আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! -হ্যালো ! প্রথম আলু পত্রিকা অফিস ?
-জি বলছি !
-আমি একটা বিজ্ঞাপন দিতে চাই !
-কিসের বিজ্ঞাপন ?
-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন !
-আপনাকে তো আমাদের বিজ্ঞাপন বুধে আসতে হবে !
-ঠিকানাটা বলবেন প্লিজ !
*****
মেয়েটি চোখে মেলে তাকালো । প্রথমে কিছুক্ষন বুঝতে পারলো না কোথায় আছে ! একটু যেন অন্ধকার ঠেকছে চোখে ।
বাইরে কি অন্ধকার নেমে গেছে ? নাকি ঘরের লাইট গুলো এখনও জ্বালানো হয় নি । সব কিছু এমন অন্ধকার কেন লাগছে ।
মেয়েটি হাত দিয়ে নিজের চোখ মুছতে গেল ।
ঠিক তখনই অবাক বিশ্ময়ে লক্ষ্য করলো যে সে হাত দিয়ে চোখ মুছতে পারছে না । তার হাত দুটো বাঁধা ।
দুই হাত দুইদিকে শক্ত করে কিছুর সাথে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে ।
মেয়েটি তা পা দুটি নাড়াতে চেষ্টা করলো । কিন্তু সফল হয় না ।
পা দুটোও যথা সম্ভব ফাঁকা করে বেধে রাখা হয়েছে তার ।
তীব্র এক আতংক পেয়ে বসলো মেয়েটাকে ।
****
-আপনি কিছু নিচ্ছেন না কেন ?
আবীর কথাটা শুনে লজ্জা পেল । সোনিয়ার দৃশ্যটা কেন জানি ভাল লাগলো দেখে । আজকাল এমন লাজুর ছেলে আছে নাকি ? কি সারল্য হাসিতে ।
আবীর একটু হেসে বলল
-এই তো নিচ্ছি ! আপনিও নিন ।
প্রতি উত্তরে সোনিয়া একটু হেসে কফির পেয়ালা টা হাতে নিল !
কফির কাপে একটা চুমুক দিয়ে কাপটা নামিয়ে রাখলো । কফিটা খুব বেশি ভাল হয় নি । চিনি একটু বেশি হয়েছে । শরবত বানিয়ে ফেলেছে ।
আবীর সোনিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
-কফি চাল হয় নাই তাই না ?
-হুম !
-এরা কি শরবৎ বানায় নাকি কফি ? বেশি চিনি ওয়ালা চা খাওয়া যায় কিন্তু কফো খাওয়া যায় না । আর এক কাপ দিতে বলবো ?
-না না ! দরকার নাই । আরো তো অনেক কিছু রয়েছে ।
-সিওর ?
-হুম !
আবার দুজনেই চুপ কিছুক্ষন ! আবীর বেশি চিনিওয়ালা কাফিতেই চুমুক দিচ্ছে । সোনিয়ার আবিরের কাপে চুমুক দেওয়াটাও ভাল লাগলো বেশ ।
আচ্ছা কি হচ্ছে ?
সোনিয়া একটু চিন্তিত হল । ছেলেটার সাথে পরিচয় হয়েছে সব মিলিয়ে মাসখানে । এর ভিতরেই সোনিয়ার ছেলেটার সব কিছুই ভাল লাগতে শুরু করেছে !
সোনিয়া কি ছেলেটার প্রেমে পরেছে ?
সোনিয়ার মুখে একটা মৃদু হাসি দেখা গেল ।
-হাসছে ন যে ?
না এমনি ! আপনার কফি খাওয়া দেখছি । ছোট ছোট করে কপে চুমুক দিচ্ছেন ।
এটা ভাল লাগছে ! ছোট বেলায় আমাদের বাসায় একটা বিড়াল ছিল । সেই বিড়াল টাও আপনার মত করে চা খেত !
এই কথা বলেই সোনিয়া হাসতে লাগল ! বেশ জোরেই হেসে উঠলো !
