কুড়াই প্রহরব্যেপে স্মৃতিলগ্ন ধূলি
পরিচয় চিংড়ি নামে, জাতে আমি পোকা।
তবু এই ভাটির দেশের লোকজন রসনাতৃপ্তির এনাম
হিসেবে আমার নাম দিয়েছে ইচামাছ।
সে কারণে বাক্ষোধার্য তাহাদের কৃতজ্ঞতা পাশ
আল্লাহ পাকের দরবারে গুজার লক্ষ-কোটি শোকর।
কিন্তু জলের জমিনে বসবাস হলেও
আমার চলাফেরা মাছেদের মতো মসৃণ নয়,
যথাপ্রাপ্ত বেয়াড়া শরীরের মোতই বেঢপ।
তাই বুঝি এই মাৎস্যন্যায়-উপদ্রুত সলিল সাম্রাজ্যে
আমি আজন্ম অবাঞ্ছিত হয়ে আছি।
যখনই যার সকাশেই একটুখানি সান্নিধ্য চেয়েছি
অমনি সোজা বাঁকা শিং তাক করে তেড়ে এসেছে।
বাধ্য হয়ে উল্টো দিকে লম্ফ দেয়া
রপ্ত করতে চেয়েছে আমাকে।
সে যাক। পাকেচক্রে একদিন আমার সঙ্গে
দেখা হয়ে যায় এক বিষণ্ন মৎস্যকন্যার।
(ট্র্যাক ব্যাক ডাউন দ্য মেমোরি লেন টু দ্য সী-শোর
অব কোপেনহেগেন।
)
বকচ্ছপ টাইপের প্রাণীটারে আমার বেশ মনে ধরে,
পুওর ওল্ড মার্মেডটারও কেনো জানি
আমাকে ভালো লেগে যায়, ক্লিক করে রাইট কর্ডে।
ইন কোর্স অব টাইম, আমরা পরস্পর সমীপে
শনৈঃশনৈ ঘনিষ্ঠ হই, নিবিষ্ট হই
একান্তে সঙ্গাসঙ্গি, অঙ্গাঅঙ্গি করি
আমাদের স্রোতস্য জীবনেও রঁদিভূ আসে
আমি আমার হাত-পা মানে সবজোড়া অঙ্গোপাঙ্গের
আদরে-আবেগে তাকে আঁকড়ে ধরি আষ্টে-পৃষ্ঠে
নির্লিঙ্গ আলিঙ্গনে তারে আমি বাঁধি আশ্লেষে
মিথুনহীন মিলনে দোঁহে রিরংসায় ডুবে
উত্তুঙ্গ সঙ্গমের পারঙ্গম অর্গ্যাজম (-এ মাতি) মাগি।
ডিম-রেনু একাকার করে খেলে চলি সসলিল কেলি
জলের গর্ভে নির্জলা আগুনে তড়পাই
আমাদের কি খুব প্রয়োজন ছিলএক খণ্ড টেরা-ফার্মার?
বোবা মেয়েটারে একদিন আমি সাশ্রু কান্নার
সবক দিতে গিয়ে হাতে-কলমে শেখাতে যাই
আর তক্ষুনি আচানক আপন্ন হই ভয়ানক বিপদে
দেবতার শপথ ভঙ্গের অপরাধে যেনবা
আমার ওপর (নাকি ভেতর?) নেমে আসে
অনিবার্য অভিশাপ
কান্না ছাড়া আমার আর কোন ভাষাই থাকে না।
টিপ্পনী : 'কী পাপে লিখিলা বিধি এ যাতনা ভালে?'
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।