একইসঙ্গে চিংড়ি ছাড়া অন্য মাছ ও তরল গ্লুকোজ রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা তুলে নিয়েছে সরকার।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের নগদ সহায়তার খাত ও হার ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, পাট সুতা রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়ে। তবে পাটজাত চূড়ান্ত দ্রব্য রপ্তানিতে সহায়তা আগের ১০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে।
আর হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে সহায়তা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া নগদ সহায়তার ঘোষিত তালিকায় মাছ ও তরল গ্লুকোজের নাম রাখা হয়নি।
সম্পূর্ণ দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে সরকার গত কয়েক বছর ধরে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সুত্র জানিয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতের রপ্তানির বিপরীতে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার নগদ সহায়তা ছাড় করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাত সবচেয়ে বেশি নগদ সহায়তা পেয়ে থাকে।
গত অর্থবছরে বস্ত্র খাতে এক হাজার কোটি টাকার বেশি নগদ সহায়তা ছাড় করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী ইপিজেডে কৃষিভিত্তিক শিল্প বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ২০০৫ সালে তরল গ্লুকোজ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা চালুর পর থেকে এ খাতে কোনো নগদ সহায়তা ছাড় না হওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে তারা জানান।
এছাড়া মায়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে কার্প জাতীয় মাছ রপ্তানি করে আমদানির অভিযোগ থাকায় মাছ রপ্তানি থেকে সহায়তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নগদ সহায়তা পাওয়া রপ্তানিমুখী অন্য খাতগুলোর জন্য আগের হার বহাল রাখা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৫ শতাংশদ, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে হাতে তৈরি পণ্য রপ্তানিতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, কৃষি পণ্য (শাক-সবজি, ফলমুল) ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যে ২০ শতাংশ, হাঁড়ের গুড়ায় ১৫ শতাংশ, হালকা প্রকৌশল পণ্যে ১০ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংসে ২০ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানিতে ৫ শতাংশ, বস্ত্র খাতের নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে রপ্তানিতে ২ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫ শতাংশ, আলু রপ্তানিতে ২০ শতাংশ ও পেট বোতল-ফ্লেক্স রপ্তানিতে ১০ শতাংশ সহায়তা বহাল থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।