শুরু করছি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নামে যিনি সব সৃষ্টির মালিক
আমরা সবাই কমবেশি আল্লাহ সম্পর্কে ধারনা করার চেষ্টা করি এবং কিছু মাথা মোটা গাধা তাঁর সম্পর্কে ধারনা করতে গিয়ে তাঁকেও তাদের মত ভাবে। তারা ভাবে আল্লাহও বোধহয় তাদেরই মত সীমিত(নাউযুবিল্লাহ) এবং একসময় নাস্তিক হয়ে যায় ।
আল্লাহ বলেনঃ
"কেমন করে তোমরা আল্লাহকে অস্বীকার/অবিশ্বাস করো [অকৃতজ্ঞ হও]? অথচ একসময় তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ । , তারপর তিনি তোমাদের প্রাণ দিয়েছিলেন (পৃথিবীর জীবন)।
এরপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, তারপর আবার তিনি তোমাদের প্রাণ দিবেন(কিয়ামতের দিন) এবং সবশেষে(তারপর) তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে।
[বাকারাহ ২৮]" — বাকারাহ ২৮
ভাবুন একবার যিনি নিষ্প্রাণ থেকে প্রাণ দান করতে পারেন তাঁর বুদ্ধি এবং ক্ষমতা কত হতে পারে ?
আপনি কি সামান্য একটি পিঁপড়া তৈরী করতে পারবেন?আচ্ছা,পিপড়া বাদ দিন। একটি অনুজীব তৈরী করে দেখান তো "যেটা নিজের খেয়াল খুশি মত খেতে পারে ও বংশ বাড়াতে পারে?"
পারবেন না ? অসম্ভব একটা ব্যাপার তাইনা ?
তাহলে যেটা আপনার জন্য অসম্ভব সেটা আল্লাহর কাছে একটা নির্দেশের ব্যপার "ক্বুল" বললেই সৃষ্টি হয়ে যায়। তিনি শুধু সৃষ্টিই করেননা বিবরধন করেন,পালন করেন,রক্ষা করেন,সংস্থান করেন । এগুলু সব একত্রে "রাব্বি" শব্দটির অর্থ বহন করে।
"পৃথিবীতে এমন কোনো প্রাণী নেই যার সংস্থানের দায়িত্ব আল্লাহর উপর নেই।
তিনি জানেন কে কোথায় থাকে এবং তার শেষ পরিণাম কি। সবকিছু এক পরিস্কার রেকর্ডে আছে। [হুদ ১১:৬]"
এই আয়াতটি্র শেষে খেয়াল করুন আল্লাহ সব কিছুর অতীত,বরতমান,ভবিষত সব বলতে পারেন।
খেয়াল করুন তো আপনি কি তা পারেন ?
আপনি যেখানে ভবিষত সম্পর্কে ধারনা করতে পারেননা সেখানে ভবিষত এর স্রষ্টা আল্লাহ সম্পর্কে আপনি সঠিক কিভাবে ধারনা করতে পারেন।
মানুষ কেবল মাত্র নিজের অভিজ্ঞতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
তাইতো টিভিতে যখন কোন এলিয়েনের কার্টুন দেখায় তখন সেই এলিয়েনটা হয় কচ্ছপ,কুকুর-মানব,অক্টোপাস ইত্যাদি আকৃতির।
আবার বিজ্ঞানীরা যখন রোবট বানায়(আল্লাহর প্রদত্ত বুদ্ধি ও দরকারি সরঞ্জাম দ্বারা) সেটাও হয় একই ধরনের।
এখন ভাবুন মানুষ,মাছ,পাখি,সাপ,গরু,গাছ,চন্দ্র,পৃথিবী,ব্যক্টেরিয়া ইত্যাদি প্রানী গুলো কি দেখতে একই রকম ?
যেই আল্লাহ এত আলাদা আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করতে পারেন সেই আল্লাহর বুদ্ধি ও ক্ষমতা একবার চিন্তা করে দেখুন তো।
এখন ভাবুন আপনি কিভাবে সর্বোচ্চ বুদ্ধিমান,বুদ্ধির স্রস্টা আল্লাহ সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারনা করতে পারেন।
একটা সামন্য উদাহরন দেই " একটি বিজ্ঞানীর বানানো রোবট(আল্লাহর প্রদত্ত বুদ্ধি ও দরকারি সরঞ্জাম দ্বারা তৈরী) কি কখনো সেই বিজ্ঞানী সম্পর্কে ধারনা করতে পারে ? আপনি আমিও আল্লাহর এক সৃষ্টি আমরা কিভাবে সর্বোচ্চ স্রস্টা আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক ধারনা করতে পারি ।
"
তবে আমরা এটুকু মাথায় রাখতে পারি যে
"আল্লাহ সব কিছুর উর্ধে , সময়ের উর্ধে ( তাঁকে অতীত,বরতমান,ভবিষত কিছুই স্পর্শ করেনা,কারন এসব তারই সৃষ্টি ),আমরা সৃষ্টি জগতের বাইরে যেতে পারিনা কিন্তু আল্লাহ পারেন, আল্লহ সবকিছুই পারেন।
একদিন কিছুই ছিলনা আল্লাহই সব বানিয়েছেন। "
একটা কথা না বললেই নয় আল্লাহ বলেনঃ
"অলৌকিক নিদর্শন পাঠাতে আমার কোন বাঁধা নেই, কিন্তু আগের প্রজন্মগুলো সেগুলো অমান্য/অস্বীকার করেছে। আমি থামুদের লোকদেরকে পরিস্কার নিদর্শন হিসেবে এক উট দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও তারা সেটার সাথে অন্যায় করেছিল।
আমি অলৌকিক নিদর্শন পাঠাই মানুষকে শুধুমাত্র সাবধান করতে। (১৭:৫৯)"
দুটি আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই। আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দিন "আমিন"ঃ
"কিন্তু যারা তওবা করে, গভীরভাবে বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দিয়ে বদলিয়ে দিবেন। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, নিরন্তর দয়ালু। [ফুরকান ২৫ঃ৭০]
আকাশ এবং পৃথিবীর সবকিছুর মালিক আল্লাহ।
তিনি যাকে চান তাকে মাফ করেন এবং যাকে চান তাকে শাস্তি দেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, নিরন্তর দয়ালু। [৩ঃ১২৯]"
( আপনাদের আন্তরিক দোয়ায় আমাকে মনে রাখবেন
[[পড়তে পারেন ওমর আল জাবির ভাইয়ের ব্লগ] । (সেখান থেকে কিছু ধারনা পেয়েছি)]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।