এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
বান্দরবান মানেই পাহাড়ের দেশ, বান্দরবান মানেই সবুজের দেশ, বান্দরবান মানেই ঝর্ণার দেশ।
আর ঝর্ণা শব্দটাই কেমন যেন রিনিঝিনি ছন্দময় আনন্দময় আবহ জাগায় শরীর ও মনে। ইচ্ছে হয় ওর পানির সৌন্দর্য্য আর শীতলতায় ধুয়ে ফেলি জীবনের সব কালিমা।
আজ আপনাদেরকে যেই ঝর্ণার কথা বলবো তার নাম চিংড়ি ঝর্ণা । আমাদের গাইডকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছিলাম এখানে নাকি এক সময় চিংড়ি মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু ঝর্ণার পানিতে চিংড়ি মাছ ? এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।
নাম করণের কারন যাই থাক বর্ষাকালে এই ঝর্ণার কাছে দাড়ালে মনে হবে থাকি না একটা দিন এখানেই, মন্দ কি ?
বগালেক থেকে কেওকারাডাং এর পথে ঘন্টাখানেকের পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেই এই চমৎকার ঝর্ণাটা পাবেন, কিন্তু প্রাথমিকভাবে যেটুকু ঝর্ণা দেখা যায় এটুকুই কিন্তু চিংড়ি ঝর্ণা নয়।
আসল টুকু দেখতে হলে আপনাকে বিশাল বিশাল পিচ্ছিল পাথরগুলো পেরিয়ে আর একটু ভেতরে ঢুকে ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরতে হবে । দেখবেন অসাধারণ একটি ঝর্ণা, যেন বাশ বাগানের মাথার অনেক উপর থেকে একেবেঁকে নেমে আসছে চমৎকার একটা স্রোতধারা ।
তবে শত সৌন্দর্যের মাঝেও আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি এটা একটা বিপদজনক ঝর্ণা। কারণ এর বিশালাকার পিচ্ছিল পাথরগুলো যেকোন অসতর্ক মূহুর্তে ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ ।
আর বিপদ মানেই এডভেঞ্চার, সুতরাং...........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।