*****
মেয়েটি কিছুই বুঝতে পারছে না । এমন কেন হচ্ছে তার সাথে ? মেয়েটি আতংক বোধ করছে । বেশ আতংক বোধ করছে । একটু আগেই সে বুঝতে পেরেছে তার হাত পা বেশ ভাল করে বাঁধা ।
অনেক্ষন টানা টানি করে পরীক্ষা করে দেখেছে । বিন্দু মাত্র লাভ হয় নি । যে এই কাজটা করেছে বেশ ভাল করেই বেঁধেছে ।
হাত পা বাঁধা দেখে মেয়েটি মুখ দিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছিল । আশা ছিল আসে পাশে নিশ্চই কেউ না কেউ আছে ।
তার চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে । কিন্তু সেটাও সম্ভব নি । মেয়েটির মুখও আটকনো ! একগাদা কাপড়ের দলা মেয়েটির মুখের ভিতর দিয়ে মেডিক্যাল টেপ দিয়ে আটকানো !
মুখ দিয়ে কিছু বলতে চেষ্টা করলে কেবল গোঙ্গানীর মত মৃদু কিছু একটা আওয়াজের মত বের হয় । যেটা মেয়েটির নিজের কানেই ঠিক মত ধরা পরে না । বাইরের মানুষ কিভাবে বুঝবে ।
*****
সোনিয়ার জন্য যখন পাত্র দেখা শুরু কয় তখন থেকেই নানান জায়গা থেকে পাত্রের জন্য সন্ধান আসতে থাকে । তেমনই একজনের কাছ থেকে আবীরের খোজ আসে । অন্য সব পাত্র থেকে আবীরের যে যোগ্যতাটা বেশি ছিল সেটা হল আবীরের একটা আমেরিকান পাসপোর্ট ছিল । আবীর দেশে এসেছে বিয়ে করার জন্যই !
আর প্রথম দেখাতেই সোনিয়ার কেন জানি আবীরের কে ভাল লেগে যায় । বিশেষ করে ওর সহজ সারল্য মাখা চোখের জন্য ।
সারাক্ষনই একটা চঞ্চল্য খেলা করছে সেখানে ।
তারপর থেকেই ওদের কথা হতে থাকে । কদিন দেখাও হতে থাকে । এখানে সেখানে ।
সোনিয়ার কেন জানি মনে হতে থাকে এই ছেলেটাকে সে অনেক আগে থেকেই চেনে ।
ছেলেটা যাই করুক না কেন সোনিয়ার সেটা এক মনেই মেনে নিতে শুরু করলো ।
দুই দিন আগের কথা । সোনিয়ার পরদিন পরিক্ষা ছিল । রাত জেগে পরতেছিল । এমন সময় আবীরে ফোন ।
-কি খবর ?
-কাল পরীক্ষা ! পড়ছি ।
-এখনও পড়ছো ? আর কত পড়বে ? পড়ার দরকার নাই । দেখো বাইরে খুব চমচৎকার জোঁছনা উঠেছে । এসো একসাথে জোছনা দেখি ,
-জি না । কালকে আমার পরীক্ষা আছে ।
আপনি এখন ঘুমান জনাব ! ঠিক আছে । আর আমাকেও পড়তে দিন ।
-আহা ! এমন কেন করছো ! এমন রাত আর আসবে না
-আসবে ! ফোন রাখুন !
-রাখবো না । তুমি যদি এখন আমার সাথে কথা না বল তাহলে সারা রাত তোমার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকবো !
সোনিয়া কিছুক্ষন কোন কথা বলতে পারলো না । একবার মনে হল যেন ও ভুল শুনছে ।
চট করেই ঘরের জানলা দিয়ে সামনের রাস্তার দিকে তাকালো !
হুম ! ঐ তো দেখা যাচ্ছে ! কানে ফোন নিয়ে দাড়িয়ে আছে । সোনিয়া কেবল তাকিয়েই রইলো কিছুক্ষন ছেলেটার দিকে । এমন পাগলামো কেন করে !
সারা রাত সোনিয়া বারান্দায় কাটিয়ে দিল !
****
মেয়েটি কিছু বুঝতে পারছে না । এমন কেন হবে তার সাথে ? তার বাবা খুব বশি বড়লোক না যে তাকে কিডন্যাপ করে মুক্তিপন আদায় করবে । তা ছাড়া কিডন্যাপ করলে কেউ তাকে এভাবে কেন আটকে রাখবে ?
মেয়েটিকে ইংরেজি এক্স এর মত করে চার হাত পা চার দিকে দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ।
আর সব থেকে অবাক হওয়ার বিষয় মেয়েটির সারা শরীরে এক প্রকার তেলতেলে পদার্থ মাখানো ! সারা শরীর থেকে একটা অদ্ভুদ গন্ধ ভেসে আসছে । এখন অন্ধকার বলে কিছু বোঝা যাচ্ছে না । এমন করে আটকে রাখার তো কোন মানে নাই ।
মেয়েটি কিছু বুঝতে পারছে না । এমন তো হবার কথা না ।
কিডন্যাপ করলেও তার এই অবস্থা তো করার কথা না ।
******
-কোথায় যাচ্ছিস ?
