ছাত্র রাজনীতরি বলি হয়ে প্রাণ দিতে হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবুবকর সিদ্দিককে. সে দরিদ্র পিতার একমাত্র ভবিষতের বরসা ছিলো। .অথচ ছাত্রলীগের রাজনীতির বলি হয়ে প্রাণ দিতে হলো। . আরেকটি বিষয় লক্ষনীয়,ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রনেতা আহত হলে ল্যাব এইড হাসপাতাল/ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। . কিন্তু আবুবকর বেলায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ,তার বন্ধুরা মেডিকেলে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করেছে।
. তাহলে কি আমরা বলবো ' আবুবকর সাধারণ ছাত্র হওয়ায় তার চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে.
। একইভাবে ২০০২সালে বুয়েটের সাকিবুন্নাহার সনি ছাত্ররাজনীতির বলি হয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন,তার হয়তো বিচার হয়েছে,তবে রায় এখনো কার্যকর হয়নি। ,কিন্তু জাতিতো আর মেধাবী সনি কখনো পাবে না।
আর কখনো আবুবকর আমাদের মাঝে ফিরে আসবে না। , আমরা এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই. আসুন আমরা দল মত নির্বিশেষে আবুবকর হত্যাকান্ডে ঐক্যবদ্য হই।
.
আজ ক্যাম্পাসে আবুবকর হত্যার বিচার দাবি করে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা কালোব্যাচ ধারণ,অপরাজেয় বাংলায় মানববন্ধন করেছে। . এছাড়াও তারা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। ,তাদের কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে সর্বস্তরের ছাত্রজনতা। .
হত্যাকারীদের বিচার ও গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন,ছাত্র ফেডারেশন,ফাত্র ফ্রন্ট,জাসদ ছাত্রলীগ। .এছাড়াও তার ভিসিরি কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
আসুন আমরা সকল ব্লগার এক সাথ হয়ে আবুবকরের হত্যাকারীদের বিচার করি। ,
উল্লেখ্য,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নিজস্ব কোন্দলের বলি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসরামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক মারা যান।
গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন।
মৃত্যর সাথে ৪৬ ঘন্টা পাঞ্জা লড়ে গতকাল সকাল ৯টা ২০মিনিটে সবাইকে ছেড়ে পরকালে চলে যান তিনি। .
ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন আবুবকর।
বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরের গোলবাড়ি গ্রামে। কৃষক রুস্তম আলীর ছয় সন্তানের সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাবিতে ভর্তি হয়। এফ রহমান হলের ৪০৪ রুমে থাকত
। বিভাগে সে প্রথম শ্রেনিতে২য় স্থানে ।
পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় তাকে নিয়ে সপ্ন দেখছে পরিবার। বড় বোনের বিয়ে কিছুদিন আগে। তার পরের ভাই আব্বাসের আয়ে চলছে সংসার। গ্রামে কাঁচামালের দোকান করে আবু বকরসহ ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালান তিনি।
"ভাই আহত হওয়ার পর ঢাকায় আসতে হয়েছে দোকান বন্ধ রেখে; দোকান বন্ধ, তাই আয়-রোজগারও বন্ধ", বলেন আব্বাস।
তার ভাই বলেন,আমার ভাই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না। তার পরও আবুবকরকে কের প্রাণ দিতে হলো। আমি কারো বিচার চাই না। আল্লাহ এর বিচার করবেন।
উল্লেখ্য,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার পরে এ নিয়ে ৭৪জন ছাত্র-শিককের হত্যাকন্ড ঘটলেও এটাই সর্বপ্রথম সাধারণ ছাত্র হত্যার শিকার হয়।
এনিয়ে আমার পূর্বের পোস্ট লিংক Click This Link
Click This Link
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।