতা মূলক।

কারণ তার দেওয়া খাবার খেয়ে, তার দেওয়া হাজারো নিয়ামত ব্যবহার করে তার সাথে গাদ্দারি করার শাস্তি অতি ভয়াবহ হয়ার কথা। আসুন আমরা নাস্তিকদের মনগড়া কথায় মর্মাহত নাহয়ে কোরআন পড়ি, বিজ্ঞান পড়ি। প্রকৃতির মাঝে আল্লাহ্‌কে খুঁজি। সঠিক তথ্য জানি। মানুষ অনেক কিছু জানলেও সবকিছু জানেনা।

কাজেই মানুষের মনগড়া কথায় আমরা বিভ্রান্ত হবনা। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুণ। আমিন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.