সোনিয়া বের হচ্ছিল । মায়ের কথা শুনে দাড়াল ।
-কেন মা ?
-আবীরের কাছে ?
-হুম ! কেন ? আজকে ওর সাথে দেখা করার কথা আছে !
-ওর সাথে আর দেখা করা লাগবে না !
সোনিয়া যেন আকাশ থেকে পড়লো । ঠিক বুঝতে পারছে না তার মা কি বলছে ।
-কেন মা এই কথা কেন বলছো ?
-তোর বাবা খোজ নিয়েছে । ছেলেটা একটা ভুয়া । ওর আগে একটা বিয়ে হয়েছিল আমেরিকায় !
সোনিয়ার মনে হল ওর ভুল শুনছে । আবীবের আরেকটা বিয়ে হয়েছে ? এই ছেলেটা এই ভাবে কেন সত্যটা গোপন করলো ! সোনিয়া সত্যি সত্যি আবীরকে পছন্দ করতে শুরু করতে শুরু করেছিল ।
সোনিয়ার মা বলল
-আজ থেকে আবীরের সাথে দেখা করা একদম বন্ধ ! ও আরো কত কিছু লুকিয়েছে কে জানে ? দেখবি হয়তো এইডস টেইডসও আছে ।
সোনিয়া আসলেই ভাবতে পারছে না ! এমন কিছু একটা তাকে শুনতে হতে পারে ।
****
হঠাৎ অন্ধারের ভিতর এক ঝলক আলো দেখা দিল । কেউ যেন ঘরের আলো জেলে দিল ! অনেক্ষন অন্ধকারে থাকার পরে হঠাৎই আলো আসাতে মেয়েটি নিজের চোখ বন্ধ করে দিলো !
একটু পরে যখন চোখ খুলল
তখন সামনে একা কালো পোষাক পরা লোককে দেখতে পেল । পুরো শরীর কালো আলখাল্লা দিয়ে ঢাকা । মুখে একটা কালো মাস্ক ! হাতে কালো হাত মোজা !
লোকটা হাতে একটা কালো চামড়ার চাবুক !
লোকটা কি করতে যাচ্ছে ?
মেয়েটি আবারও নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করল কিন্তু কোন লাভ হল না ।
মেয়েটি যখন মুখ দিয়ে কিছু বলতে চাইলো কিন্তু কোন শব্দ বের হল না । মুখোস পরা লোকটির হাতের চাবুকটা গর্জে উঠলো !
প্রচন্ড ব্যাথায় মেয়েটি কাঁকিয়ে উঠলেও মুখ দিয়ে একটা টু শব্দও করতে পারলো না মেয়েটি ।
আবার গের্জে উঠলো চাবুক !
এবাও মেয়েটির মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হল না । কেবল শরীরটা যতটুকু নড়াচড়া করা সম্ভব ততটুকুই নড়াতে পারলো । চোখ দিয়ে বেরিয়ে পরলো পানি ।
জন্মের পর থেকে এমন আঘাত সে আর কোনদিনই পাই নি !
চলতেই থাকলো চাবুকের আঘাত । মেয়েটির সহ্যের সীমা যখন পার হয়ে গেল তখন চাবুকের আঘাত থামলো না । মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন জায়গার ফেটে রক্ত বেরিয়ে এল ।
মেয়েটি কেবল দেখলো মুখোশের আড়ালে লুকানো চোখ দুটো তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের হওয়া রক্তের দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে ।
চেতনা হারানোর আগ পর্যন্ত মেয়েটির কাছে ঐ চোখ গুলো কেন জানি একটু পরিচিত মনে হল !
*****
কলিংবেল বাজতেছিল অনেক্ষন ধরেই ।
আবীর দরজা খুলেই একটু অবাক হল !
পুলিশ !
পুলিশের পোষাক পরা পাঁচজন লোক তার দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে ।
পুলিশ দের একজন বলল
-আপনি আবীর হায়দার ?
-জি ?
-সোনিয়া খানমকে চিনেন !
-জি চিনি !
-কিভাবে চিনেন ?
-কেন ? ও কি আমার নামে কোন কেস করেছে ?
-আগে প্রশ্নের জবাব দিন ! কিভাবে চিনেন ?
