যখনই ছাত্ররাজনীতির কারণে কোন খুন, হত্যা হয় তখনই চারিদিক থেকে একটা রব উঠে এই ছাত্ররাজনীতি চাই না, এই ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। বিশ্বের উন্নত কোন দেশে ছাত্ররাজনীতি নেই। আরো কত কথা।
আবার এর পাশাপাশি আরেকটা গ্রুপ থেকে বলা হয়, ছাত্ররাজনীতির অতীত ইতিহাস খুব উজ্জ্বল। ছাত্র রাজনীতি আমাদের তোফায়েল আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, মতিয়া চৌধুরী উপহার দিয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিল। মাথা ব্যথা হলো মাথা কেটে ফেলা যায় না। দলীয় লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করতে হবে। আরো কত কথা।
অথচ বাস্তব সত্য হলো বেশীরভাগ জনগণ ছাত্র রাজনীতি চায় না।
বেশীরভাগ ছাত্র-ছাত্রী ছাত্র রাজনীতি ঘৃণা করে। হল দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, শো ডাউন, আধিপত্য বিস্তার করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই তাদের। তারা এমনকি ভোটেও কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। ছাত্রদের দাবী দাওয়া বাদ দিয়ে দলের দাবী দাওয়া নিয়েই তারা সদা ব্যস্ত। ১৮ বছর বয়স হলেই যেহেতু ভোট দেয়া যায় তাহলে তাদের মূল রাজনীতিতেই সুযোগ দেয়া উচিত।
কিন্তু কোনভাবেই ছাত্র রাজনীতির নামে নয়। তারপরও জানি বড় দুই দল এটা মানবে না। আবার কিছু কিছু বুদ্ধিজীবিও এটা মানবে না। অর্থাৎ ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নিয়ে চুদুর-ভুদুর চলছেই, চলবেই...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।