নিজেকে চেন। সুন্দর বিকেল, কলোনির ভেতরে ছোট্ট এক টুকরো খেলার জায়গা, কঁচি কাঁচারা খেলছে, যে যত জোরে পারছে চেঁচাচ্ছে....প্রায় একযুগ প্রবাসের পর বকুল আজ বিকেলে নিজের কলোনিতে। সব জায়গারই আলাদা, স্থায়ী গন্ধ থাকে, এই কলোনির চারপাশে অনেকগুলো পাউরুটির বেকারী থাকায় বাতাসে একটা ক্ষুধা ক্ষুধা ভাব থাকে সবসময়।
সিগারেট ধরানো ঠিক হবে কিনা বকুল বুঝতে পারলনা। কেমন যেন লজ্জা, লজ্জা লাগছে....কলোনির কয়েকটা ফ্যামিলি ছাড়া বাকিরা সব হারিয়ে গেছে, অনেকেই মুখ ফিরিয়ে তাকে দেখছে, মনে করার চেষ্টায় আছে হয়তো? সেও কাউকে চিনতে পারছেনা।
সিগারেট ধরাতে যাবে ঠিক এমন সময় হুড়মুড় করে ঝড়ের মত সামনে এসে দাঁড়ালো ১২ বছর আগের ইতিহাস, বকুলের পেট আর বুকের ভেতরে কি যেন একটা মোচড় দিয়ে গেলো। হাসিটা আগের মতই আছে, সময়ের আবর্তনে অনেক ছোট বড় গল্প ইতিহাসে স্থান পায়, কিন্তু হাসি নামের আবেদনটা আগের মতই থাকে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বদলায়না!
- কেমন আছো বকুল ভাই?
- ভালো আছি, তোমার কন্ঠ দেখি চেঞ্জ হইসে, মোটা হয়া গেছ।
- বাব্বাহ!
- কি?
- কিছুনা! শিমুল, এদিকে আসো।
চার/পাঁচ বছরের একটা দেব শিশু ধুলা বালু নিয়েই ছুটে এলো...ধরেই নেয়া যায় সে ইতিহাসের নতুন চরিত্র।
- উনি তোমার বকুল মামা, উনাকে সালাম দাও!
বকুল হাসে,এই নির্মম ইতিহাসের মুখোমুখি হবার সাহস তার আজ নেই, এক প্রকার ইতিহাসের সামনে থেকে পালিয়ে আসে...আজকের বকুল মামা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।