-দেখুন আমি এখানে থাকি না । উইএস থাকি । এখানে এসেছি বিয়ে করার জন্য ! একটা ম্যাচ মেকিংয়ের মাধ্যমে সোনিয়া আর ওদের পরিবারের সাথে পরিচয় হয় !
-তারপর ?
-কিছুদিন আমি ওর সাথে কথা বার্তা বলি ! সব কিছু ঠিকই ছিল । তারপর ..।
আবীর একটু চুপ করে গেল !
-তারপর ?
-আসলে আমেরিকায় আমি একবার contract মেরেজ করেছিলাম গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য ! এটা ওরা জেনে ফেলে । তারপর থেকেই বিয়ের কথা বার্তা থেমে যায় !
পুলিশ অফিসার আবীরের দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে রইলো একই ভাবে ।
আবীর বলল
-দেখুন ওর বাবা ওর সাথে দেখা করতে মানা করে দিয়ে ছিল আসল খবর জানা পরে । তারপর থেকে আমি ওর সাথে দেখা করার চেষ্টা করি নি । আর এটার জন্য নিশ্চই পুলিশ কেস করার কোন মানে নাই ।
পুলিশ অফিসার আবীরের দিকে তাকিয়ে বলল
-শেষ করবে আপনার সাথে সোনিয়ার দেখা হয়েছে ?
-জি গত সপ্তাহে ! ওর সাথে পিংসিটিতে লাঞ্চে গেছিলাম !
-তারপর আর হয় নাই ?
-তারপর আর হয় নাই !
পুলিশ অফিসার আরো কিছু প্রশ্ন করে চলে গেল । তবে বলে গেল প্রয়োজনে আবারও আসবে । সে যেন শহর ছেড়ে না যায় !
পুলিশ অফিসার চলে যাওয়ার পরে আবীর দরজা বন্ধ করলো ! অবীর কে একটু চিন্তিত মনে হচ্ছে । পুলিশ কে সে একটু মিথ্যা কথা বলেছে । কারন গত পরশুই সোনিয়ার সাথে তার দেখা হয়েছে ।
ব্যাপারটা জানা জানির পরেই সোনিয়া আসে ওর সাথে শেষ বারের মত দেখা করার জন্য ! অবীর বাসাতেই ছিল !
দরজায় কলিংবেল বাজতেই আবীর দরজা খুলে দিল ! দরজা খুলে আবীর কেবল সোনিয়া দাড়িয়ে আছে ।
কোন কথা না বলে কেবল দরজার দিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকলো । আবীর দরজা বন্ধ করে দিল !
***
মেয়েটি চোখ খুলল । মেয়েটির সারা শরীরে কাটা ছেড়ার দাগ । গত দুই দিন ধরে মেয়েটাকে বহু বার যন্ত্রনা দেওয়া হয়েছে ।
যতবার মেয়েটার জ্ঞান ফিয়ে এসেছে প্রতিবারই তার উপর চাবুক চালানো হয়েছে । মেয়েটি বেদনায় চিৎকার করতে চেয়েছে কিন্তু মুখ দিয়ে একটু আওয়াজও বের করতে সক্ষম হয় নি !
মেয়েটি চোখ খুলেই দেখলো আজকে তার অবস্থা একটু পরিবর্তন হয়েছে । আজকে তাকে একটা টুলের উপর দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে । তার হাত দুটো পেছন দিয়ে বাঁধা । তার পা দুটো এক সাথে বাধা শক্ত করে ।
এবং আজকে মেয়েটার গলায় দড়ি দিয়ে সিলিংয়ের সাথে বাঁধা !
মেয়েটি প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও একটু পরেও বুঝে গেল যে আজকে হয়তো তার শেষ দিন । তবে আজকে তার মুখ খোলা !
লোকটা হয়তো আজকে তাকে মেরে ফেলবে । এই জন্য তাকে এভাবে রেখেছে ।
মেয়েটি একটু ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করলো ! কারন এখনই যদি সে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলে তাহলে এখনই সে উপরে চলে যাবে ।
কয়েক মিনির পরেই সেই কালো পোষাক পরা লোকটি ঘরে প্রবেশ করলো ।
-কে তুমি ?
লোকটা কোন কথা বলল না !
-তুমি কে ? আমি তোমার কি করেছি ? আমাকে এতো কষ্ট কেন দিচ্ছ ?
আমি কি করেছি ?
হঠাৎই লোকটা কথা বলে উঠলো !
-তুমি কিছু করনি ডিয়ার সোনিয়া !
