একজন ছাত্রের আর্তচিৎকার পঞ্চম শ্রেণীঃ স্যার বললেন, “বাবা, এইবার ভাল করে পর বৃত্তিটা পাইলে জীবনের মোড় ঘুরে যাবে, আর কষ্ট করা লাগবেনা” যাই হোক বৃত্তি পাওয়া হইল না।
নবম শ্রেণীঃ স্যার বললেন “S.S.C এর রেজাল্টই সবকিছু, এইটার উপর তোমার জীবন নির্ভর করছে এই দুই বছর শুধু পড়াশুনা আর পড়াশুনা, আর কিছুই নাই জীবনে” ভাল কথা, মোটামুটি রেজাল্ট নিয়া পাশ করলাম। ভাবলাম আর মনে হয় কষ্ট করা লাগবে না।
একাদশ শ্রেণীঃ এবার স্যার বললেন “S.S.C থেকে H.S.C ৫ গুণ কঠিন। এই ২ বছর পড়াশুনা ছাড়া মাথায় আর কিছুই রাখবা না।
বন্ধু, আত্মীয় সব আপাতত বন্ধ কর। এই পরীক্ষাতে ভাল না করতে পারলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার” মোটামুটি ভালই রেজাল্ট নিয়া H.S.C পার করলাম।
ভর্তি পরীক্ষাঃ কোচিং এ ভর্তি হলাম ভাইয়ারা বলল, “এই কয়দিন মন দিয়ে পড়ো, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে আর কোন চিন্তা নাই, ভবিষ্যৎ আলোকিত। সব মজা পাবি পড়াশুনার চাপও কম”। ভাল কথা তাদের কথা মেনে একটু চেষ্টা করলাম, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সও পেলাম।
ভাবলাম এবার মনে হয় সত্যি সুখের দিন আসলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ঃ স্যার ১ম দিন ক্লাসে এসে বলল, “এই ৪ বছর জীবনের আসল সময় এখানে জীবন ভাঙ্গা-গড়ার সময়। এখানেই ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি। তাই এই ৪ বছর নো আড্ডাবাজি, তোমার কোন আত্মীয় নাই, বন্ধু নাই শুধুই পড়াশুনা। এখানে ভাল করলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
জীবনে অনেক ভাল করতে পারবা”
এবার আমার প্রশ্নঃ স্যার, সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একই আশা শুনে আসতেছি। সবাই বলে এইবার পড় এর পরে আর চিন্তা নাই। কিন্তু তারপর সেই একই ঘটনা। অনেকটা পানি চক্রের মত। স্যার, সম্পূর্ণ জীবনটাই যদি সবকিছু ছেড়ে কাটাইয়া দেই একটু শান্তি পাব কবে।
বরং আপনারা সব স্যাররা আলোচনা করে ঠিক করেন কোনটা তে জীবনের চাবিকাঠি রাখবেন। না হলেতো আর পারিনা স্যার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।