নাস্তিক ও মুরতাদরা যখন খুব বাজে ভাবে আঘাত হানা শুরু করলো মুসলমানদের আত্মার চেয়ে প্রিয় ধর্ম ইসলামকে এবং মুসলমানদের সতেজ, স্বচ্ছ অনুভূতিতে, মুসলমানরা যখন এর প্রতিবাদ শুরু করেছিলো, তাদের অসহায়ের মতো আল্লাহর কৃপার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার ছিলনা, কারন যেখানে সরকারের সুদৃষ্টি ছিল ঐ নাস্তিকদের দিকে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন ও আসমান জমিনের মাঝে রহমত স্বরূপ সৃষ্টি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে বাজে উক্তি শুরু করলো, তখনো মুসলমানদের বিচক্ষণ হওয়া ছাড়া কিছু করার ছিলনা, তারা যখন এ বাজে উক্তি ও কটাক্ষগুলো বন্ধের দাবিতে রাজপথে নামলো তাদের প্রানের নবীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য যা নাস্তিক কর্তৃক প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়েছিলো বিভিন্ন ব্লগ বা সোশ্যাল ওয়ার্কিং সাইটগুলোতে, দেখল মূল্যহীন পদার্থের মতো মৃত হয়ে রাস্তায় পরে থাকতে হচ্ছে তাদের। ঠিক তখনি সারাদেশে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে এ প্রতিবাদ অভিযানে নামলেন এ দেশের ধর্মপ্রাণ আলেম সমাজ, যেখানে তাদের পাথেয় হয়ে সারা দিয়েছে এ দেশের প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান শুধু এক শ্রেণির মানুষ জন ছাড়া, যাদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই।
ডাক পড়লো সারা বাংলার মুসলমানদের প্রতি নিজেদের ধর্মীয় মর্যাদা অক্ষুণ্ণ ও প্রিয় নবীকে অপমান সূচক মন্তব্যর প্রতিবাদ ও নাস্তিক, মুরতাদ দের বিচার দাবি প্রতিষ্ঠার সোচ্চার দাবির। ঠিক তখনি আরেক নতুন নাটক মঞ্চায়িত হল এ দেশের মুসলমানদের তাকদিরে, সরকার ডাকালেন হরতাল তার কিছু মদদপুষ্ট দালালদের দিয়ে।
জায়গায় জায়াগায় ব্যারিকেড দেয়া হল, আক্রমণ করা হল দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে, বন্ধ রাখা হল সব ধরনের যান চলাচল, যেন প্রানের বাদী আদায়ে নির্দিষ্ট স্থান মিতিঝিল শাপলা চত্বরে আহুত লংমার্চ এ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একত্রিত হতে না পারে, কিন্তু পারেনি ঠেকাতে মুসলমানদের সেই জোয়ার একটুও থামাতে, সব কিছু অবরুদ্ধ করেও যে কাফেলা নেমেছিল রাজধানীর বুকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের, যদি অবরুদ্ধ করার হীন চেষ্টা না করা হতো তাহলে কাফেলার সে বাঁধ সারা ঢাকায় ভেঙ্গেও কুলাতনা।
যাক আমার লিখার বেশি কিছু নেই, সবাই আমরা ঘটে যাওয়া সব কিছু নিয়ে খুব ভালভাবে অবগত, লক্ষণীয় বিষয় ছিল এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ চাইলে দেশটাকে শ্মশান বানাতে পারতো, মাততে পারতো তারাও হীন রক্তের হলিখেলায়, পারতো গুড়িয়ে দিতে সে শাহবাগের আখড়া। পারতো চাইতে নাস্তিকদের মদদদাতা সরকারের পতন দাবি করতে, কিন্তু তারা তা না করে প্রমাণ করলো আসলেই আমরা এমন এক ধরমের অনুসারী যেখানে শান্তি, সমঝোতা ও সাম্যের বিকল্প কিছু নেই। ধ্বংসাত্মক দূরে থাক ন্যুনতম অরাজকতা সৃষ্টি হওয়া থেকে বিরত থেকে মুসলমানরা বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ করলো আমরা শান্তিপ্রিয়, অশান্তি আমাদের স্বভাবে নেই, সহিংসতাকে আমরা ঘৃণা করি, আমরা শান্তি চাই, একতার মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি মাত্র আমাদের প্রিয় ধর্ম ও প্রিয় নবীকে নিয়ে বাজে মন্তব্যকারিদের বিচার চাই।
তবে এ গনজমায়েত দেখে শাহবাগে যে শ্লোগান বাতাসে ভাসতে শুরু করেছিল ল তে লংমার্চ, হয়নি হয়নি।
তা ভাবাটা হবে মূর্খতা! এ গনজমায়েতে উপস্থিতি প্রমাণ করেছে মুসলমানদের স্বাক্ষরতা, যে আমরা কাফন বেধে, মৃত্যুর সনদে সই দিয়ে নেমেছি নিজেদের ধর্মীয় মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে ও প্রিয় মহান আল্লাহ, প্রিয় নবী কে নিয়ে বাজে মন্তব্যর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে, এ জমায়েত থেকে সহিংস কোন ঘটনা না ঘটার সুস্পষ্টতার দিক হচ্ছে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ও মুসলমানদের ধৈর্যের চরম ঐতিহ্য!
সাধুবাদ ও শান্তির সালাম প্রাণপ্রিয় প্রতিটি মুসলমান ভাইকে যারা শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে যোগদান করে ও শান্তির স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইসলাম যে কি মহৎ ধর্ম তা প্রমাণ করার জন্য, মুসলমানরা কতটা ধৈর্যশীল জাতি তা বিশ্ব দরবারে পরিষ্কার প্রমাণ করার জন্য!
পরিশেষে ক্ষমতাবান শীর্ষ মহলের কাছে একটাই প্রানের দাবি_ ” বিচারের কাটগড়ায় দেখতে চাই সেইসব নাস্তিক, মুরতাদদের, যারা আঘাত করেছে আমাদের সরল ধর্মীয় অনুভূতিতে, যারা অপমান করেছে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সত্তাকে, দাবি করেছে নিজেদের আল্লাহ বলে, অপমান সূচক মন্তব্য করেছে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে ”। পবিত্র কুর-আনের আইন অনুযায়ী তাদের দণ্ড দেয়া হক ক্ষমাহীন এ অপরাধের...
বাহালুল
রক্ত ২.৫০ মিঃ
০৭-এপ্রিল-২০১৩।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।