-আবীর ??
সোনিয়া নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না । এই মানুষটাই কি সেই মানুষটা যাকে সে পছন্দ করেছিল ! যার সারল্য দেখে যাকে পছন্দ করেছিল ! এই কদিন আবীর তাকে কি পরিমান যান্ত্রনাই দিয়েছে ।
*****
-দেখ আমি তোমার কাছে লুকাতে চাই নি !
-তাহলে কেন বলেন নি ! কেন ? বিয়ের পরে বলতেন !
-আসলে আমি তোমাকে হারাতে চাই নি !
সোনিয়া কিছু বলতে গিয়েও বলল না । আবীর বলল
-দেখো ! আমেরিকায় আমার যেই বিয়েটা হয়েছিল সেটা কেবল আমার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য ! আর কোন কারন নেই ! বিশ্বাস কর । ক্লারা কোন দিন আমার ওয়াইফ ছিল না ।
-ক্লারা কেন ?
-যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল !
-বাহ ! তার নাম মনেও রেখেছেন ?
-সানি ! প্লিজ ! একটু বোঝার চেষ্টা কর !
-আমার বোঝার দরকার নাই ! আমি কেবল বলতে এসেছি আজকের পরে আমার সাথে আপনি দেখা করার চেষ্টা করবেন না ।
-শোন একটু প্লিজ !
-কোন শোনা শুনি নাই !
-আচ্ছা কেবল একটা কথা শুনো ! মাত্র একটা !
-কি !
-আমার উত্তরার শেষ মাথায় একটা বাগানবাড়ি আছে । সেখানে গেলে তোমার ভাল লাগবে ! আমার সাথে তো আর দেখাই করবে না কেবল একটা ঘন্টা আমার সাথে সেখানে কাটাও ! ওখানে একটা পুকুর আছে । সান বাধানো পুকুর ! ঐটা আমা রখুব পছন্দের একটা জায়গা ! আমার মন যখন খুব খারাপ বা ভাল হয় তখন আমি ওখানে যাই ! আজকে যাবে আমার সাথে সেখানে ?
-কেন যাবো ?
-একবার ! প্লিজ !
******
-তুমি কেন করছো এসব ? আমাকে ছেড়ে দাও ! প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও !
আবীর তার মুখোস খুলে ফেলল । সোনিয়া কেবল অবাক হয়ে আবীরের চেহারা দিকে তাকিয়ে রইলো ! সেই সারল্য চোখ আর দেখতে পেল সেখানে কেবল একটা পৌশাচিক আভা দেখতে পেল !
সোনিয়া আরো কিছু বলতে চাইলো কিন্তু তার আগেই আবীর টুলটা ধরে টান দিয়ে দিল ।
আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে গেল সোনিয়ার দেহ টা !
****
আজকে আবীরের জন্য একটা আনন্দের দিন ! প্রতিবার সে যখন একজনকে মেরে ফেলে সেদিন সে খুব আনন্দিত অনুভব করে ! সোনিয়াকে নিয়ে সর্ব মোট এগারো জন কে সে এভাবে কষ্ট দিয়ে মেরেছে ।
ছোটা বেলা থেকেই সে তার মাকে দেখে এসেছে । প্রচন্দ একটা ঘৃণা সে তা মায়ের জন্য অনুভব করতো । তার মায়ের কাজ কর্মকে কে প্রচন্ড ঘৃণা করতো ! তার মায়ের কারনে আবীরের বাবা মারা গেছে ! কষ্ট পেয়ে মারা গেছে !
প্রতিটা মেয়েকে যখন সে কষ্ট দেয় সে তার বাবার কথা মনে করে । যতটা কষ্ট তার বাবা পেয়ে মারা গেছে ততটা ঘৃণা সে সব মেয়ের উপর অনুভব করে ! প্রতিটা মেয়ের মৃত্যুর সাথে একটা আনন্দ অনুভুব করে।
*******
-হ্যালো ! প্রথম আলু পত্রিকা অফিস ?
-জি বলছি !
-আমি একটা বিজ্ঞাপন দিতে চাই !
-কিসের বিজ্ঞাপন ?
-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন !
-আপনাকে তো আমাদের বিজ্ঞাপন বুধে আসতে হবে !
-ঠিকানাটা বলবেন প্লিজ !
:::::::: X :::::::::
(লজিক ছাড়া একটা সাইকো গল্প লেখার চেষ্ট ! সিরিয়াসলী নেওয়া কিছু নাই)
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।