যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।
একটা অদ্ভুত পৃথিবীতে বড় হোয়ে উঠি। সারাক্ষন একটা শূন্য বেঞ্চি, আর কেউ কি পড়তে পারে নেমে আসা একরাশ ঝাঁকরা চুলের মাঝে বিষণ্ণ চোখ? চোখ মেলে নিঃস্ব হয়েছি, আর এখানের আকাশটা একটা ছাই রঙা ঝুড়ির মতো। কারন ছাড়াই ওটা শূন্যে ঝুলে আছে।
পড়ে গেলে এখানের দমবন্ধ ভাবটা একটু কমে যেতো। এখানে কেউ নেই। নেই নেই নেই। আর আমি এখানের থেমে থাকা নিস্তব্ধতা দেখেই মুগ্ধ হই।
তারপর,
আমার মতোই একে একে বেড়ে ওঠে এখানের প্রতিটা ঘাস,
এমনকি টের পেয়ে কোত্থেকে দেখি, শনশন শব্দ তুলে
এসেছে ঠাণ্ডা বাতাস, আকাশটা তখনও একটা তলাহীন ঝুড়ির মতো
এবং আমি অনীহা বশত,
বসে থাকি চুপচাপ, আমি চাইলে চিৎকার করতে পারতাম,
ভেবেছিলাম, একদিন প্রাণ খুলে একটা চিৎকার করবো-
আর বিদীর্ণ হবে এই পৃথিবী, কেউ কি জানে আমি কতোকাল থেমে আছি
একটা পুরনো, এবড়ো খেবড়ো পাথরের মতো
প্রাণহীন, শুধু জ্যান্ত হোয়ে আছে আমার দুই চোখ
বিষণ্ণ, তোমার জন্য,
এবং আমি শুধু তোমাকেই দেখি
___________তোমাকে
_______________দেখি
_________________ছাই রঙা আকাশে
_________________এক চৈত্র মাসে
_________________এলোমেলো, লম্বা হয়ে ক্রমশ নুয়ে পড়া ঘাসে
_______________তোমাকে
______________দেখি
________আমার ব্রহ্মাণ্ডে
____কোন বিদ্যুৎ চমকে,
______এক চিলতে
_________আলোকে,
____________পুলকে,
_______________ছলকে,
_আবার
___তোমাকে
_______দেখি,
________তোমাকে
___________দেখি
_____________ মুগ্ধ হোয়ে
__তারপর
______থেমে
_________থাকি,
আবারো
বিষণ্ণ চোখে।
একটা পাথর হোয়ে।
একগাদা কষ্ট নিয়ে।
একটা আটকে পড়া চিৎকার নিয়ে।
তুমি আমার বিভ্রম। তবু তোমাকে দেখি।
এখানে তুমি নেই। এখানে কেউই নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।