আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইকো নেটপিয়াসীদের কান্ড

........ এ আসক্তি এমনই যে... ইন্টারনেট ক্যাফেতে অনলাইন গেমে মগ্ন ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী (২৬)। খেলার সময় সবকিছুই ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। খেলার প্রতি তাঁর সেই আসক্তি এতই তীব্র যে নিজের শরীরের ভেতরে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনও টের পাননি। বোধ করেননি কোনো অস্বস্তি। এমনকি সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে বুঝতে পারেননি কিছুই।

দক্ষিণ কোরিয়ার ওই নারী শারীরিক অস্বস্তিটা টের পেয়েছিলেন একদম চরম সময়ে। আর তখন নির্বিকার তিনি চলে যান ইন্টারনেট ক্যাফের টয়লেটে। সেখানেই জন্ম হয় হতভাগ্য সন্তানটির। এর পরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। সদ্যোজাত ওই শিশুকে তিনি অবলীলায় একটি প্লাস্টিকের থলেতে ঢোকান।

এরপর থলের মুখ বন্ধ করে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে দেন পার্শ্ববর্তী আবর্জনার স্তূপে। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে গত ২৫ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি প্রতিদিনই ওই ইন্টারনেট ক্যাফেতে যেতেন। পুলিশ আরও জানায়, নিজের শিশুকে হত্যার দায়ে ওই নারীকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। ইন্টারনেট গেমের প্রতি ভয়াবহ আসক্তি থেকে সেখানে একের পর এক হত্যা, আত্মহত্যা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ২০১০ সালে এ রকম আরেকটি শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে। ইন্টারনেট গেম খেলার পর ক্লান্ত ওই মাকে তিন বছরের ছেলেটি বিরক্ত করায় শিশুটিকে তিনি হত্যা করেন। একই বছরে বেশিক্ষণ গেম খেলা নিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরকে তিরস্কার করায় সে মাকে খুন করে।

পরে নিজেও আত্মহত্যা করে। আরেক দম্পতি দিনের পর দিন শিশুকন্যাকে ঘরে অভুক্ত রেখে ইন্টারনেট ক্যাফেতে গেম খেলতে যেতেন। অপুষ্টিতে ভুগে মরতে বসে শিশুটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টারনেট গেমে আসক্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারি হিসাবমতে, এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।

ইন্টারনেটে আসক্তি এবং এ ধরনের অপরাধ বাড়তে থাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার নতুন একটি আইন করেছে। এই আইন অনুসারে মধ্যরাত থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত অপ্রাপ্তবয়স্করা অনলাইনে গেম খেলতে পারবে না। এএফপি। সূত্র ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।