এক সপ্তা আগের ঘটনা| ব্যাস্ততার কারনে তখন শেয়ার করতে পারিনি| ভার্সিটি ভর্তি কোচিংএর জন্য ছবি কপি করতে চন্দ্রিকার সামনে কোডাক ষ্টুডিওতে গেলাম আমি আর মক্কি| বিদ্যুৎ না থাকার কারনে তারা ডেলিভারি টাইম বলতে পারেনি| আর্জেন্ট দরকার ছিল তাই সেখানেই অপেক্ষা করতে থাকলাম| কিছুক্ষন পর একটি মহিলা সাথে আমাদের সমবয়সী একটি মেয়ে এল| মেয়েটিও একৈ কাজে এসেছে এবং যথারিতি অপেক্ষা করছে| স্বাভাবিক পর্দানশীল এবং সুদর্শন বলে আমরা অছিলা প্রকাশ করে করে তাকাচ্ছিলাম| আনুমানিক ২০মিনিট পর বিদ্যুৎ এল| ছবি দিতে দিতে আরো ২০মিনিট লাগলেও আমাদের জন্য তা মোটেও বিরক্তিকর ছিলনা| অবশেষে কাজ শেষে উভয় পক্ষ বেরিয়ে এলাম| স্টপেজে দাড়ানোর কিছুক্ষনের মধ্যে একটি মিনি বাস এল| কিন্তূ একি! তারা আমাদের আগে সে বাসে উঠে গেল| মধ্যদুপুরের এই তিব্র রোদকে উপেক্ষা করে পরবর্তি বাসের অপেক্ষা করতে মন সায় দেয়নি তাছাড়া জি.ই.সি. তে মাহিন অপেক্ষা করছে তাই এতেই উঠে গেলাম| আমাদের জড়তাটা কেন ছিল বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়? অর্থাৎ তারা যদি এই ভেবে বসে যে আমরা তাদের ফলো করছি তবে তারা পুরো পথ অসস্থি বোধ করবে| আমরা একেবারে ভেতরের দিকে গিয়ে দাঁড়ালাম যাতে এই অমুলক সন্দেহ কাজ না করে| প্রসংগক্রমে মক্কি হেসে বল্ল, নাকি দেখ এরাও একৈ কোচিংএ যাচ্ছে! এ.কে.খান নেমে তো মাথা খারাফ, এরাও দেখি সেখানে নেমেছে! এখন তো নিশ্চিত চেচিয়ে লোক জড়ো করবে! মক্কিকে বল্লাম, দ্রুত পালা নৈলে মানিজ্জত যাবে! ভাগ্যক্রমে টেম্পু পেয়ে জটপট উঠে ড্রাইবারকে ষ্টার্ট করার তাগাদা দিলাম| জ্যামটেম পেরিয়ে কোচিংএ ডুকে হাঁপছেড়ে বাচলাম| ছবি জমা দিয়ে ব্যাচ ঠিকঠাক করে বের হতে গিয়ে স্টাচু হয়ে গেলাম আমরা দুজন| দেখি বাবা জায়গা দাও! মহিলার কথায় সৎবিৎ ফিরে পেলাম| পেছনে মেয়েটা মিটিমিটি হাঁসছে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।